আশা করি সবাই ভাল আছেন। আজ আপনাদের মাঝে অরেকটি আর্টিকেল নিয়ে হাজির হলাম। আজ আপনাদের জানাবো রাতে ঘুমানোর আগে রূপচর্চা সম্পর্কে। সৌন্দর্যের জন্য কত কিছুই তো করে থাকেন আপনি। দামী দামী ক্রিম(Cream), পার্লারে ট্রিটমেণ্ট আরও কত কি! অথচ নিয়মিত কিছু কাজ করলেই সৌন্দর্য বৃদ্ধির সাথে সাথে ত্বকও থাকবে সুস্থ। প্রতিদিন ঘুমাতে যাওয়ার আগে করুন কিছু কাজ যা আপনার সৌন্দর্যকে বাড়িয়ে দেবে বহুগুন। আর সকালে পাবেন স্নিগ্ধ কোমল একটা ত্বক(Skin)। আসুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক কাজগুলো কী কী।
রাতে ঘুমানোর আগে রূপচর্চা
১। মেকআপ তুলে ফেলুন
রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে অবশ্যই মেকআপ(Makeup) তুলে ফেলবেন। যত রাতই হোক না কেন মেকআপ(Makeup) নিয়ে ঘুমাতে যাবেন না। কারণ মেকআপের রাসায়নিক উপাদানগুলো ত্বকের ভীষণ ক্ষতি করে থাকে। এতে ত্বক অনুজ্জ্বল হয়ে ওঠে এবং ব্রণ(Acne) হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায় শতগুন।
২। দুটি বালিশ ব্যবহার করুন
রাতে ঘুমানোর জন্য উচু বালিশ ব্যবহার করুন। উঁচু বালিশ না থাকলে দুইটি চিকন বালিশ ব্যবহার করুন। উঁচু বালিশে ঘুমালে ঘুম(Sleep) থেকে ওঠার পরের চোখের নিচের ও মুখের ফোলা ভাব থাকে না।
৩। মাস্ক ব্যবহার করুন
রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে যেকোন একটা মাস্ক ব্যবহার করুন। ঘরে বানানো যেকোন একটা প্যাক হতে পারে। অথবা অ্যালোভেরার(Aloe vera) রসও ব্যবহার করতে পারেন।
৪। হ্যান্ড ক্রিম ব্যবহার করুন
শুধু কি মুখের যত্ন নিলে হবে, হাত পায়েরও তো যত্ন নিতে হবে। সারাদিন কাজে,ধুলা ও ময়লায় হাত হয়ে যায় রুক্ষ। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে হ্যান্ড ক্রিম(Hand cream) ব্যবহার করুন। এটি আপনার হাতকে নরম কোমল করে তুলবে।
৫। চুল বাঁধুন
আমাদের অনেকেরই অভ্যাস চুল ছেড়ে ঘুমানো। এটি অনেক খারাপ অভ্যাস। চুল(Hair) ছাড়া থাকার ফলে বালিশের সাথে ঘষা লেগে চুল ঝরে যায়। চুলের গোড়াও দুর্বল হয়ে পরে। ঘুমাতে যাওয়ার আগে অব্যশই চুল বেণি করে অথবা বেঁধে ঘুমান।
৬। এক্সফলিয়েট করা
পরিবেশ দুষণ, ধুলা বালি, সূর্যের অতিবেগুনী রশ্মির কারণে আমাদের ত্বক(Skin) নিস্প্রাণ হয়ে পড়ে। তাই এক্সফলিয়েট করা অতি প্রয়োজন। প্রতিদিন ঘুমাতে যাওয়ার আগে মানের এক্সফলিয়েটর দিয়ে ত্বক ম্যাসাজ করুন।
৭। আই ক্রিম ব্যবহার করুন
আই ক্রিম ব্যবহারে আপনার চোখের নিচের(Eye down) কালি দূর হবে। সাথে সাথে চোখের ক্লান্তি ক্লান্তি ভাবও দূর হয়ে যাবে। সকালবেলা পেয়ে যাবেন এক জোড়া সতেজ সুন্দর চোখ। আর হ্যাঁ অব্যশই দৈনিক ৮ ঘন্টা ঘুমাবেন। ঘুম ঠিকমত হলে দেখবেন দিনটাও ভাল গেছে।
সুস্থ থাকুন, নিজেকে এবং পরিবারকে ভালোবাসুন। আমাদের লেখা আপনার কেমন লাগছে ও আপনার যদি কোনো প্রশ্ন থাকে তবে নিচে কমেন্ট করে জানান। আপনার বন্ধুদের কাছে পোস্টটি পৌঁছে দিতে দয়া করে শেয়ার করুন। পুরো পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।