বয়স বেড়ে যাচ্ছে? মুখে বলিরেখা(Wrinkle line) লক্ষ্য করছেন হঠাৎ করে? আর এসব দেখে আপনি মন থেকে ভেঙে পড়ছেন? সমাধান রয়েছে আপনার নিজের হাতেই। শুনে হয়তো অবাক হবেন, আপনার জিভ স্ক্র্যাপিং অর্থাৎ জিভটা ঘষামাজার মাধ্যমেই আপনি আপনার বয়স(Age) ধরে রাখতে পারবেন। কাজটা প্রতিদিনই করতে হবে। আর এটি পুরোপুরি বিজ্ঞানসম্মত।
বয়স ধরে রাখতে শরীরের যে অংশের নিয়মিত যত্ন নিতে হবে
বিজ্ঞানীরা বলছেন, নিয়মিত জিভ ঘষামাজা করলে আপনার স্বাভাবিকের চেয়ে বয়স(Age) কম দেখাবে। কারও মুখের ভেতর নিয়মিত উপকারি ব্যাকটেরিয়ো তৈরি হলে তা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বয়সের ওপর প্রভাব ফেলে ৷ মানে, বয়স যাই হোক না কেন, অনেক কমবয়সি দেখায় তাকে৷আর নিয়মিত জিভটাকে ঘষামাজার মাধ্যমে মুখে উপকারি ব্যাকটেরিয়া(Bacteria) জন্মাবে। এই ‘উপকারি ব্যাকটেরিয়া’ বলে পরিচিত এই অনুজীব মুখের লালায় স্যালিভা নাইট্রেট তৈরি করে। আর এই নাইট্রেট বয়স লুকাতে সাহায্য করে।
বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, বয়স বাড়তে থাকলে ক্রোমোজোম কিছুটা কর্মক্ষমতা হারায়। মাইট্রোকনড্রিয়ার(Mitochondria) ক্ষমতাও কমে আসে। কমে স্টেম সেলের কর্মক্ষমতাও। মুখের লালায় তৈরি নাইট্রেট এই সব কিছুরই মোকাবিলা করে ৷ মুখের গুড ব্যাকটেরিয়ায় উৎপাদিত নাইট্রেট পেটে গিয়ে তৈরি করে নাইট্রিক অক্সাইড(Nitric oxide)। এই নাইট্রেট বুড়িয়ে যাওয়ার হাত থেকে বাঁচায়।
বয়স কমাবার ইচ্ছে থাকলে প্রতিদিন সকালে উঠেই জিভ ঘষামাজার জন্য বিশেষ স্ক্র্যাপার ব্যবহারের মাধ্যমে দিন শুরু করুন।
সুস্থ থাকুন, নিজেকে এবং পরিবারকে ভালোবাসুন। আমাদের লেখা আপনার কেমন লাগছে ও আপনার যদি কোনো প্রশ্ন থাকে তবে নিচে কমেন্ট করে জানান। আপনার বন্ধুদের কাছে পোস্টটি পৌঁছে দিতে দয়া করে শেয়ার করুন। পুরো পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।