Home / লাইফস্টাইল / রোজা রাখা কি স্বাস্থ্যের জন্য ভালো? চলুন জেনে নেওয়া যাক

রোজা রাখা কি স্বাস্থ্যের জন্য ভালো? চলুন জেনে নেওয়া যাক

রোজা হল একটি ইবাদত এবং মুসলমানের জন্য একটি অপরিহার্য ইবাদত। সুবেহ সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সব ধরনের পানাহার এবং জৈবিক চাহিদা থেকে বিরত থেকে রোজা রাখেন মুসলিমরা। যারা রোজা রাখেন, তারা সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত কিছুই মুখে দেন না। মুসলিমরা বিশ্বাস করেন, স্বেচ্ছা নিয়ন্ত্রণ আর বেশি সময় ধরে প্রার্থনার ভেতর দিয়ে মুসলমানরা এ মাসে নতুন করে আত্মশুদ্ধি অর্জনের চেষ্টা করেন।রোজা রাখা

রোজা রাখা কি স্বাস্থ্যের জন্য ভালো? চলুন জেনে নেওয়া যাক

রোজা রাখার স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে- যে কারণে ইদানিং ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং ওজন (Weight) কমানোর জন্য জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং কী খাবেন তার পরিবর্তে কখন খাবেন সেদিকে নজর দেয় যার মধ্যে প্রতিদিন একটা সময় ধরে না খেয়ে থাকতে হয়।

এ পদ্ধতিতে শরীরের জমা থাকা চিনি সব ব্যবহার করে ফেলা হয়, এরপর চর্বি (Fat) গলতে শুরু করে যাতে করে ওজন কমে। গবেষণায় দেখা গেছে এটি রক্তচাপ ও কোলেস্টেরল (Cholesterol) কমানো, প্রদাহের প্রবণতা কমানো, টাইপ-টু ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমানো এবং ইনসুলিনের কাজকে উন্নত করতে সাহায্য করে।

সাম্প্রতিক একটি গবেষণায় দেখা গেছে রমজান মাসে রোজা রাখলে তা ফুসফুস, কোলোরেক্টাল ও স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে কমায়। রমজান মাসে রোজা রাখা এবং ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং দুটো একইরকম বিষয়, ফলে এর সুফলও এক ধরনের।

আমেরিকান জার্নাল অফ ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশন-এ প্রকাশিত একটি সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, রমজান মাসে রোজা রাখা হজমের প্রক্রিয়ায় ইতিবাচক প্রভাব রাখতে এবং দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।

ক্যামব্রিজের এডেনব্রুকস হাসপাতালের অ্যানেসথেসিয়া এন্ড ইনটেনসিভ কেয়ার মেডিসিনের কনসালট্যান্ট ড. রাজিন মাহরুফের মতে, রোজা রাখা শরীরের জন্য ভালো, কারণ এটি আমরা কী খাই এবং কখন খাই সেটার ওপর আমাদের মনোযোগ দিতে সাহায্য করে।

তবে রমজান মাসের বাইরে একটানা রোজা রাখাটা নিরুৎসাহিত করছেন তিনি। কারণ একটা সময় আপনার শরীর চর্বি (Fat) গলিয়ে তা শক্তিতে পরিণত করার কাজ বন্ধ করে দেবে। তখন এটি শক্তির জন্য নির্ভর করবে মাংসপেশির ওপর। এটা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়। কারণ আপনার শরীর তখন ক্ষুধায় ভুগবে।

আবার পুষ্টিবিদ ব্রিজেট বেনেলামের মতে রমজানের সময় সাধারণত এক কেজির মতো ওজন কমতে পারে, কিন্তু ইফতারে বেশি খাওয়া দাওয়া হলে ওজন উল্টো বেড়েও যেতে পারে।

ইফতারের টেবিলে হরেক রকম খাবার থাকলে বেশি খাওয়ার প্রবণতাও তৈরি হতেই পারে। তবে তার মতে, সামনে যা থাকবে সবই খাওয়ার প্রয়োজন নেই, তাই বেছে বেছে খাবার নিন এবং ধীরে ধীরে খান। সেহরি বা ইফতার, যে কোনও ক্ষেত্রেই অন্তত তেমন খাবার নিশ্চিত করতে হবে যেন শরীর পর্যাপ্ত পুষ্টি (Nutrition) পায়।

সুস্থ থাকুন, নিজেকে এবং পরিবারকে ভালোবাসুন। আমাদের লেখা আপনার কাছে কেমন লেগেছে এবং আপনার যদি কোনো প্রশ্ন অথবা মতামত থেকে থাকে তবে নিচে কমেন্ট করে আমাদের জানাতে পারেন। আর আপনার বন্ধুদের কাছে পোস্টটি পৌঁছে দিতে শেয়ার করুন। সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

Check Also

ঘামাচি

গরমে ঘামাচি থেকে মুক্তি পাওয়ার ঘরোয়া উপায়

গরম এলেই দুশ্চিন্তা বাড়ে অনেকের। কারণ গরম এলেই বাড়ে ঘামাচির অত্যাচার। অনেকে বিভিন্ন ধরণের পাউডার ...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *