মুখের মেছতার সমস্যা অনেকেরই হয়। বিশেষ করে ৩৫-ঊর্ধ্ব নারী-পুরুষের এ সমস্যা বেশি দেখা দেয়। এ ছাড়া যারা ঠিকমতো ত্বকের যত্ন (Skin Care) নেয় না, তাদের ক্ষেত্রেও মেছতার সমস্যা দেখা দেয়। তবে মেছতা হওয়ার অন্যতম কারণ হচ্ছে অপরিচ্ছন্ন ত্বক। মেছতার দাগ অনেকেরই দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। কীভাবে এই দাগ দূর করা যায়, তা নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। আর এ সময় বিভিন্ন মানুষের পরামর্শে বিভিন্ন ক্যামিকেলযুক্ত প্রসাধনী (Cosmetic) ব্যবহারে আরও গাঢ় হয় মেছতার দাগ।
মেছতার দাগ দূর হবে মাত্র দুই উপাদানে
মেছতা একবার হলে তা পুরোপুরি দূর করা সম্ভব নয়। তবে আপনি চাইলে এর দাগ হালকা করতে পারেন। তবে এটি সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। এ জন্য বাজারের ক্যামিকেলযুক্ত প্রসাধনী ব্যবহার না করে ঘরোয়া উপাদান ব্যবহার করুন। তাই চলুন জেনে নিই ঘরোয়া উপায়ে মেছতা দূর করার সহজ উপায়–
১। হলুদ
হলুদ সবার রান্নাঘরেই থাকে। এই উপাদানটি সবাই রান্নায় ব্যবহার করে। এমনকি রূপচর্চায়ও যুগ যুগ ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে হলুদ (Turmeric)। বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত যে, হলুদে থাকা কার্কিউমিন ত্বকের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কার্কিউমিনে ইউভি প্রতিরক্ষামূলক গুণাবলি থাকে। এর একটি হলো, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও অন্যটি অ্যান্টি-মুটাগেন। এ দুটি উপাদানই ত্বকের সব ধরনের প্রদাহ কমায়। সমীক্ষায় দেখা গেছে, টাইরোসিনেজ ও মেলানিন উৎপাদনে বাধা দেয় কার্কুমিন। এরা উভয়ই মেছতার দাগের জন্য দায়ী। আরেকটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, কার্কুমিনে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট (Anti-oxidant) বৈশিষ্ট্যগুলো ত্বকের যে কোনো কালচে দাগ দূর করতে পারে।
২। লেবুর রস
লেবুর রসে প্রাকৃতিক ব্লিচিং অ্যাজেন্ট থাকে, যা ত্বকের যে কোনো কালচে দাগ হালকা করে দিতে পারে। তবে লেবুর রস (Lemon juice) কখনও সরাসরি মুখে ব্যবহার করা উচিত নয়। অবশ্যই এর সঙ্গে কোনো ফেস মাস্ক ব্যবহার করুন। এ ছাড়াও হলুদের গুঁড়োর সঙ্গে লেবুর রস ও মধু মিশিয়েও ব্যবহার করতে পারেন।
সুস্থ থাকুন, নিজেকে এবং পরিবারকে ভালোবাসুন। আমাদের লেখা আপনার কাছে কেমন লেগেছে এবং আপনার যদি কোনো প্রশ্ন অথবা মতামত থেকে থাকে তবে নিচে কমেন্ট করে আমাদের জানাতে পারেন। আর আপনার বন্ধুদের কাছে পোস্টটি পৌঁছে দিতে শেয়ার করুন। সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।