আশা করি সবাই ভাল আছেন। আজ আপনাদের মাঝে অরেকটি আর্টিকেল নিয়ে হাজির হলাম। আজ আপনাদের জানাবো রুই মাছ এর উপকারিতা সম্পর্কে। রুই (ইংরেজি: Rohu Carp; বৈজ্ঞানিক নাম: Labeo rohita)[২] বাংলাদেশ ও ভারতে বহুল পরিচিত মাছগুলোর মধ্যে একটি। আন্তর্জাতিকভাবে রুই মাছের নাম বলা হয়ে থাকে রোহু। স্থানীয় নাম রুই, রোহিতা, রুহিত, রাউ, নলা, গরমা, নওসি। প্রতি ১০০ গ্রাম রুই মাছে ১৬.৪ গ্রাম আমিষ, ১.৪ গ্রাম চর্বি(Fat), ৬৮০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ২২৩ মিলিগ্রাম ফসফরাস থাকে।
ম্যাজিকের মতো স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায় রুই মাছ, কিন্তু কতটুকু খাবেন?
মাছে ভাতে বাঙালি। প্রতিদিনের আহারে বাঙালির পাতে মাছ(Fish) থাকা চাই। আর মাছের মধ্যে রুই তো সবারই পছন্দের। রুই একটি অতিপরিচিত মাছ। তবে জানেন কি? শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা(Immunity) তৈরিতে এই মাছের তুলনা হয় না।
এই মাছে ক্যালোরির(Calories) পরিমাণ কম থাকায় যাদের অতিরিক্ত মেদ রয়েছে, তারা নিয়মিত এই মাছ খেতে পারেন। রুই মাছের তেলে থাকা ওমেগা থ্রি নামক অসম্পৃক্ত ফ্যাটি অ্যাসিড(Fatty acids), যা রক্তের ক্ষতিকারক কোলেস্টেরল এলডিএল ও ভিএলডিএল কমায় এবং উপকারী কোলেস্টেরল এইচডিএলের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়, ফলে হৃদযন্ত্রে চর্বি(Fat) জমতে পারে না। আমেরিকার স্কুল অব নিউট্রিশনের জার্নাল অনুযায়ী, এই মাছ উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কমায় এবং উচ্চ রক্তচাপ(High blood pressure) থাকলে তা কমাতেও সাহায্য করে।
ন্যাশনাল সেন্টার ফর বায়োলজিকাল ইনফর্মেশনের তথ্যানুযায়ী, ওমেগা থ্রি রক্তের অণুচক্রিকাকে জমাট বাঁধতে দেয় না, ফলে রক্তনালিতে জমাট বাঁধার কারণে স্ট্রোক(Stroke) হতে পারে না। স্ট্রোক প্রতিরোধে রুই মাছের ভূমিকার কথা উল্লেখ রয়েছে বেশ কয়েকটি গবেষণাপত্রেও।পুষ্টিবিদদের মতে, ভাল মানের প্রোটিনের অন্যতম উৎস এই মাছ(Fish)।
কী কী থাকে এই মাছে
১. ভিটামিন(Vitamins) এ, ডি, ই রয়েছে রুই মাছে।
২. ক্যালসিয়াম, জিঙ্ক, সোডিয়াম(Sodium), পটাসিয়াম, আয়রন ও খনিজে ভরপুর এই মাছ।
পুষ্টিবিদদের মত, “রুই মাছে কোলিন নামের একটি পদার্থ থাকে। প্রয়োজনীয় এই পুষ্টি(Nutrition) সম্প্রতি আবিষ্কার হয়েছে, এটি ডিএনএ সংশ্লেষে সাহায্য করে। স্নায়ুতন্ত্র, ফ্যাটের বিপাক ক্রিয়া এবং পরিবহণে সাহায্য করে।”
কিন্তু কতটুকু খেতে হবে এই মাছ?
তবে ভারসাম্য রেখে খাওয়ার বিষয়ে জোর দিচ্ছেন পুষ্টিবিদরা। তাদের মতে,দৈনিক রুই(Rohu) মাছের একটা বড় টুকরাই যথেষ্ট একজন মানুষের জন্য।
সুস্থ থাকুন, নিজেকে এবং পরিবারকে ভালোবাসুন। আমাদের লেখা আপনার কেমন লাগছে ও আপনার যদি কোনো প্রশ্ন থাকে তবে নিচে কমেন্ট করে জানান। আপনার বন্ধুদের কাছে পোস্টটি পৌঁছে দিতে দয়া করে শেয়ার করুন। পুরো পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।