সবাই চায় নিজের মুখের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে, কিন্তু এই উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে ফর্সা হওয়ার জন্য বিভিন্ন কম্পানির ক্রিম (Cream) ব্যবহার করি। লোভনীয় বিজ্ঞাপন দেখে ফর্সা হওয়ার জন্য আমরা এইসব ক্রিম (Cream) ব্যবহার করছি। তবে রঙ ফর্সাকারী ক্রিম মাখার আগে একবার সচেতনভাবে ভাববার জন্য ত্বক (Skin) বিশেষজ্ঞদের আহ্বান। দীর্ঘদিন ধরে এই আহ্বান দিয়ে আসছে ত্বক বিশেষজ্ঞরা।
লোভনীয় বিজ্ঞাপন দেখে ত্বক ফর্সায় ক্রিম ব্যবহারের আগে এই খবরটি পড়ে একবার ভাবুন
কারণ ত্বক বিশেষজ্ঞদের মতে, এসব ক্রিমের বেশিরভাগেই স্টেরয়েড মেশানো। এ ধরনের ক্রিমের যথেচ্ছ প্রয়োগে গালে বা মুখে ত্বকের জটিল অসুখ দেখা দিচ্ছে। কারও মুখ পোড়া দাগে ভরপুর, কেউ রোদে বেরোলেই অসহ্য জ্বালায় অস্থির। কখনও বা হরমোনের (Hormonal) গোলমাল হওয়ায় মেয়েদেরও দাড়ি-গোঁফ গজাচ্ছে।
ত্বকরোগ বিশেষজ্ঞ কৌশিক লাহিড়ীর কথায়, ‘রোজ চেম্বারে ১০ জন রোগীর মধ্যে চারজনই মুখে উল্টোপাল্টা ক্রিম মাখার উপসর্গ নিয়ে হাজির হন। কিছু কিছু ক্রিমের টিউবে ‘স্কিন লাইটেনিং’ কথাটাও লেখা থাকে। অনেকেই ফর্সা (Fair) হতে এসব মাখেন।’
চিকিৎসকদের দাবি, একবার স্টেরয়েড (Steroid) মেশানো ক্রিম মাখা অভ্যেস করলে ত্বকে স্টেরয়েডের নেশা ধরে নেয়। ক্রিম (Cream) মাখা বন্ধ করলেও জ্বালা-যন্ত্রণা বাড়তে থাকে।
ত্বকরোগ বিশেষজ্ঞ সঞ্জয় ঘোষের কথায়, ‘শুধুমাত্র শ্বেতি, এগজিমার মতো ত্বকের অসুখে স্টেরয়েড মেশানো ক্রিম (Cream) মুখে বা গায়ে মাখা যেতে পারে। সেটাও ডাক্তারের কথা শুনে অল্প-অল্প করে মাখতে হয়।’
সুস্থ থাকুন, নিজেকে এবং পরিবারকে ভালোবাসুন। আমাদের লেখা আপনার কেমন লাগছে ও আপনার যদি কোনো প্রশ্ন থাকে তবে নিচে কমেন্ট করে জানান। আপনার বন্ধুদের কাছে পোস্টটি পৌঁছে দিতে দয়া করে শেয়ার করুন। পুরো পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।