আশা করি সবাই ভাল আছেন। আজ আপনাদের মাঝে অরেকটি আর্টিকেল নিয়ে হাজির হলাম। আজ আপনাদের জানাবো প্রথম অভিজ্ঞতার এমন ১০টি মুহূর্ত সারা জীবনেও ভোলা যায় না।
প্রথম অভিজ্ঞতার এই ১০টি মুহূর্ত সারা জীবনেও ভোলা যায় না, আজই মিলিয়ে দেখুন
চুম্বন⇒ রবীন্দ্রনাথের শেষের কবিতা ধার করে সকলেরই বলতে ইচ্ছে করে জন ডানের সেই অমোঘ পঙক্তি প্লিজ হোল্ড ইয়োর টাঙ্গ এন্ড লেট মি লাভ। অবশেষে যখন সেই মুহূর্ত আসে, তখন তা হয়ে ওঠে স্বর্গীয়। ছবি সৌজন্যে — থিঙ্কস্টক
একা বাড়িতে রাত কাটানো⇒ একদম একা। আর কেউ নেই বাড়িতে। প্রথমবার এমন হলে ভয় মেশানো এক রোমাঞ্চ(Thrill) কাজ করে মনের ভিতর। পাশাপাশি, মনে হতে থাকে, এতদিনে সত্যিকারের বড় হলাম।
মাইনে⇒ টিউশনি হোক বা চাকরি, প্রথমবার রোজগারের টাকা হাতে পেলে মন আর্দ্র হয় না কার! পরে যতই বাড়ুক, প্রথম মাইনের মূল্যকে কখনই অতিক্রম করতে পারে না।
বন্ধুদের সঙ্গে ট্রিপ⇒ বাড়ির সঙ্গে ঘুরতে যাওয়া মানেই নিয়ম কানুনের বেড়াজাল। কিন্তু বন্ধুরা একসঙ্গে প্রথমবার বেরিয়ে পড়লে মনে হয় মেজাজটাই যে আসল রাজা। সেই স্বাধীনতার স্বাদ কখনই মুছে যাওয়ার নয়।
চিঠি পাওয়া⇒ কাঁপা কাঁপা মনে লেখা চিঠি। যে সে চিঠি নয়, প্রেমপত্র। কালিদাসের মেঘদূত হয়ে যা আজও চিরকালীন। হয়তো কাগজের জায়গা নিতে পারে ভার্চুয়াল শূন্যতা। তবে প্রথম চিঠি পাওয়ার রোমাঞ্চ কেউ ভোলে না।
বোর্ডের পরীক্ষা দেওয়ার অনূভূতি⇒ মাধ্যমিক বা সমতুল পরীক্ষার সময়েই প্রথমবার অন্য স্কুলে পরীক্ষা দিতে যাওয়ার অভিজ্ঞতা হয়। কে ভুলবে অচেনা স্কুলের সেই ব্ল্যাক বোর্ড(Black board) আর হাই বেঞ্চকে।
বেড়াতে যাওয়া⇒ নিজের চেনা চৌহদ্দির বাইরে প্রথম পা রাখার কথাই বা কে ভুলতে পারে। হতে পারে সমুদ্রের বিশালতা বা পাহাড়ের নৈঃশব্দ্য— যেটাই হোক প্রথমবার বেড়াতে যাওয়া কেউ ভোলে না।
সিগারেট খাওয়া⇒ কিশোর কুমারের গানে শ্বেত পরী বলে যাকে জেনেছে বাঙালি, বিধিবদ্ধ সতর্কীকরণকে উপেক্ষা করে বড় হয়ে যাওয়ার প্রমাণ দিতে বন্ধুদের সামনে অনেকেই সেই সিগারেটকে ঠোঁটের ডগায় স্থান দিয়েছে।
প্রেমে প্রত্যাখ্যান⇒ বঙ্কিমচন্দ্রের সেই অমর উক্তি বাল্যপ্রেমে অভিশাপ আছে কে না জানে। তবে শুধু বাল্যকালই নয় যেকোনও বয়সেই প্রত্যাখ্যানের জ্বালা সইতে হতে পারে। কিন্তু প্রথমবার সেই জ্বালা যে তীব্রতর তা নিয়ে তর্ক হবে না।
সাঁতার ⇒ জলের ভয় কাটিয়ে প্রথম যেদিন বন্ধুত্ব(Friendship) হয় নাব্যতার সঙ্গে, সেদিন নিজেকে সত্যিই বড় বলে মনে হয়।
সুস্থ থাকুন, নিজেকে এবং পরিবারকে ভালোবাসুন। আমাদের লেখা আপনার কেমন লাগছে ও আপনার যদি কোনো প্রশ্ন থাকে তবে নিচে কমেন্ট করে জানান। আপনার বন্ধুদের কাছে পোস্টটি পৌঁছে দিতে দয়া করে শেয়ার করুন। পুরো পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।