প্রচণ্ড তাপদাহে এখন যেন বাইরে বের হওয়াই দায়। ঘরে থাকলেও দরদর করে ঘাম (Sweat) হচ্ছে। ঘাম শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের উপায়। ঘা‘ম হলে আর্দ্রতা বাষ্পীভূত হয়ে আমাদের ঠান্ডা করে। ঘাম যদিও শরীর ঠান্ডা করার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপায়, কিন্তু অতিরিক্ত ঘাম বিড়ম্বনার কারণ হতে পারে। ঘামের কারণে দুর্গন্ধ সৃষ্টি হয় এবং পোশাকের নির্দিষ্ট অংশ দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়। কিছু টিপস অনুসরণ করে বিরক্তিকর ঘা‘ম থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
ঘাম কম হবে যে ১০ টিপস মানলে
১। অ্যান্টিপারসপিরেন্ট ব্যবহার করুন ঘুমানোর আগে। এটি কিন্তু ডিওডোরেন্ট (Deodorant) নয়। ডিওডোরেন্টের কাজ ঘামের দুর্গন্ধ দূর করা। আর অ্যান্টিপারসপিরেন্টের কাজ হচ্ছে ঘা‘ম বের হয় যে গ্রন্থিগুলো দিয়ে, সেগুলোকে আটকে দেওয়া। অর্থাৎ ঘা‘ম কমাতে সাহায্য করে এটি। এতে গ্রন্থি থেকে উৎপাদিত হয়, কিন্তু পৃষ্ঠে পৌঁছাতে পারে না।
২। বাতাস চলাচল করতে পারে এমন কাপড় পরুন গরমের দিনে। পোশাকের রঙ হিসেবে হালকা রঙ বেছে নিন। হালকা রঙ সূর্যের তাপ শোষণ করার পরিবর্তে প্রতিফলিত করতে সাহায্য করে, তাই সাদা বা হালকা রঙের পোশাক শরীর ঠান্ডা রাখতে এবং ঘা‘ম (Sweat) কমাতে পারে।
৩। অ্যালুমিনিয়াম ক্লোরাইডযুক্ত প্রসাধনী ব্যবহার করুন। এগুলো ঘা‘ম হওয়া কমাতে সাহায্য করে।
৪। অতিরিক্ত ঘাম থেকে বাঁচতে নির্দিষ্ট কিছু খাবার (Food) এড়িয়ে চলুন। যেমন মসলাদার খাবার অবশ্যই এড়িয়ে চলুন। এড়িয়ে চলুন বাড়তি ক্যাফেইন গ্রহণও। এসব খাবার আমাদের ঘাম বাড়ায়।
৫। বাহুমূল পরিষ্কার রাখুন সবসময়। ব্যাকটেরিয়া এবং গন্ধ দূর করতে প্রতিদিন সাবান দিয়ে ধুয়ে নিন অংশটি। অবাঞ্ছিত লোম (Unwanted hair) পরিষ্কার করুন নিয়মিত। ঘা‘ম কম হবে।
৬। শরীরের যেসব স্থানে অতিরিক্ত ঘাম হয় সেসব স্থানে বেবি পাউডার (Baby powder) ব্যবহার করুন।
৭। বেকিং সোডা নিন ১/৮ চা চামচ। পরিমাণ মতো পানির সঙ্গে মিশিয়ে তৈরি করুন পেস্ট। এই পেস্ট অতিরিক্ত ঘাম ও ঘামের দুর্গন্ধ থেকে মুক্তি দেবে আপনাকে। এছাড়া বেকিং সোডার সঙ্গে পছন্দের যেকোনও এসেনশিয়াল অয়েল (Essential oil) মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন ডিওডরেন্ট হিসেবে।
৮। প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি পান করুন। এতে শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকবে ও ঘা‘ম কম হবে।
৯। ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার যেমন দুগ্ধজাত খাবার খান বেশি করে। এছাড়া শাকসবজি (Vegetable), ফল, অলিভ অয়েল, বাদাম, ওটস, গ্রিন টি ও মিষ্টি আলু খান। এসব খাবার ঘাম কমাতে সাহায্য করে।
১০। উদ্বেগ কমানোর জন্য ইয়োগা বা মেডিটেশন (Meditation) করতে পারেন। কারণ স্ট্রেসের কারণে আমাদের ঘা‘ম বেশি হয়।
জেনে নিন
যদি মনে করেন যে কোনোভাবেই ঘা‘ম কমছে না, তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। কারণ হাইপারহাইড্রোসিস নামক অবস্থার কারণেও মাত্রাতিরিক্ত ঘাম হতে পারে।
সুস্থ থাকুন, নিজেকে এবং পরিবারকে ভালোবাসুন। আমাদের লেখা আপনার কাছে কেমন লেগেছে এবং আপনার যদি কোনো প্রশ্ন অথবা মতামত থেকে থাকে তবে নিচে কমেন্ট করে আমাদের জানাতে পারেন। আর আপনার বন্ধুদের কাছে পোস্টটি পৌঁছে দিতে শেয়ার করুন। সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।