অনেকে অনেক ধরনের পন্থাও গ্রহন করেন ওজন(Weight) কমানোর জন্য। কিন্তু, বহু মানুষ জানেন না, ডিম খেয়েও কমানো যেতে পারে ওজন। আপনার ফিটনেস রেজিম-এর ডায়েট চার্টে ঢুকিয়ে নিন ডিম(Egg)। আর, মাত্র ১৪ দিনেই হাতেনাতে পেয়ে যাবেন এর সুফল। বিশেষজ্ঞদের মতে, ডিম দিয়েই ১৪ দিনে শরীর থেকে ঝরিয়ে ফেলা যেতে পারে ১০ কিলো Weight। শুনতে অবিশ্বাস্য মনে হলেও এটাই সত্যি। মাত্র ৫ কিলো ওজন কমাতে কালঘাম ছুটে যায় সকলের। এমনকী, প্রচুর দৌড়-ঝাঁপ করেও মাস ছয়েকের আগে ৫ কিলো Weight কমানো খুবই কঠিন কাজ।
ডিম খেয়ে মাত্র ১৪ দিনে ১০কেজি ওজন কমিয়ে ফেলার দারুন কৌশল
তবে, ফিটনেস বিশেষজ্ঞরা বলছেন, খাদ্যাভ্যাসের সামান্য রদবল এবং আহারে রোজ ডিম(Egg) খেলে মাত্র ১৪ দিনেই অন্তত ১০ কিলো ওজন ঝরিয়ে ফেলা সম্ভব। এই ফিটনেস রেজিম-এ থাকার সময় কোনওভাবেই জাঙ্ক ফুড, মিষ্টি জাতীয় জিনিস বা মিষ্টি পানীয়, অ্যালকোহল(Alcohol) বর্জন করতে হবে। এমনকী, রোজ চিনি ও নুন খাওয়ার পরিমাণও কমাতে হবে।
২ সপ্তাহ ধরে দিনের কখন এবং কোন সময়ে ডিম(Egg) খেতে হবে এবং তার সঙ্গে খাদ্যাভ্যাসে আর কী কী থাকবে, তার জন্য একটি ডায়েট চার্ট(Diet chart)-ও বলে দিয়েছেন ফিটনেস বিশেষজ্ঞরা। একবার সেই চার্টে চোখ বুলিয়ে নিন। জেনে নিন ডিম খেয়ে ১৪ দিনে ১০ কিলো Weight কমানোর রাস্তাটা।
শরীরে অতিরিক্ত চর্বি(Fat) হওয়া মানেই হচ্ছে শরীরে রোগের ছড়াছড়ি। আর এক্ষেত্রে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, রক্তে চর্বি, হৃদরোগসহ নানা রোগে আক্রান্ত হয়ার ঝুঁকি বাড়ে।
বিজ্ঞানীরা জনান, এজন্য মানুষের বয়স ও উচ্চতা অুযায়ী যতটুকু ওজন দরকার, তার চেয়ে তিন কেজি বেশি হলেই ডায়াবেটিস(Diabetes) হওয়ার আশংকা ২৫-৩০ ভাগ বেড়ে যায়। রক্তচাপ বাড়ার ফলে হৃদরোগ হওয়ার আশংকা শতকরা ৪০ ভাগ বেড়ে যায়।
সঠিক ওজনের থেকে মাত্র এক কেজি Weight বাড়ালে অস্তিসন্ধিগুলোতে আর্থাইটিস হওয়ার ঝুঁকি শতকরা ১০ ভাগ বাড়ে। পেট মোটা আর অতিরিক্ত ওজন মানেই অসুস্থতার লক্ষণ।
চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা বলছেন, অতিরিক্ত স্বস্থ্য যাদের তারা যদি ছয় থেকে আট শতাংশ ওজন কমাতে পারে তাহলে- উচ্চ রক্তচাপ থাকলে কমে যাবে। রক্তে কোলেস্টেরল(Cholesterol) কমে যাবে। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আসবে। ওষুধ কম মাত্রায় গ্রহণ করতে হবে। শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক থাকবে। আর্থ্রাইটিস ব্যথা হ্রাস পায়।
তবে ওজন(Weight) ধীরে ধীরে কমান। দৈহিক শ্রম খুব জরুরি। খাবার গ্রহণে সতর্ক হোন। লিফটে না উঠে সিঁড়ি দিয়ে উঠুন। প্রতি সপ্তাহে নয়, প্রতি মাসের পরিকল্পনা নিয়ে Weight কমান।
প্রতি মাসে কমপক্ষে দুই কেজি ওজন(Weight) কমান। ছয় মাসে কমপক্ষে সাত থেকে দশ শতাংশ ওজন কমানোর লক্ষ্য স্থির করুন। কম সময়ে বেশি Weight কমানো ঠিক নয়। এতে হিতে বিপরীত হতে পারে।
সুস্থ থাকুন, নিজেকে এবং পরিবারকে ভালোবাসুন। আমাদের লেখা আপনার কেমন লাগছে ও আপনার যদি কোনো প্রশ্ন থাকে তবে নিচে কমেন্ট করে জানান। আপনার বন্ধুদের কাছে পোস্টটি পৌঁছে দিতে দয়া করে শেয়ার করুন। পুরো পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।