Home / স্বাস্থ্য টিপস / রাতে না খেয়ে ঘুমালে শরীরের উপর যে ৬টি প্রভাব পড়ে

রাতে না খেয়ে ঘুমালে শরীরের উপর যে ৬টি প্রভাব পড়ে

রাতে না খেয়ে ঘুমালে শরীরের উপর যে ৬টি প্রভাব পড়ে। ওজন (Weight) কমানোর কথা ভেবে বা আলসেমিতে অনেকেই রাতে ঠিকমতো না খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। খালি পেটে ঘুমালে মাঝরাতে ঘুম ভেঙে যেতে পারে। তখন মাঝরাতে হাতের কাছে আবার স্বাস্থ্যকর খাবার পাওয়ার নিশ্চয়তা নেই। তবে তার মানে এই নয় যে রাতে খালি পেটে ঘুমানো সব সময় স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর (Harmful)। খালি পেট নিয়ে ঘুমালে আমাদের শরীর ছয় রকম প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারে…রাতে না খেয়ে ঘুমালে

রাতে না খেয়ে ঘুমালে শরীরের উপর যে ৬টি প্রভাব পড়ে

ঠিকমতো ঘুম না হওয়া
রাতে পেট ভরে না খেলে পর্যাপ্ত ঘুম হয় না কিংবা ঘুম হলেও তা গাঢ় হয় না। ফলে মাঝরাত থেকে ভোর পর্যন্ত বিছানায় এপাশ-ওপাশ করতে হয়। খিদের অনুভূতি ঘুমের মধ্যেও আমাদের মস্তিষ্ককে জাগিয়ে রাখে। ফলে রাতে পর্যাপ্ত বিশ্রাম (Rest) হয় না।

ওজন বেড়ে যাওয়া
রাতে না খেয়ে ঘুমাচ্ছেন আর ভাবছেন হয়তো ভালো করছেন, ডায়েট (Diet) হচ্ছে। কিন্তু বাস্তবে হয় ঠিক এর উল্টো। রাতে না খেয়ে ঘুমালে রক্তে চিনির পরিমাণ অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যায়। ফলে পরের সারাটা দিন আমাদের শরীরের বিপাকক্রিয়া একটা লুপের মধ্যে পড়ে যায়। সঙ্গে ওজনটাও বেড়ে যায়। তাই একেবারে খালি পেটে না থেকে রাতে ঘুমানোর আগে ডার্ক চকলেট (Dark chocolate) খেতে পারেন। কিংবা মাঝরাতে ঘুম ভেঙে গেলেও উঠে ডার্ক চকলেট খেয়ে নিতে পারেন। রাতে না খেয়ে ঘুমাচ্ছেন আর ভাবছেন হয়তো ভালো করছেন, ডায়েট হচ্ছে। কিন্তু বাস্তবে হয় ঠিক এর উল্টো।

কৃশকায় হয়ে যাওয়া
সারা দিন জিমে ঘাম ঝরিয়ে লাভ নেই, যদি রাতে খালি পেটে ঘুমাতে যান। রাতে খালি পেটে ঘুমালে শরীর প্রোটিনের অভাব বোধ করে। শরীর তখন মাংসপেশিতে জমে থাকা প্রোটিন (Protein) ভেঙে নিজের চাহিদা পূরণ করে। ফলে ধীরে ধীরে শরীর কৃশকায় হয়ে পড়ে। তাই রাতে ঘুমানোর অন্তত এক ঘণ্টা আগে বেশ প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার খেয়ে নিন।

সকালে শরীরে বল না পাওয়া
রাতে ঘুমানোর সময় আমরা বিশ্রাম নিলেও আমাদের শরীরের বিপাকক্রিয়া থেমে থাকে না। সারা দিন-রাত ২৪ এই ঘণ্টা বিপাক চলতে থাকে। রাতে না খেয়ে ঘুমালে পাকস্থলী (Stomach) খালি থাকায় সারা রাত বিপাকক্রিয়ার ফলে সকালে সহজেই শরীর ক্লান্ত হয়ে পড়ে। কাঙ্ক্ষিত বল পাওয়া যায় না। রাতে না খেয়ে ঘুমালে পাকস্থলী খালি থাকায় সারা রাত বিপাকক্রিয়ার ফলে সকালে সহজেই শরীর ক্লান্ত হয়ে পড়ে।

বেশি বেশি মুড সুইং এবং রেগে যাওয়া
পাকস্থলী অপূর্ণ থাকলে শরীরের সেরোটোনিন (Serotonin) হরমোনের পরিমাণ ওঠা–নামা করতে থাকে। এই হরমোন আমাদের আচরণ নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে। ফলে দিনে বেশি বেশি মুড সুইং হয়। যখন–তখন রেগে যাওয়ার ব্যাপারটাও ঘটতে থাকে। রাতে না খেলে বেশি বেশি মুডসুইং হয় ও আপনি রেগে যান।

খাবার গ্রহণে নিয়ন্ত্রণ
রাতে না খেয়ে ঘুমানো সব সময় খারাপ নয়। মাঝেমধ্যে তা শরীরের জন্য ভালো কিছুও বয়ে আনে। যেমন রাতে না খেয়ে ঘুমালে সারা রাত পেট খালি থাকে, তাই সকালে বেশ খিদে পায়। ফলে সকাল সকাল নাশতা (Breakfast) সেরে ফেলার তাগিদ থাকে। এ কারণে সকালের নাশতা তখন পেট ভরেই খাওয়া যায়। এদিকে সকালে পেট ভরে নাশতা করার ফলে সারা দিন কী খাই কী খাই ভাবটা আর থাকে না। এভাবেই খাবার গ্রহণে থাকে নিয়ন্ত্রণ।

আমাদের লেখা আপনার কাছে কেমন লেগেছে এবং আপনার যদি কোনো প্রশ্ন অথবা মতামত থেকে থাকে তবে নিচে কমেন্ট করে আমাদের জানাতে পারেন। আর আপনার বন্ধুদের কাছে পোস্টটি পৌঁছে দিতে শেয়ার করুন। সুস্থ থাকুন, নিজেকে এবং পরিবারকে ভালোবাসুন।

Check Also

বেলের শরবত

সকালে খালি পেটে বেলের শরবত খাওয়ার ৭টি উপকারিতা

দিনের শুরুতে অনেক স্বাস্থ্যসচেতন মানুষেরই প্রথম পছন্দ বেলের শরবত খাওয়া। কিন্তু নিয়মিত এ শরবত খেলে ...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *