Home / লাইফস্টাইল / কখন কোন পোশাক পরবেন, তা জানেন কি?

কখন কোন পোশাক পরবেন, তা জানেন কি?

কথায় আছে, যশ্মিন দেশে যদাচরন। যার অর্থ যে স্থানে যেমন আচার সে স্থানে সেটা করাই বুদ্ধিমানের কাজ। ঠিক তেমনি পোশাকের ক্ষেত্রেও সত্য। তাই তো বলা হয়- স্থান,পরিস্থিতি বুঝে পোশাক (Dress) পরিধান করা ভালো। ব্যক্তির রুচি, ব্যক্তিত্ব, ফ্যাশন ভাবনা সবকিছু প্রকাশ করে পরিধেয় পোশাক। তাই কখন কি পরিধান করবেন এ বিষয়ে সচেতন থাকতে বলেন ফ্যাশনবোদ্ধারা। তবুও অনেকক্ষেত্রেই এসব নিয়ম কানুনের ধার ধারেন না কেউ। সেটি নিতান্তই ব্যক্তিগত ভাবনা।পোশাক

কখন কোন পোশাক পরবেন, তা জানেন কি?

জেনে নিন পোশাক পরিধানের ক্ষেত্রে কিছু টিপস-

১। দেশি পোশাক: শাড়ি, সালোয়ার-কামিজ, কুর্তি নারীর এসব পোশাক ফরমাল ওয়্যার হিসেবে স্বীকৃত৷ অফিসে ইন্টারভিউ (Interview) দিয়ে যাওয়ার সময় বা উচ্চপদস্থ কর্তাদের সঙ্গে মিটিং থাকলে স্বচ্ছন্দে দেশি পোশাক পরে যাওয়া যায়। তবে এড়িয়ে চলুন লেহেঙ্গা, স্কার্ট বা ক্রপ টপ বা কোনও ফিউশনের কম্বিনেশন। যদি কোনও ড্রেস কোড না থাকে তাহলে জিনস পরতে পারেন। তবে অফিসে লো ওয়েস্ট বা রিপড জিনস (Ripped jeans) পরা খুব ভালো হবে না। ঢিলেঢালা জিনস পরুন, লেগিংস, জেগিংসও পরতে পারেন। তবে সঙ্গের টপটি যেন খুব খোলামেলা না হয় সেদিকে খেয়াল রাখুন।

২। ব্লেজার: ব্লেজার কেনার আগে কয়েকটা ব্যাপার খেয়াল রাখবেন। কাঁধের কাছে ফিটিংটা ঠিক আছে কিনা সেটা সবার আগে দেখতে হবে। কাঁধ আর বগলের কাছটা যেন একেবারেই কুঁচকে না থাকে। অনলাইনে না কিনে ব্লেজার (Blazer) দোকানে গিয়ে একবার ট্রায়াল দিয়ে তবেই কিনুন। পরার পর দুটো হাত বার কয়েক ঘুরিয়ে দেখে নেবেন মুভমেন্টে কোনও বাধা সৃষ্টি হচ্ছে কিনা। ব্লেজারের হাতার ঝুল হবে আপনার কবজি পর্যন্ত। লম্বা ব্লেজার ট্রাউজার্সের সঙ্গে আর খাটো ব্লেজার স্কার্টের সঙ্গে পরা উচিত।

৩। ট্রাউজার্স: যাদের কোমর খুব সরু আর নিতম্বের কাছটা বেশি চওড়া, তারা এমন প্যান্ট কিনুন যার হিপের ফিটিংটা ঠিক হয়েছে, কোমরটা পরে অল্টার করিয়ে নিন। প্যান্ট শেষ হবে আপনার জুতোর উপর, তার হেমলাইন যেন মাটিতে ঘষা না খায়।

৪। স্কার্ট: ভালো ফিটিংয়ের ফরমাল স্কার্ট (Skirt) পরে হাঁটাচলায় কোনও অসুবিধে হওয়ার কথা নয়। নাভির কাছে বা তার চেয়ে একটু নিচ থেকে স্কার্ট শুরু হওয়ার কথা।

খেয়াল রাখবেন
বাটন ডাউন শার্টের দুই বোতামের মাঝের ফাঁকটা যেন বিচ্ছিরিভাবে দেখা না যায়।
ব্লাউজ বা টপের নেকলাইন যেন খুব গভীর না হয়, অন্তর্বাস বেরিয়ে থাকলে দেখতে খুব খারাপ লাগে।

আমাদের লেখা আপনার কাছে কেমন লেগেছে এবং আপনার যদি কোনো প্রশ্ন অথবা মতামত থেকে থাকে তবে নিচে কমেন্ট করে আমাদের জানাতে পারেন। আর আপনার বন্ধুদের কাছে পোস্টটি পৌঁছে দিতে শেয়ার করুন। সুস্থ থাকুন, নিজেকে এবং পরিবারকে ভালোবাসুন।

Check Also

মেঝেতে ঘুমানোর

গরমে মেঝেতে ঘুমানোর স্বাস্থ্য উপকারিতা জানেন কী?

গরমে মেঝেতে ঘুমানোর স্বাস্থ্য উপকারিতা জানেন কী? তীব্র তাপদাহে পুড়ছে দেশ। এমন দিনে একটুর স্বস্তির ...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *