মানসিক উদ্বেগ, দৈনন্দিন জীবনের অনিয়ম, পর্যাপ্ত খাওয়াদাওয়া না করা, সঠিক যত্নের অভাব- এমন বেশ কিছু কারণ চুল (Hair) ঝরার নেপথ্যে থাকে। অনেকেই টাক পড়ে যাওয়া নিয়ে অস্বস্তিতে ভোগেন। তবে টাক পড়ে যাওয়ার কারণ যা-ই হোক, তা নিয়ে বেশি ভাবলে চলবে না। বরং কোন টোটকায় চুল (Hair) গজাবে, তা ভাবা জরুরি। টাক পড়ে যাওয়া আটকাতে অনেকেই নানা রকম চেষ্টা করে থাকেন। বাজারচলতি নানা প্রসাধনী ব্যবহার করেন। তবে ঘরোয়া কিছু টোটকায় ভরসা রাখলে উপকার পেতে পারেন।
নতুন চুল গজানোর ৫টি ঘরোয়া টোটকা
১. তেল মালিশ : চুলহীন মাথায় তেল মালিশ করা নিয়ে অনেকেরই অস্বস্তি হতে পারে। তবে অস্বস্তি কাটিয়ে যদি নিয়মিত মাথায় তেল (Oil) মালিশ করা যায়, তা হলে কিন্তু টাক মাথায় চুল গজাতে বেশি দিন লাগবে না।
২. অ্যালোভেরা : ত্বকের যত্নে অ্যালোভেরার (Aloe vera) উপকারিতা কমবেশি সকলেরই জানা। কিন্তু টাক পড়ে যাওয়ার সমস্যা রুখতেও যে অ্যালো ভেরার ভূমিকা রয়েছে, তা হয়তো অনেকেই জানেন না। পাতা থেকে জেল বার করে মাথার ত্বকে লাগাতে পারেন। ঘণ্টাখানেক পরে ধুয়ে নিন। উপকার পাবেন।
৩. ওমেগা ফ্যাটি অ্যাসি়ড : সব চুলে উঠে গিয়ে একেবারে টাক পড়ে যাক, তা না চাইলে ব্যবহার করতে পারেন ওমেগা ফ্যাটি অ্যাসিড (Omega Fatty Acid)। ক্যাপসুল বাজারে কিনতে পাওয়া যায়। সপ্তাহে ৩-৪ দিন ব্যবহার করলে চুল ধীরে ধীরে গজাতে শুরু করবে।
৪. পেঁয়াজের রস : চুল ঝরা বন্ধ করতে পেঁয়াজের রস (Onion juice) ফলদায়ক। অনেকেই ব্যবহার করে সুফল পেয়েছেন। তাই টাক পড়ে যাওয়ার আগের পরিস্থিতিতে ভরসা রাখতে পারেন পেঁয়াজের রসের উপর।
৫. পাতিলেবু : নারকেল তেলের সঙ্গে লেবুর রস (Lemon juice) মিশিয়ে একটি মিশ্রণ বানিয়ে নিন। শ্যাম্পু করার আগে এই মিশ্রণটি মাথায় মেখে কিছু ক্ষণ অপেক্ষা করুন। অল্প কয়েক বার ব্যবহার করে ছেড়ে দিলে চলবে না। ধৈর্য ধরে ব্যবহার করুন। উপকার পাবেন।
আমাদের লেখা আপনার কাছে কেমন লেগেছে এবং আপনার যদি কোনো প্রশ্ন অথবা মতামত থেকে থাকে তবে নিচে কমেন্ট করে আমাদের জানাতে পারেন। আর আপনার বন্ধুদের কাছে পোস্টটি পৌঁছে দিতে শেয়ার করুন। সুস্থ থাকুন, নিজেকে এবং পরিবারকে ভালোবাসুন।