Home / স্বাস্থ্য টিপস / শারীরিক দুর্বলতা কাটাতে খেতে পারেন এই ৫ রকম খাবার

শারীরিক দুর্বলতা কাটাতে খেতে পারেন এই ৫ রকম খাবার

কর্মব্যস্ততার যুগে কাজটাই প্রাধান্য থাকে। মাঝে মাঝে নিজের শরীরের যত্নের কথাও যেন ভুলে যেতে হয়। কাজের ফাঁকে কখনও কখনও শরীরটা বেশ দুর্বল (Weak) হয়ে ওঠে। আমরা কারণ খুঁজে পায় না। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এমন কিছু খাবার আছে যা নিয়মিত খেলে শারীরিক দুর্বলতা কেঠে যাবে।শারীরিক দুর্বলতা

শারীরিক দুর্বলতা কাটাতে খেতে পারেন এই ৫ রকম খাবার

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এমন কিছু খাবার রয়েছে, যেগুলো খেলেই দূর হবে দুর্বলতা। এমনকী রোগ থাকবে দূরে। এরমধ্যে ভিটামিন-সি (Vitamin-C) অনেক গুরুত্বপূর্ণ। ভিটামিন-সির অভাব পূরণে বেশি করে টকজাতীয় ফল যেমন— কমলা, লেবু, আঙুর খেতে হবে। এ ছাড়া কিউই, লেটুসপাতা, পালংশাক ও মরিচ বেশি খেতে পারেন। এছাড়াও দুধ, ডিম, কলা ও কাজুবাদামেও দূর হয় শারীরিক দুর্বলতা।

জেনে নিন দুর্বলতা কাটানোর খাবারগুলো সম্পর্কে-

১. ফলমূল ও শাকসবজি: পুষ্টিবিদদের মতে, যেকোনো শাকসবজি (Vegetable) ও ফলমূল হচ্ছে ডায়েটের ভিত। এসব খাবার শরীরের জন্য খুবই উপকারী। এতে থাকা ফাইবার, ভিটামিন, খনিজ ও ফ্লুইড শরীর সুস্থ রাখে। এমনকী পেশি তৈরিতেও সাহায্য করে। তবে এতে বেশি পরিমাণে প্রোটিন (Protein) থাকে না। প্রোটিনের সংস্থান করতে এসব খাবারের পাশাপাশি অন্যান্য খাবারও খেতে হবে। তবেই পেশির ক্ষমতা বাড়বে; অসুখ থাকবে দূরে; কেটে যাবে শরীরিক দুর্বলতা।

২. দুগ্ধজাত খাবার: গবেষকরা বলছেন, নিয়ন্ত্রিত মাত্রায় লো ফ্যাট ডেয়ারি ফুড গ্রহণ করলে শরীর ভেতর থেকে সুস্থ হয়। এই ধরনের দুগ্ধজাত খাবারে রয়েছে উচ্চ গুণাগুণ সম্পন্ন প্রোটিন, কার্ব, এসেনসিয়াল প্রোটিন, ভিটামিন, পটাশিয়াম, ক্যালশিয়াম (Calcium) ইত্যাদি। তাই এই খাবারগুলো অবশ্যই ডায়েটে রাখার পরামর্শ পুষ্টিবিদরেদ। চাইলে বাজার থেকে লো ফ্যাট দুধ কিনে ঘরেই বানিয়ে নিতে পারেন দই কিংবা ছানা। কিছুদিন এই খাবার খেলে শারীরিক সুস্থতার পার্থক্য বোঝা যাবে সহজেই।

৩. কম চর্বিযুক্ত মাংস: মাংসে প্রচুর পরিমাণে খনিজ-পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম (Magnesium) ও সোডিয়াম থাকে। চর্বিহীন মাংসে ক্লোরাইড, বাইকার্বোনেট ও অ্যাসিড ফসফেট থাকে যা দেহ সুরক্ষিত রাখে। তাই পেশির ক্ষমতা বাড়াতে চাইলে কম চর্বিযুক্ত মাংস খেতে হবে। আর খাবার তালিকা থেকে একেবারেই বাদ দিতে হবে রেডমিট। এ ছাড়া খেতে পারেন মুরগির মাংস। তবে মুরগির সব অংশের মধ্যে বুকের মাংস খাওয়া ভালো। এই অংশের মাংসে থাকে না চর্বি (Fat)। আর এই ধরনের মাংসে রয়েছে অনেকটা পরিমাণে প্রোটিন। ফলে পেশি তৈরিতে সাহায্য করে। সেই উপকার পেতে চাইলে নিয়মিত খাওয়া শুরু করে দিন।

৪. ডিম: ডিম শরীরের জন্য খুবই উপকারী। এটি প্রোটিনের ভালো উৎস। শুধু তাই নয়, দেহ এই প্রোটিন অত্যন্ত সহজে গ্রহণ করে নেয়। তবে অনেকেই ডিমের সাদা অংশ খেয়ে কুসুম ফেলে দেন। এটা ঠিক না। কারণ কুসুমে রয়েছে লিউটিন, যা চোখের জন্য ভালো। তাই কোলেস্টেরল (Cholesterol), ডায়াবেটিস না থাকলে অনায়াসে ডিমের কুসুম খেতে পারেন।

৫. উদ্ভিজ্জ প্রোটিন: শিমের বীজে প্রচুর পরিমাণে উদ্ভিজ্জ প্রোটিন রয়েছে। এই প্রোটিন দেহের জন্য উপকারী। এ ছাড়া ওটস, ডালিয়ার মতো হোল গ্রেইনে রয়েছে ভরপুর ফাইবার যা রক্তে চিনির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে, ওজন (Weight) কমায়। পাশাপাশি বাদাম খান। আমন্ড, পেস্তা, ওয়ালনাট খাওয়া অত্যন্ত উপকারী। এতে রয়েছে প্রোটিন, ভিটামিন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট (Antioxidant)। ফলে পেশির জোর বাড়ে কয়েকগুণ।

সুস্থ থাকুন, নিজেকে এবং পরিবারকে ভালোবাসুন। আমাদের লেখা আপনার কাছে কেমন লেগেছে এবং আপনার যদি কোনো প্রশ্ন অথবা মতামত থেকে থাকে তবে নিচে কমেন্ট করে আমাদের জানাতে পারেন। আর আপনার বন্ধুদের কাছে পোস্টটি পৌঁছে দিতে শেয়ার করুন। সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

Check Also

ক্ষুধা

বারবার ক্ষুধা লাগার ৫টি কারণ জেনে নিন

ভরপেট খাওয়া হলেও কিছুক্ষণ পর আবার ক্ষুধা (Hunger) পেয়ে যাচ্ছে। অনেকেই বলছেন এই অনুভূতির কথা। ...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *