চুল পড়া (Hair fall) সমস্যা কম-বেশি সবারই রয়েছে। শীতের সিজনে আবার চুল পড়ার পরিমাণ এমনিই বাড়ে। এর সঙ্গে চুলের যত্ন নিতে নানা মুনির নানা মত। কেউ বলছেন ঘরে টোটকার কথা, কারও আবার পছন্দ আয়ুর্বেদ। কিন্তু কোনটা ঠিক? বিশেষজ্ঞদের মতে, অকালে যদি চুল পড়ার(Hair fall) সমস্যায় ভুগে থাকেন তবে এই তেল আপনার পক্ষে বেশ উপকারী হতে পারে।
শীতের আগে চুল পড়া কমাতে এগ অয়েল
এটি ওমেগা ৩ এবং ওমেগা ৬ এর পাশাপাশি ফ্যাটি অ্যাসিডগুলির উত্সত, সেই সঙ্গে থাকে ইএফএ। যা চুলের যত্নের জন্য সবচেয়ে প্রয়োজনীয় বলে মনে করা হয়। ডিমের তেলের (Egg oil) অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি সম্পত্তি ড্যানড্রাফ এবং চুল পড়ার সমস্যা দূর করে মাথার ত্বকের অবস্থার উন্নতি করে। এছাড়াও শুকনো চুলকে ময়েশ্চারাইজ করার জন্য ডিমের তেলকে (Egg oil) সেরা বলে মনে করা হয়।
ডিমের যে নানা উপকারিতা রয়েছে একথা বহুবার শুনেছেন, বহু জায়গায় পড়েছেন। ডিমের নানা পদের স্বাদও খেয়ে নিয়েছেন। কিন্তু ডিমের কুসুম নিঃসৃত তেল বা এগ অয়েলও (Egg oil) বেশ উপকারী। গ্রিক পূরাণে এর উল্লেখ পাওয়া যায়। উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে ডিমের কুসুমের নির্যাস নিয়ে তা থেকে এই তেল তৈরি করা হয়। ৫ আউন্স অর্থাৎ প্রায় ১৫০ গ্রাম মতো তেল তৈরি করতে লাগে প্রায় ৫০টি ডিমের কুসুম। ডিমের মতোই এর নানাবিধ উপকারিতা।
ডিমের তেল কী?
ডিমের তেলকে ডিমের জোয়াল তেলও বলা হয় যা ডিমের কুসুম অর্থাত্ ডিমের হলুদ অংশ থেকে এটি উৎপন্ন হয়। ডিমের হলুদ অংশ ট্রাইগ্লিসারাইড, কোলেস্টেরল(Cholesterol) এবং ফসফোলিপিড থাকে। বেশ কয়েকটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে কোলেস্টেরল আমাদের ত্বকের পাশাপাশি চুলের জন্যও ভালো। কোলেস্টেরল সহজেই আমাদের চুলের স্ক্যাল্পে শুষে নেয়। এছাড়াও ডিমের তেল ওমেগা ৩ এবং ওমেগা ৬ সমৃদ্ধ যা কোশগুলির স্বাভাবিক বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
ডিমের তেল লাগানোর উপকারিতাগুলো দেখে নিন-
চর্মরোগ সারাতে-ডিমের কুসুম থেকে তৈরি হওয়ায় এই তেলে প্রচুর পরিমাণে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট ও অ্যান্টি অক্সিডেন্টস(Antioxidant) থাকে। যা একাধিক চর্মরোগ সারাতে সাহায্য করে। রুক্ষতা দূর করে ত্বকে স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা ও মসৃণতা ফিরিয়ে আনে।
ব্রণর সমস্যারও সমাধান-ডিমের কুসুমের তেলে থাকে অ্যান্টি-ব্যাক্টিরিয়াল ও অ্যান্টি-ফাঙ্গাল(Anti-fungal) উপকরণ। এর ফলে ত্বকের বিভিন্ন দাগ দূর হয়। ব্রণর সমস্যারও সমাধান করে এই তেল।
খুশকির সমস্যা ও নতুন চুল গজাতে- চুলের ক্ষেত্রেও এই তেল খুব উপকারী। প্রথমে চুলের গোড়ায় এই তেল দিয়ে ভাল করে মালিশ করতে হবে। তারপর গরম জলে ভেজা তোয়ালে দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। এতে খুশকির সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। পাশাপাশে চুল পড়াও বন্ধ হবে। নতুন চুল(Hair) গজাতেও এই তেল সাহায্য করে।
ত্বকের উজ্জ্বলতা-ডিমের কুসুমের তেল মালিশ করলে শরীরে রক্ত(Blood) সঞ্চালন ভালো হয়। এতে ত্বকের জেল্লা ফেরে।
অ্যালার্জি হয় না- এই তেলের সবচেয়ে বড় গুণ হল, যাদের ডিম খেলে অ্যালার্জি(Allergie) হয়, তারা অনায়াসে ব্যবহার করতে পারবেন। কারণ এতে অ্যালার্জি হয় না।
সুস্থ থাকুন, নিজেকে এবং পরিবারকে ভালোবাসুন। আমাদের লেখা আপনার কেমন লাগছে ও আপনার যদি কোনো প্রশ্ন থাকে তবে নিচে কমেন্ট করে জানান। আপনার বন্ধুদের কাছে পোস্টটি পৌঁছে দিতে দয়া করে শেয়ার করুন। পুরো পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।