সারা বছর ধরেই ত্বকে ব্রণের আনাগোনা দেখা যায়। তবে গ্রীষ্মকালে এর মাত্রা বাড়ে। সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি, ত্বকে ঘামের মাত্রা বৃদ্ধি ইত্যাদির কারণে ব্রেক আউট দেখা দেয়। ব্যাঙ্গালরের ‘স্কিনোলোজি সেন্টার’য়ের ত্বক বিশেষজ্ঞ এবং কসমেটোলজিস্ট দীপ্তি রবিশংকর টাইমসঅফইন্ডিয়া ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলেন, “ত্বকে ব্রেক আউটের সমস্যা থাকলে গরমকালে অবস্থা আরও খারাপের দিকে যায়। ব্রণের মাত্রা সাধারণত রোদের জন্য নয় বরং বাড়তি তেল নিসরণের জন্য বৃদ্ধি পায়। গরমের কারণে তেল উৎপাদন বৃদ্ধি, ঘাম লোমকূপকে আবদ্ধ করে ফেল যে কারণে ব্রণ (Acne) দেখা দেয়।“
গরমের কারণে হওয়া ব্রণ দূর করার উপায়
তিনি আরও বলেন, “ত্বক উজ্জ্বল এবং স্বাস্থ্যকর রাখতে সানস্ক্রিন, ময়েশ্চারাইজার (Moisturizer), সেরাম ইত্যাদি ব্যবহার করে থাকি। তবে এই পণ্যগুলো ঘামের সঙ্গে মিশে লোমকূপগুলো আটকে দিতে পারে। ফলে দেখা দেয় ব্রেকআউট।” ব্রণ ও ব্রেকআউট নানানভাবে দেখা দিতে পারে। হালকা সমস্যা দেখা দিলে (ব্ল্যাক হেডস, হোয়াইট হেডস) স্যালিসাইলিক অ্যাসিড বা বেনজায়েল পারঅক্সাইড সমৃদ্ধ ফেইস ওয়াশ ব্যবহার করে সমাধান পাওয়া যেতে পারে। আর প্রদাহ বেশি থাকলে ও ব্রণ গুরুতর হলে ত্বক বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ গ্রহণ করা জরুরি বলে মনে করেন, তিনি।
গ্রীষ্মের ব্রণ দূরে রাখার উপায়
১। গরমকালে ত্বকের ধরন বুঝে ফোমিং ফেইসওয়াশ (Facewash) দিয়ে দিনে দুবার মুখ পরিষ্কার করতে হবে। অতিরিক্ত মুখ ধোয়া ত্বক শুষ্ক করে ফেলে। ফলে জ্বলুনি ও ব্রেক আউট দেখা দেয়।
২। দিনের বেলায় সব সময় সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে।
৩। দিনে ত্বক চিটচিটে হয়ে আসলে সতেজ অনুভূতির জন্য ফেইস মিস্ট (Face mist) ব্যবহার করা যেতে পারে।
৪। লোমকূপ উন্মুক্ত রাখতে ভারী লোশন, ক্রিম ব্যবহার বাদ দিতে হবে। পরিবর্তে হালকা ময়েশ্চারাইজার এবং জেল ভিত্তিক সানব্লক ব্যবহার করতে হবে।
৫। ত্বকে খুব বেশি শক্ত স্ক্রাব ব্যবহার করা ঠিক নয় এতে জ্বলুনি ও ব্রণ (Acne) বাড়তে পারে।
৬। অকারণে ব্রণ খোঁচানো ঠিক না। এতে জীবাণূ অন্যত্র ছড়িয়ে গিয়ে সংক্রমণ বাড়ায় এবং ত্বকে দাগ সৃষ্টি করে।
৭। মাস্কের কারণে অনেক সময় ব্রণ হওয়ার প্রবণতা বাড়ে। এর ফলে ত্বকে ঘষা লাগে এবং আর্দ্রতা বেড়ে গিয়ে আবদ্ধ স্থানে ব্রণ (Acne) দেখা দেয়। তাই সবসময় পরিষ্কার মাস্ক ব্যবহার করা উচিত। আর দিনে দুবার মুখ ধোয়া উচিত।
৮। গরমকালে বাড়তি চিনিযুক্ত পানীয় পান বা উচ্চ গ্লাইসেমিক ইন্ডেক্স সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া ইন্সুলিনের মাত্রা বাড়ায়। ফলে সিবামের নিঃসরণ বাড়ে। এক্ষেত্রে নিজেকে আর্দ্র রাখা ভালো ফলাফল দেয়।
৯। সুইমিং পুল বা সমুদ্রে নামলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব গোসল করে নেওয়া উচিত। নয়ত এর পানিতে থাকা ক্লোরিন বা লবণ ত্বকে অনেকক্ষণ আটকে থাকলে ব্রণের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
সুস্থ থাকুন, নিজেকে এবং পরিবারকে ভালোবাসুন। আমাদের লেখা আপনার কাছে কেমন লেগেছে এবং আপনার যদি কোনো প্রশ্ন অথবা মতামত থেকে থাকে তবে নিচে কমেন্ট করে আমাদের জানাতে পারেন। আর আপনার বন্ধুদের কাছে পোস্টটি পৌঁছে দিতে শেয়ার করুন। সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।