ঘরে-বাইরে সবখানেই গ্রীষ্মের ঝলসানো হাওয়ার দাপট। পুড়ে যাচ্ছে ত্বক। শুকিয়ে যাচ্ছে মুখ। তৃষ্ণা বাড়ছে। প্রখর সূর্যের তাপ, গরম, ঘাম সব মিলিয়ে বিপর্যস্ত কর্মচঞ্চল জীবন। অতিরিক্ত গরম ও ঘামের ফলে শরীরে দেখা দিচ্ছে পানিস্বল্পতা, ডায়রিয়া ও হজমে সমস্যাজনিত নানা সমস্যা, এমনকি শরীরে র্যাশ, জ্বর থেকে হিট স্ট্রোক (Heat stroke) পর্যন্ত হয়। পাশাপাশি পানিবাহিত নানা রোগের প্রাদুর্ভাব তো আছেই। সুস্থ থাকতে পানীয় ও খাবার নির্বাচনে সতর্ক হতে হবে।
এই গরমে সুস্থ রাখবে হালকা খাবার
খাবারের তালিকায় যা রাখবেন
১। কম তেল-মসলায় রান্না ঝোল রাখা তরকারি খেতে চেষ্টা করুন। এর সঙ্গে মেন্যুতে রাখতে পারেন সবজি, পাতলা ডাল বা আমডাল ও পর্যাপ্ত সালাদ। ফল, ফলের রস (Fruit juice), সবজি ও সালাদ শরীরে প্রচুর পানি ও আঁশ সরবরাহ করে শরীরকে কর্মক্ষম ও সুস্থ রাখে।
২। মাঝেমধ্যে ডাবের পানি ও স্যালাইন খেতে পারেন। কিন্তু যাদের উচ্চ রক্তচাপ (High blood pressure) বা হাইব্লাডপ্রেসারের সমস্যা আছে তারা স্যালাইনের পরিবর্তে বেশি করে পানি খাবেন। পাশাপাশি লেবুর পানি বা ডাবের পানি খেতে পারেন।
৩। গরমে এমন খাবার বেছে নিন, যা আপনার পেট ঠাণ্ডা রাখবে। ভাত কিংবা রুটি যে যা খেতে অভ্যস্ত, তার সঙ্গে অল্প তেল-মসলাযুক্ত তরকারি নির্বাচন করুন। পেট গরম করে এমন খাবার বাদ দিয়ে বেছে নিন পেঁপে, কলা, লাউ, ডাঁটা, শসা, করল্লা, ঢেঁড়স, লালশাক, পুঁইশাক, কলমিশাক, চালকুমড়া, মিষ্টিকুমড়া, ধুন্দল, চিচিঙ্গা, পটোল, কচুশাক, সজনে পাতা প্রভৃতি।
৪।পাশাপাশি দেশি ও ছোট মাছের পদ। লাল মাংসের পরিবর্তে সাদা মাংসকেই প্রাধান্য দিন। আর খাবার অবশ্যই হবে লো-ক্যালরিযুক্ত ও সুষম (Balanced)। চর্বিযুক্ত মাছ ও মাংস খাওয়া এড়িয়ে চলুন।
৫। পেঁপে, কাঁচা বা পাকা আমের জুস কিংবা গাজর (Carrot), শসা বা টমেটোর জুস খেতে পারেন। ফলের মধ্যে বেছে নিন বেশি আঁশ সমৃদ্ধ ও কম মিষ্টি ফল। রাখুন বাঙ্গি, তরমুজ, বেলের শরবত কিংবা দই, লাচ্ছি, মাঠা, লাবাং বা পুদিনা পাতা। দইয়ের স্মুদি, ঠাণ্ডা কাস্টার্ড, ফালুদা বা ফ্রুটস সালাদও খেতে পারেন।
৬। খাবারের তালিকা থেকে বাদ দিন তেলে ভাজা খাবার, অতিরিক্ত মিষ্টি ও উচ্চ ক্যালরিবহুল খাবার। রাতের খাবারও হবে খুব হালকা।
৭। বাইরের খোলা খাবার এড়িয়ে চলুন। হোটেল-রেস্টুরেন্টে তৈরি খাবার, পানি, রাস্তার পাশে তৈরি নানা শরবত, পানীয়, পানি, জুস প্রভৃতি অস্বাস্থ্যকর খাবার থেকে নিজেকে দূরে রাখুন।
৮। অতিরিক্ত গরমে ‘হিট স্ট্রোক’ হওয়ার আশঙ্কা থাকে বলে ছায়াযুক্ত ও বাতাস চলাচল করে এমন জায়গায় কাজ করার চেষ্টা করুন।
৯। বাইরে বের হলে অবশ্যই সঙ্গে ছাতা রাখুন। ব্যাগে রাখুন পানির বোতল। সারা দিনে ১২ থেকে ১৩ গ্লাস পানি (Water) পান করুন।
সুস্থ থাকুন, নিজেকে এবং পরিবারকে ভালোবাসুন। আমাদের লেখা আপনার কাছে কেমন লেগেছে এবং আপনার যদি কোনো প্রশ্ন অথবা মতামত থেকে থাকে তবে নিচে কমেন্ট করে আমাদের জানাতে পারেন। আর আপনার বন্ধুদের কাছে পোস্টটি পৌঁছে দিতে শেয়ার করুন। সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।