Home / লাইফস্টাইল / গৃহে আগুন লাগার ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয় যে ৭টি কাজে

গৃহে আগুন লাগার ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয় যে ৭টি কাজে

আশা করি সবাই ভাল আছেন। আজ আপনাদের মাঝে অরেকটি আর্টিকেল নিয়ে হাজির হলাম। আজকের আর্টিকেলটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আজ জানতে পারবেন গৃহে আগুন(Fire) লাগার ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয় যে সব কর্মকান্ড। আধুনিক সব বাড়িতেই বিদ্যুৎ(Electricity) ও গ্যাসের সংযোগ রয়েছে। ফলে নিঃসন্দেহে রয়েছে আগুন ধরে যাওয়ার ঝুঁকি। সাবধান থাকলে ঘরে আগুন ধরার ঝুঁকি(Risk) অনেক কমে যায় বটে। কিন্তু তারপরেও অগ্নিকাণ্ড ঘটতে পারে মুহূর্তের মাঝেই। কিছু কাজের অভ্যাস থাকলে ঘরে আগুন লাগার ঝুঁকিটা বেড়ে যায়। সাবধান থাকতে এসব কাজের অভ্যাস(Habits) বাদ দিন।গৃহে আগুন লাগার ঝুঁকি

গৃহে আগুন লাগার ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয় যে ৭টি কাজে

১) চুলা জ্বালিয়ে রান্নাঘরে ছেড়ে চলে যাওয়া
রান্না চড়িয়ে দিয়ে অনেকেই গরম সহ্য করতে না পেরে রান্নাঘর(kitchen) থেকে চলে যান। হয়তো ফ্যান ছেড়ে একটু ঠাণ্ডা হয়ে নেন অথবা অন্য কোনো কাজ করেন। এ কাজটি দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে। আপনি ঘুমিয়ে পড়তে পারেন বা বেমালুম ভুলে যেতে পারেন চুলা(stove) জ্বালানো আছে। এ থেকে ঘরে আগুন লেগে যেতে পারে।

২) চুলায় আঁচ বেশি দেওয়া
দাউদাউ করে চুলা(stove) জ্বালানোটা বিপজ্জনক। আপনি যদি চুলার পাশে দাঁড়িয়ে থাকেন, তারপরেও বিপজ্জনক। বিশেষ করে রান্নার পাত্র থেকে ঝদি ধোঁয়া ওঠে বা তেলে আগুন লেগে যায়, তাহলে সমূহ বিপদের ঝুঁকি(Risk) রয়েছে।

৩) চুলার আশেপাশে ময়লা হয়ে থাকা
রান্না(Cooking) করার সময়ে চুলার আশেপাশে তেল-ঝোল পড়তেই পারে। কিন্তু এসব ময়লা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলতে হবে। নয়তো এই তেলে আগুন লেগে দুর্ঘটনা(Accident) ঘটতে পারে।

৪) সিগারেট পুরোপুরি না নেভানো
চুলার আগুন থেকে বেশিরভাগ বাড়িতে আগুন লাগলেও ধূমপানের(Smoking) আগুন থেকেও দুর্ঘটনা ঘটে। বিশেষ করে সিগারেট পুরোপুরি নেভানো না হলে ঘরে আগুন লেগে যেতে পারে। আপনার বাড়িতে ধূমপায়ী থাকলে তাকে বাইরে (বারান্দায় বা বাগানে) গিয়ে ধূমপান(Smoking) করতে বলুন। বালু বা পানিতে সিগারেট পুরোপুরি নেভানো হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত করুন।

৫) অনিরাপদ মোমদানির ব্যবহার
বিদ্যুৎ চলে গেলে অনেকে এখনো মোমবাতি(Candles) ব্যবহার করেন। কেউ কেউ এমনিতেই সেন্টেড ক্যান্ডেল ব্যবহার করেন ঘরে সুগন্ধি আনতে। কিন্তু এই মোমবাতি অনিরাপদ মোমদানিতে রাখা উচিত নয়। মোমদানি উল্টে আশেপাশের ফার্নিচারে বা কাপড়ে আগুন(Fire)লেগে যেতে পারে।

৬) ছেঁড়া বিদ্যুতের তার
ঘরের কোথাও ছেঁড়া, ফাটা বা এলোমেলো বিদ্যুতের তার থেকে আগুন(Fire) লেগে যেতে পারে। এছাড়া মাল্টিপ্লাগ ব্যবহার করাটাও কিন্তু ঝুঁকি(Risk) তৈরি করে। সরাসরি দেয়ালের আউটলেটে প্লাগ লাগিয়ে কাজ করুন।

৭) বাসায় ফায়ার এক্সটিংগুইশার না থাকা
এ ব্যাপারটাকে অনেকে আদিখ্যেতা মনে করতে পারেন। কিন্তু বাসায় একটা ফায়ার এক্সটিংগুইশার থাকাটা প্রয়োজনের সময়ে খুবই কাজে লাগে। ছোট একটি ফায়ার এক্সটিংগুইশার থাকলে যে কোনো ধরণের অগ্নিকাণ্ড(Fire) সহজে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। রান্নার সময়ে বড় একটা ঢাকনা পাশে রাখুন। প্যানে আগুন ধরে গেলে তা চাপা দিলে আগুন নিভে যাবে। এছাড়া লবণ বা বেকিং সোডা(Baking soda) ব্যবহার করেও এই ধরণের আগুন নেভানো যায়।

আমাদের লেখা আপনার কেমন লাগছে ও আপনার যদি কোনও প্রশ্ন থাকে তবে নিচে কমেন্ট করে জানান । আপনার বন্ধুদের কাছে পোস্টটি পৌঁছে দিতে দয়া করে শেয়ার করুন । পুরো পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

Check Also

ঘর ঠান্ডা

এই গরমে এসি ছাড়াই ঘর ঠান্ডা রাখার কৌশল জেনে নিন

এই গরমে এসি ছাড়াই ঘর ঠান্ডা রাখার কৌশল। দেশের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে চলছে। ...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *