Home / স্বাস্থ্য টিপস / ১৫ টাকার যে ফলটি খেলে ১০ দিনের মধ্যে ডায়াবেটিস চিরতরে নির্মূল। জেনে নিন সেই ফলের নাম

১৫ টাকার যে ফলটি খেলে ১০ দিনের মধ্যে ডায়াবেটিস চিরতরে নির্মূল। জেনে নিন সেই ফলের নাম

ডায়াবেটিস(Diabetes) বা বহুমূত্র রোগে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা দিনে দিনে বাড়ছে। এ রোগের কারণে দেখা দেয় অনেক ধরনের সমস্যা। শুধু বড়দেরই এ রোগ হয়,তা নয়। ছোটদেরও ডায়াবেটিস (Diabetes) হতে পারে। ডায়াবেটিসের ফলে রক্তে চিনি বা শকর্রার উপস্থিতিজনিত অসামঞ্জস্যতা দেখা দেয়। এর ফলে দেহ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা(Immunity) হারায়। ডায়াবেটিস(Diabetes) চিরতরে নির্মূল – আমরা যদি নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন করতে পারি তাহলে এই রোগকেও নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ করা সম্ভব। সেই সাথে প্রবন্ধের শেষে বর্ণিত ভেষজ ঔষধগুলো সেবন করলে এ রোগ থেকে নিশ্চিত মুক্ত হয়ে স্বাভাবিকভাবে জীবনযাপন করা যাবে।ডায়াবেটিস

১৫ টাকার যে ফলটি খেলে ১০ দিনের মধ্যে ডায়াবেটিস চিরতরে নির্মূল।

ডায়াবেটিস রোগের কিছু লক্ষণ আছে যেগুলো দেখা দিলে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।

১. ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া।
২. খুব বেশি পিপাসা লাগা।
৩. বেশি ক্ষুধা লাগা।
৪. যথেষ্ট খাওয়া সত্ত্বেও ওজন(Weight) কমে যাওয়া।
৫. ক্লান্তি ও দুর্বলতা বোধ করা।
৬. ক্ষত শুকাতে দেরি হওয়া।
৭. চোখে কম দেখা।

কিছু খাবার আছে যেগুলো ডায়াবেটিস রোগকে নিয়ন্ত্রণ রাখবে:

১. বাদাম: বাদাম অত্যন্ত পুষ্টিকর খাবার। এটি নিয়মত খেলে বিভিন্ন রোগের মৃত্যুর ঝুঁকি কমে যায়। বাদামে প্রচুর আঁশ, পুষ্টিকর(Nutritious) উপাদান ও হৃৎপিণ্ডের জন্য উপকারি উপাদান আছে। বাদামে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক বেশি। দৈনিক ১০ গ্রাম বাদাম গ্রহণ করলে মারণব্যাধি রোগের ঝুঁকি থেকেও রক্ষা পাওয়া যাবে বলে দাবি গবেষকদের।

২. বীজ: বাদামের মত বীজ জাতীয় খাদ্য শস্যও আমাদের দেহের জন্য উপকারী। যেমন এতে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা-৩ আছে। ডায়াবেটিস(Diabetes) রোগীর জন্য সূর্যমুখীর বীজ ও কুমড়ার বীজ অনেক উপকারী। বীজ খেলে দেহে রক্ত(Blood) চলাচল স্বাভাবিক থাকে।,

৩. মাছ: মাছে প্রচুর পরিমাণ প্রোটিন(Protein) থাকে। একটি সুস্থ জীবনধারার জন্য প্রোটিন অতিব গুরুত্বপূর্ণ, যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী। মাছে ওমেগা-৩ আছে এবং যা স্বাস্থ্য ঝুঁকি কমায়। মাছ বেশি করে ভেজে খাওয়া ডায়াবেটিস(Diabetes) রোগীদের জন্য উপকারী।

৪. বেরি অর্থাৎ স্ট্রবেরি, ব্লুবেরি, জাম জাতীয় ফল: বেরি জাতীয় এই ফলগুলো বিশ্বের অধিক পুষ্টিকর খাদ্যের মধ্যে অন্যতম। এসব ফলে অ্যানথোসায়োনেনস নামের উপাদান রয়েছে যা মানবদেহের রক্তের ইনসুলিন(Insulin) ভারসাম্য ঠিক রাখে ও রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে এবং ডায়াবেটিসের ঝুঁকি হ্রাস করে। ডায়াবেটিস দুই টাইপের হয়, যেমন টাইপ-১ ও টাইপ- ২ । টাইপ- ১ রোগীদের জন্য বেরি ইনসুলিন(Insulin) উৎপাদন বাড়িয়ে দেয় ও টাইপ-২ রোগীদের জন্য রক্তে শর্করার পরিমাণ বারিয়ে তুলে। তারা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ফাইবার সমৃদ্ধ।

৫. মটরশুঁটি: ফাইবার বা আঁশযুক্ত খাবার ডায়াবেটিস(Diabetes) রোগীর জন্য অনেক উপকারী। মটরশুঁটিতে আছে ভরপুর ফাইবার। মটরশুঁটি রক্তের গ্লুকোজের মাত্রাকে সাধারণ মাত্রায় রাখে।,

৬. ব্রোকলি: সবজি জিনিসটা সকল মানুষের জন্য উপকারী। কিন্তু ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য অতিব জরুরি একটি খাবার হল সবজি। ব্রোকলি একটি ভিটামিন-সি(Vitamin-C) সমৃদ্ধ এমন একটি বিশেষ যৌগ আছে যা ডায়াবেটিস(Diabetes) এর সাথে যুদ্ধ করে রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে। ব্রোকলি হৃদরোগের বিরুদ্ধেও বেশ কার্যকর।

৭. পাতা/বাঁধাকপি: শীতকালীন সবজি পাতাকপি বা বাঁধাকপি। আমাদের দেশে পাতাকপি ভাজি একটি জনপ্রিয় খাবার। বিশেষ করে মাংসের সাথে পাতাকপির ঝোল বেশ উপাদেয় খাবার। সালাদে শশা(Cucumber), গাজর, টমেটোর সাথে পাতাকপি মেশালে অনেক মজা হয়। পাতাকপি অনেক কম কার্ব যুক্ত । এই সবজি টি টাইপ-২ রোগীদের ডায়াবেটিসের ঝুঁকি হ্রাস করে এবং টাইপ-১ রোগীদের রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রনে রাখে।

৮. আ্যভোকাডো: মেক্সিকো ও মধ্য আমেরিকার ফল(Fruit) আ্যভোকাডো। তবে চাষ করলে আমাদের মাটিতেও ফলান যায় এই ফল। ভেষজ চিকিৎসায় অ্যাভোকাডো(Avocado) যেন সর্ব রোগের মহা ওষুধ। আ্যভোকাডো শরীরের রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখে। এমনকি এটি হৃদরোগের বিরুদ্ধেও লড়াই করে।

৯. চা: চা এন্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ একটি পানীয়। গ্রিন-টি বা সবুজ চা কিংবা রং চা ডায়াবেটিস(Diabetes) রোগীর জন্য উপকারী। তবে, চায়ে চিনি মেশানো যাবে না।

১০. আপেল: কথায় আছে ‘এন আপেল এভরিডে, কিপস দ্যা ডক্টর অ্যাওয়ে’ অর্থাৎ- প্রতিদিন একটি আপেল খান, আপনাকে ডাক্তারের কাছে যেতে হবে না। আপেল রোগ প্রতিরোধক ও পুষ্টিকর একটি ফল। আপেলে শর্করা প্রায় ৫০ শতাংশ। এটি হৃদরোগের ঝুঁকি কমায় ও রক্তে কোলেস্টরল(Cholesterol) এর মাত্রা স্থির রাখে।

১১. রসুন: রসুনের উপকারিতা অনেক। রান্নার পাশাপাশি রসুন(Garlic) স্বাস্থ্য ভালো রাখার ওষুধ হিসেবেও কাজ করে। রসুন কোলেস্টরল এর মাত্রা এবং রক্তচাপ(Blood pressure) নিয়ন্ত্রণে রাখে।

১২. পালং শাক: পালং শাক অনেক পুষ্টিকর(Nutritious)। এতে আছে প্রচুর এন্টিঅক্সিডেন্ট। তাজা এবং অল্প সেদ্ধ করে খেলে বেশি এন্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়া যায়। পালং শাক ডায়াবেটিস(Diabetes) রোগীদের জন্য অনেক উপকারী। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য সবচেয়ে সুপরিচিত খাবার এর মধ্যে রয়েছে পালং শাক।

১৩. ডার্ক চকলেট: আপনারা ভাবছেন চকলেট তাও আবার ডায়াবেটিস(Diabetes) রোগীদের জন্য? হ্যাঁ ডার্ক চকলেট ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী। কেননা এতে মিষ্টির পরিমাণ অনেক কম থাকে। এটি শুধুমাত্র এন্টিঅক্সিডেন্ট পূর্ণ নয়। এটি শরীরে ইনসুলিন(Insulin) এর মাত্রাও নিয়ন্ত্রণ করে।

১৪. দারুচিনি: দারুচিনিতে সামান্য পরিমাণ প্রোটিন থাকে তাছাড়া এতে আছে প্রচুর মিনারেল ও ভিটামিন(Vitamins)। এটি রক্তে কোলেস্টরল এর পরিমাণ ১০ শতাংশ কমিয়ে দেয়। এটি হৃদয় সুস্থ রাখে। এটি রক্তে শর্করার পরিমাণ ও নিয়ন্ত্রণে রাখে।

১৫. মিষ্টি আলুছলছ: আলু আমরা সবাই কম বেশি খেতে পছন্দ করি। যেমন আলুর দম, আলু ভাজি, আলুর চিপস। আলু দিয়ে তৈরি যেকোনো খাবার খেতেই দারুণ মজা লাগে। সাধারণত সাদা আলু(Potatoe দিয়ে এসব তৈরি করা হয়ে থাকে। কিন্তু মিষ্টি আলু নামক একটি আলু আছে যার অনেক গুণাবলি আছে।

যেমন এটি ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তে ইনসুলিন এর পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে, এবং রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। ডায়াবেটিস চিরতরে নির্মূল – ডায়াবেটিস(Diabetes) একটি গুরুতর অবস্থা এবং দিন দিন এর ব্যাপক প্রকোপ সাধারণ জনগনের স্বাস্থ্যের উপর একটি বড় হুমকি হয়ে উঠছে।

এই রোগ মানুষকে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক, ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথির কারনে সৃষ্ট অন্ধত্বের ঝুঁকিতে নিয়ে যায় এবং এর ফলে যে পরিমান অঙ্গ প্রত্যঙ্গ কেটে বাদ দিতে হয় তা অনেক সময় কোন দুর্ঘটনা বা ট্রমার কারনেও করতে হয় না। দীর্ঘমেয়াদে ডায়াবেটিস(Diabetes) নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য এবং আরো গুরুত্বর ক্ষতি এড়ানোর জন্য দিনের পর দিন একটি স্বাস্থ্যকর মাত্রার মাঝে রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা হচ্ছে একটি অন্যতম শর্ত।

তাই উল্লেখিত ভেষজ উপাদান গুলো প্রয়োগের মাধ্যমে স্বাস্থ্যকর খাদ্য ব্যবস্থাপনা এবং ব্যায়ামের মাধ্যমে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। ডায়াবেটিস চিরতরে নির্মূল – বর্তমান যুগে ডায়াবেটিস(Diabetes) নামের মধ্যেই যেনো এক প্রকার আতঙ্ক ও উদ্বেগ জড়িয়ে রয়েছে। আজকের যুগে বহু মানুষ এ রোগে আক্রান্ত। তবে এ রোগ প্রতিকারের রয়েছে অনেক সহজ পন্থা। যার সাহায্যে এই রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া সহজ। সেই সঙ্গে সঠিক চিকিৎসা ও খাদ্যাভাসও একান্ত জরুরী।

সুস্থ থাকুন, নিজেকে এবং পরিবারকে ভালোবাসুন। আমাদের লেখা আপনার কেমন লাগছে ও আপনার যদি কোনো প্রশ্ন থাকে তবে নিচে কমেন্ট করে জানান। আপনার বন্ধুদের কাছে পোস্টটি পৌঁছে দিতে দয়া করে শেয়ার করুন। পুরো পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

Check Also

ঘি খাওয়ার উপকারিতা

খালি পেটে ঘি খাওয়ার উপকারিতা

খালি পেটে ঘি খাওয়ার উপকারিতা । ঘি খাওয়ার উপকারিতার কথা কম-বেশি প্রায় সবাই জানেন। কিন্তু ...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *