তাপমাত্রার পারদ ৪০ এর নিচে নামছেই না। কাঠফাটা রোদে বেরোলে ত্বক (Skin) পুড়ে যাচ্ছে। এর মধ্যে সানস্ক্রিন ছাড়া বাইরে বের হওয়া মানে ত্বকের বিপদ ডেকে আনা। বছরের ৩৬৫ দিনই সানস্ক্রিণ প্রয়োজন। তবে এই গরমে সানস্ক্রিন (Sunscreen) মাখলে অনেকেই মুখ অতিরিক্ত ঘামছে। এক্ষেত্রে কী করণীয়? এই সমস্যার সম্মুখীন অনেকেই হন। তাই সানস্ক্রিণ এড়িয়ে চলেন। তবে এই রোদে সানস্ক্রিন না মাখলে চলবে না। তাই এমন উপায় বেছে নিতে হবে যার ফলে সানস্ক্রিণ মাখলেও ত্বকে ঘাম হবে না।
সানস্ক্রিন মাখলেই মুখ ঘামে? জেনে নিন সমাধান
এক্ষেত্রে ত্বকের ধরন অনুযায়ী সানস্ক্রিন (Sunscreen) বেছে নেওয়া জরুরি। আর কোন কোন নিয়ম মানলে মুখে অতিরিক্ত ঘাম হবে না, জেনে নিন-
১. এসপিএফের মাত্রা দেখে সানস্ক্রিণ ব্যবহার করা জরুরি। তৈলাক্ত ও স্পর্শকাতর ত্বক ৩০ এসপিএফ যুক্ত সানস্ক্রিণ মাখুন। ত্বকের ধরন স্বাভাবিক হলে এসপিএফ ৪০ যথেষ্ট। তবে এখন রোদের তেজ মারাত্মক। এই অবস্থায় ট্যান এড়াতে ৫০ এসপিএফ যুক্ত সানস্ক্রিন (Sunscreen) ব্যবহার করুন।
২. ত্বকের ধরন অনুযায়ী সানস্ক্রিণ বেছে নেওয়া জরুরি। আপনার ত্বক (Skin) স্বাভাবিক হলে যে কোনো ধরনের সানস্ক্রিণ ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়া তৈলাক্ত ও স্পর্শকাতর ত্বকে আপনি জেল, স্প্রে, স্টিক ইত্যাদি ধরনের সানস্ক্রিণ ব্যবহার করতে পারেন।
৩. টিন্টেড সানস্ক্রিণ ব্যবহার করুন। এতে ঘাম কম হবে। নন-কমেডোজেনিক সানস্ক্রিণ ব্যবহার করুন। এতে ঘাম ও ব্রণের সমস্যা কমতে পারে।
৪. সানস্ক্রিন মাখার আগে তাতে সামান্য পানি মিশিয়ে নিন। এতে সানস্ক্রিনের ঘনত্ব পাতলা হয়ে যায়। এভাবে সানস্ক্রিণ মাখলে পণ্যটি রোমকূপের ভেতর ভালো করে প্রবেশ করে। এতে ত্বক (Skin) শীতল থাকে ও ঘাম কম হয়।
৫. রোদে বের হওয়ার কমপক্ষে ২০ মিনিট আগে ত্বকে সানস্ক্রিণ মাখুন। দীর্ঘক্ষণ রোদে থাকলে ২-৩ ঘণ্টা পরপর সানস্ক্রিন (Sunscreena) মাখুন। এতে ত্বককে ক্ষতিকারক ইউভি রশ্মির হাত থেকে সুরক্ষিত রাখতে পারবেন।
সুস্থ থাকুন, নিজেকে এবং পরিবারকে ভালোবাসুন। আমাদের লেখা আপনার কাছে কেমন লেগেছে এবং আপনার যদি কোনো প্রশ্ন অথবা মতামত থেকে থাকে তবে নিচে কমেন্ট করে আমাদের জানাতে পারেন। আর আপনার বন্ধুদের কাছে পোস্টটি পৌঁছে দিতে শেয়ার করুন। সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।