পেঁপের উপকারিতা সম্পর্কে সবারই কমবেশি ধারণা আছে। পেঁপে(Papaya) কাঁচা বা পাকা দুই অবস্থাতেই খাওয়া যায়। অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ পেপে ত্বক(Skin) ও চুলের জন্য বিশেষভাবে উপকারী। এ ছাড়াও পেঁপেতে থাকে প্যাপেইন নামক এনজাইম। যা খাদ্যের বিপাক প্রক্রিয়ায় সাহায্য করে। হৃদরোগ এবং উচ্চ কোলেস্টেরল(Cholesterol) রোগীদেরকে পেপে খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা।
পেঁপে খেলে যাদের ক্ষতি হতে পারে, দেখে নিন এক নজরে
তবে জানেন কি? পেঁপে(Papaya) শুধু স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী নয়, বরং ক্ষতির কারণও হতে পারে। বয়স্কদের পাশাপাশি ছোটদের ক্ষেত্রে পেপে ক্ষতিকর হতে পারে। জেনে নিন পেপে খেলে শারীরিক যেসব সমস্যা হতে পারে-
>> চিকিৎসকদের পরামর্শ মতে, এক বছরের কম বয়সী শিশুদেরকে পেঁপে(Papaya) খাওয়ানো উচিত নয়। পেঁপেতে অনেক ফাইবার থাকে, যা ছোট শিশুদের ক্ষেত্রে সমস্যার কারণ হতে পারে। কারণ শিশুরা কম পানি পান করে। এতে তাদের কোষ্ঠকাঠিন্যের(Constipation) সমস্যায় ভুগতে হতে পারে। তাই কাঁচা অথবা রান্না কোনো অবস্থাতেই শিশুদেরকে পেঁপে খাওয়ানো উচিত নয়।
>> গর্ভবতী নারীর ক্ষেত্রে পেপে ক্ষতিকর হতে পারে। চিকিৎসকরা গর্ভাবস্থায় নারীদের পেঁপে(Papaya) খাওয়া এড়ানোর পরামর্শ দেন। পেঁপের বীজ, শিকড় এবং পাতা গর্ভের শিশুর জন্য ক্ষতিকর। কাঁচা পেঁপেতে থাকা প্যাপেইন দেহের ঝিল্লি ক্ষতিগ্রস্ত করে। এ ছাড়াও পেপে ল্যাটেক্সসমৃদ্ধ, যা জরায়ুর সংকোচন, রক্তপাত(Bleeding) এবং এমনকি গর্ভপাত ঘটাতে পারে।
>> যাদের শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা আছে; তাদের জন্য পেঁপে(Papaya) ক্ষতিকর। পেঁপেতে উপস্থিত একটি এনজাইমকে অ্যালার্জেন বলে। এর অতিরিক্ত গ্রহণের ফলে শ্বাসকষ্টজনিত অসুস্থতা যেমন হাঁপানির মতো সমস্যা বাড়তে পারে।
>> হজমের সমস্যা বাড়ায় পেপে। কোষ্ঠকাঠিন্যে(Constipation) আক্রান্ত ব্যক্তিদের সাধারণত পেপে খেতে বলা হয়। তবে অতিরিক্ত খেলে এতে উপস্থিতি পেটে জ্বালা-পোড়া ভাব এবং ব্যথা(Pain) হতে পারে।এতে উপস্থিত প্রচুর পরিমাণে ফাইবার হজম(Digestion) সিস্টেমে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। গবেষণায় জানা গেছে, পেপে অতিরিক্ত খেলে ফোলাভাব, পেট ফাঁপা এবং বমিভাব হতে পারে।
>> ডায়াবেটিস রোগীর জন্যও পেপে ক্ষতিকর হতে পারে। এতে থাকা নানা পুষ্টি(Nutrition) উপাদান টাইপ-১ এবং টাইপ-২ ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করে।তবে বেশি পরিমাণে পেপে খাওয়া ডায়াবেটিস(Diabetes) রোগীর জন্য বিপজ্জনক। তাই ডায়াবেটিস রোগীদের পেঁপে খাওয়ার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
সুস্থ থাকুন, নিজেকে এবং পরিবারকে ভালোবাসুন। আমাদের লেখা আপনার কেমন লাগছে ও আপনার যদি কোনো প্রশ্ন থাকে তবে নিচে কমেন্ট করে জানান। আপনার বন্ধুদের কাছে পোস্টটি পৌঁছে দিতে দয়া করে শেয়ার করুন। পুরো পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।