Home / লাইফস্টাইল / বেশিদিন বাঁচতে চান? হাসিখুশি থাকুন সব সময়

বেশিদিন বাঁচতে চান? হাসিখুশি থাকুন সব সময়

আপনি ভীষণরকম গম্ভীর? একদমই হাসিখুশি(Laughing) না? আপনার জন্য দুঃসংবাদ! শুধু এই একটি স্বভাবের জন্যই নানারকম অসুখ এসে হানা দিতে পারে। আর যদি হাসিখুশি থাকতে বেশি ভালোবাসেন তবে ভিন্ন কথা। ফিজিওলজিকাল রিসার্চারদের করা বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে দিনের বেশিরভাগ সময় হাসিখুশি(Laughing) থাকলে একদিকে যেমন মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে, তেমনি আরও অনেক শারীরিক উপকার মেলে। জেনে নিন হাসিখুশি থাকলে কী হয়-হাসিখুশি

বেশিদিন বাঁচতে চান? হাসিখুশি থাকুন সব সময়

মানসিক অবসাদ কমে: ২০১০ সালে এনসিবিআই-এর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত একটি গবেষণা অনুসারে, সারাদিন হাসি মুখে থাকলে শরীরের ভেতরে ফিল গুড হরমোনের ক্ষরণ বাড়তে শুরু করে, যে কারণে মানসিক অবসাদ(Mental fatigue), অ্যাংজাইটি এবং স্ট্রেসের মাত্রা কমতে শুরু করে । ফলে স্বাভাবিকভাবেই শরীরের কোনো ধরনের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা আর থাকে না। তাই শরীর(Body) এবং মনকে চাঙ্গা রাখতে সব সময় মুখে হাসি ধরে রাখার চেষ্টা করুন।

রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে: উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্তের সংখ্যা দিনদিন বাড়ছে। তাই যতটা সম্ভব হাসি-খুশি থাকতে হবে। কারণ নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অব মেডিসিন পত্রিকায় প্রকাশিত এক গবেষণাপত্র অনুসারে সারা দিন হাসিখুশি থাকলে রক্তচাপ(Blood pressure) নিয়ন্ত্রণে চলে আসে, হার্টের ক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়। ফলে হঠাৎ করে কোনো ধরনের হার্টের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা অনেকটাই কমে যায়।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে: ২০১৫ সালে এনসিবিআই-এর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত গবেষণা অনুসারে মন খুলে হাসলে মস্তিষ্কে একটি বিশেষ সিগনাল গিয়ে পৌঁছায়, যে কারণে মস্তিষ্ক এতটাই সক্রিয় হয়ে ওঠে যে একদিকে যেমন স্ট্রেস(Stress) এবং ব্রেইন ডিজিজের প্রকোপ কমে, তেমনি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়তে শুরু করে।

যন্ত্রণা কমে: ২০১২ সালে এক গবেষণায় দেখা গেছে একসঙ্গে অনেকে মিলে হাসাহাসি(Laughter) করলে শরীরের ভেতরে যে প্রাকৃতিক পেনকিলার(Painkiller) রয়েছে, তার মাত্রা বাড়তে শুরু করে। ফলে স্বাভাবিকভাবে যন্ত্রণার অনুভূতি কমতে যেমন সময় লাগে না, তেমনি ব্যথা(Pain) সহ্য করার ক্ষমতাও বাড়ে।

আয়ু বৃদ্ধি বাড়ে: ‘সাগা’ পত্রিকায় প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্র অনুসারে, সারাদিন হাসিখুশি থাকলে এবং খারাপ চিন্তাকে গুরুত্ব না দিলে আমাদের শরীরের ভিতরে এমন কিছু পরিবর্তন হতে শুরু করে যে তার প্রভাবে আয়ু বৃদ্ধি পায়। তাই দীর্ঘদিন সুস্থভাবে(Healthily) বেঁচে থাকতে চাইলে হাসিখুশি থাকার বিকল্প নেই।

সুস্থ থাকুন, নিজেকে এবং পরিবারকে ভালোবাসুন। আমাদের লেখা আপনার কেমন লাগছে ও আপনার যদি কোনো প্রশ্ন থাকে তবে নিচে কমেন্ট করে জানান। আপনার বন্ধুদের কাছে পোস্টটি পৌঁছে দিতে দয়া করে শেয়ার করুন। পুরো পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

Check Also

মেঝেতে ঘুমানোর

গরমে মেঝেতে ঘুমানোর স্বাস্থ্য উপকারিতা জানেন কী?

গরমে মেঝেতে ঘুমানোর স্বাস্থ্য উপকারিতা জানেন কী? তীব্র তাপদাহে পুড়ছে দেশ। এমন দিনে একটুর স্বস্তির ...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *