শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ কিডনি(Kidney)। এটি অনেকটা ছাকনির মতো কাজ করে। আমাদের শরীরের অতিরিক্ত তরল নিঃসরণ করে থাকে। গুরুত্বপূর্ণ এই অঙ্গটি কিছু সাধারণ ভুলেও বিকল হয়ে যেতে পারে। কিডনির সমস্যা(Kidney problem) শুরুর দিকে টেরই পাওয়া যায় না। যখন গুরুতর হয় তখন ধরা পড়ে। তাই কিডনির বিষয়ে আগে থেকেই সতর্ক থাকা আমাদের সবার জন্যই অনেক গুরুত্বপূর্ণ। যেসব ভুলে বিকল হয়ে যেতে পারে কিডনি-
সাধারণ ভুলেই শেষ হয়ে যেতে পারে আপনার কিডনি
প্রক্রিয়াজাত খাবার বেশি খাওয়া
বেশিরভাগ প্রক্রিয়াজাত খাবারেই সোডিয়াম(Sodium) থাকে অনেক বেশি। আর এগুলো হার্টের সমস্যা সৃষ্টি করার পাশাপাশি কিড়নিরও অনেক ক্ষতি করে থাকে। শরীরে বেশি পরিমাণে সোডিয়াম গেলে প্রস্রাবের সঙ্গে বেশি ক্যালসিয়াম(Calcium) বের হয়। আর এর ফলে কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি থাকে।
অনিয়ন্ত্রিত রক্তচাপ
উচ্চ রক্তচাপ(High blood pressure) আমাদের পুরো শরীরের জন্যই ক্ষতিকর। আর উচ্চ রক্তচাপ অনিয়ন্ত্রিত হওয়ার কারণে আপনার কিডনির দিকে পরিচালিত রক্তনালিগুলোকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।
তৃষ্ণার্ত অবস্থায় পানি পান না করা
আপনার কিডনিকে ভালো রাখতে হলে সারা দিনে আট গ্লাস পানি পান করতে হবে। তৃষ্ণার্ত থাকার পরও যদি আপনি পানি পান না করেন, তা হলে আপনার শরীর পানিশূন্য(Dehydration) হয়ে পড়ে রক্তচাপ কমে যেতে পারে এবং কিড়নিতে রক্তপ্রবাহ কমে যেতে পারে। ফলে হতে পারে আপনার কিডনির মারাত্মক ক্ষতি।
বেশি ব্যথানাশক ওষুধ খাওয়া
এটি আমাদের অনেকেরই জানা যে, ব্যথানাশক ওষুধ শরীরের ক্ষতি করে থাকে। কিন্তু আপনি হয়তো জানেন না যে এটি আপনার কিড়নিকে নষ্ট করে দেওয়ার মতো ক্ষতি করতে পারে। এই ওষুধ এনএসএআইডি নামক প্রদাহবিরোধী, যার মধ্যে রয়েছে আইবুপ্রোফেন ও অ্যাসপিরিন(Aspirin)। আর এগুলো কিডনিতে রক্তপ্রবাহ হ্রাস করে এবং দাগ সৃষ্টি করে সরাসরি অঙ্গের জন্য বিষাক্ত হিসেবে কাজ করতে পারে।
বেশি সাপলিমেন্ট খাওয়া
বিভিন্ন সাপলিমেন্টে কিছু ভিটামিন(Vitamin) থাকে, যা আমাদের শরীরের জন্য ক্ষতিকারক হিসেবে কাজ করতে পারে। আর সাপলিমেন্টে থাকা অ্যারিস্টোলোকিক অ্যাসিড(Acid) নামক উদ্ভিদভিত্তিক উপাদানটি কিডনিতে ক্ষত সৃষ্টি করতে পারে।
অতিরিক্ত ওজন
অতিরিক্ত ওজন(Weight) বেড়ে গেলে সেটি আপনার টাইপ-২ ডায়াবেটিসের আশঙ্কা বাড়িয়ে দিতে পারে। আর এর কারণে আপনার কিড়নি রোগ হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে। কারণ টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ইনসুলিনের সমস্যা কিডনিতে প্রদাহ ও ক্ষত সৃষ্টি করে।
সুস্থ থাকুন, নিজেকে এবং পরিবারকে ভালোবাসুন। আমাদের লেখা আপনার কেমন লাগছে ও আপনার যদি কোনো প্রশ্ন থাকে তবে নিচে কমেন্ট করে জানান। আপনার বন্ধুদের কাছে পোস্টটি পৌঁছে দিতে দয়া করে শেয়ার করুন। পুরো পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।