শিশুরা বড়দের চেয়ে বেশি অন্যদের করোনাভাইরাসে(Coronavirus) সংক্রমিত করতে পারে। তাই এখনই স্কুল খুলে দিলে পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিতে পারে। আমেরিকা ও ইটালির দু’টি গবেষণার ফলাফলে এমন তথ্য(Information) উঠে এসেছে। গবেষণার ফলাফলে দাবি করা হয়েছে, SARS-CoV-2 বিস্তারে বড়দের চেয়েও শিশুরা(Children) বেশি কার্যকর। কারণ ছোটরা হতে পারে ভাইরাস(Virus) বহনের প্রধান চালক। SARS-CoV-2 সংক্রমিত শিশু আর ছোট তরুণদের মধ্যে থাকে উচ্চ মাত্রার ভাইরাস(Virus)। আমেরিকার একটি গবেষণায় পরীক্ষা করা হল ভাইরাসের মাত্রা শিশু আর পূর্ণ বয়স্কদের নাসা গলবিল এ NASOPHARYNX.।
বড়দের তুলনায় শিশুরা বেশি ছড়ায় করোনা ভাইরাস
গলার উপরের যে অংশ নাসাপথের সাথে সংযোগ স্থাপন করে তাই হল ন্যাজো ফেরিনক্স বা নাসা গলবিল। ফলাফলে দেখা গেল, ৫ বছরের কম বয়সের শিশু- যাদের মৃদু থেকে মাঝারি উপসর্গ(Symptom) হয়েছিল- এদের নাসা গলবিলএ SARS-CoV-2 মাত্রা ১০ থেকে ১০০ গুন বেশি বড় শিশু আর পূর্ণ বয়স্কদের তুলনায়। শিশুরা ড্রপ লেট বাতাসে নিঃসরণ করে নাসা গলবিল থেকে। কফ, কাশ, হাঁচি(Sneezing) দেওয়া আর কথা বলার সময় তা বেশির ভাগ ঘটে। সে জন্য ছোট শিশুরা বড়দের চেয়ে আরও কার্যকর ভাবে ভাইরাস(Virus) ছড়াতে সক্ষম।
গবেষণায় আরও দেখা গেছে, নাসা গলবিলে ৫-১৭ বছরের শিশু তরুণদের SARS-CoV-2 মাত্রা পূর্ণ বয়স্কদের সমমাত্রার। গবেষণায় আরও বলা হয়েছে, এতে অসুস্থ(Sick) না হয়েও এরা বিস্তার ঘটাতে পারে। ইতালির এক গবেষণায় দেখা যায়, বড়দের চেয়ে শিশুদের আক্রান্ত(Infected) হওয়ার সম্ভাবনা কম। শিশুদের ঘরের লোকদের সংক্রমিত(Infected) করার সম্ভাবনা বেশি। আর এদের আক্রান্ত এবং অসুস্থ হবার সম্ভাবনা কম। এতে আরও দেখা যায়, ১৪ বছর এবং এর চেয়ে কম বয়সী শিশুদের বয়স্কদের মধ্যে ভাইরাস(Virus) বিস্তারের সম্ভাবনা বড়দের তুলনায় কার্যকর বেশি। ভাইরাস(Virus) বিস্তারের ঝুঁকি ২২.৪ শতাংশ।
এ ক্ষেত্রে শিশুরা বড়দের তুলনায় ভাইরাস(Virus) বিস্তারে দ্বিগুণ কার্যকর। ১ থেকে ১১ বছর বয়সী সংক্রমিত শিশুদের মধ্যে সাম্প্রতিক জার্মান গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব শিশুর উপসর্গ(Symptom) নেই এদের মধ্যে ভাইরেল লোড, পূর্ণ বয়স্কদের সমান বা এর চেয়ে বেশি। ফ্রান্সের এক গবেষণায় দেখো গেছে, উপসর্গ নেই এমন শিশুদের মধ্যে উপসর্গ যুক্ত শিশুদের চেয়ে কম সংক্রমণ(Infection)ক্ষমতা এমন নয়। একে বলা হয় C.T Value এই মূল্যমান হল করোনাভাইরাসের পরিমাণের একটি মাপক। এসব গবেষণা ফলাফল স্কুল খোলার ব্যাপারে আবার ভাবনার খোরাক যোগাবে। এর গুরুতর পরিণতি স্মরণ করিয়ে দেবে বিশেষ করে শিশুরা হতে পারে বড়দের চেয়েও বেশি ছোঁয়াচে।