কানের লতিতেই শুধু দুল ঝুলবে, এমনটা কে বলেছে! কানের আগা, গোড়া, ভেতরের নরম হাড়ে ফুটো করে নানা রকম গয়নায়(Jewelry) সাজাতে ভালবাসে অনেকেই। কানের বাহারি স্টাইলই ডিজিটাল সময়ের ট্রেন্ড। তবে কান(Ear) বিঁধিয়ে দুল পরার রেওয়াজ শুধু নারীদের একচেটিয়া নয়, বহু যুগ থেকে বিভিন্ন দেশের পুরুষরাও কান(Ear) বিঁধিয়ে বাহারি দুল পরছেন। এখনকার ছেলেরা অনেকেই কানে ‘পিয়ার্সিং’ করাচ্ছেন।
গবেষকদের নতুন দাবি, কানের দুলে কমবে মাইগ্রেন
বিশেষজ্ঞরা দাবি করছেন, এই কান ফোটানো শুধু স্টাইল(Style) স্টেটমেন্ট নয়, এর কিছু উপকারিতাও আছে। কানের একটা নির্দিষ্ট জায়গায় পিয়ার্সিং করালে মাইগ্রেনের(Migraine) ব্যথা কমতে পারে।
ঠিক কোথায় করতে হবে সেই পিয়ার্সিং(Piercing)? গবেষকদের দাবি, কানের তো তিনটে অংশ বহিঃকর্ণ, মধ্যকর্ণ ও অন্তঃকর্ণ, পিয়ার্সিং করাতে হবে বহিঃকর্ণে। এখন কানের বাইরে দিকটাতে অনেকগুলো ভাঁজ আছে। একেবারে মাথার দিকে নরম অস্থি বা তরুণাস্থি দিয়ে তৈরি যে অংশ তাকে বলে হেলিক্স(Helix)। এই হেলিক্সের দুটো ভাগ, অ্যান্টিহেলিক্স অর্থাৎ পিনা বা কর্ণছত্রের ঠিক ভেতরের ভাঁজ এবং আরও একটা অংশ আছে যেটা ইয়ার চ্যানেলের ঠিক উপরে।
কানের যে অংশটা সোজা ভেতরে চলে যাচ্ছে তার ঠিক মাথার উপরে। তরুণাস্থি দিয়ে তৈরি হেলিক্স(Helix) যাকে বলা হয় ক্রাক্স অব হেলিক্স। এই অংশ মস্তিষ্কে গিয়ে মিশেছে। গবেষকরা বলছেন, ঠিক এখানেই যদি ফুটো করা যায় তাহলে মাথাব্যথা(Headache) কমে যাওয়ার একটা বন্দোবস্ত হতে পারে। একে বলে ডাথ পিয়ার্সিং(Daith piercing)। যদিও গবেষকদের এই দাবির যথাযোগ্য প্রমাণ নেই, তবে কিছু ক্ষেত্রে মাইগ্রেনের রোগীদের উপরে এর প্রয়োগ করে উপকার মিলেছে বলেই দাবি।