খাবারের তালিকায় রসুন(Garlic) রাখলে আপনি বেঁচে যেতে পারেন নানারকম অসুখের হাত থেকে। গবেষণায় দেখা গেছে, একটি মাঝারি সাইজের রসুনে এক লাখ ইউনিট পেনিসিলিনের সমান অ্যান্টিবায়োটিকের(Antibiotics) কার্যক্ষমতা রয়েছে। শুধু তাই নয়, ব্যাকটেরিয়া(Bacteria) ও প্রোটোজোয়ার মাধ্যমে সৃষ্টি অ্যামিবিক ডিসেনট্রি নির্মূলের ক্ষেত্রে রসুন বেশ কার্যকরী ভূমিকা রাখে।
ক্যানসার ও হৃদরোগের ঝুঁকি কমায় রসুন
রসুন(Garlic) যে শুধু খাবারে স্বাদ যোগ করতেই কাজে লাগে তা নয়। কাঁচা রসুনের বহু ভেষজ(Herbal) উপকারিতা ও আছে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান সমৃদ্ধ রসুন খাওয়ার ফলে আপনি ক্যানসার(Cancer) ও হৃদরোগের মতো জটিল রোগ থেকে বেঁচে যেতে পারেন। রসুন পুষ্টিকর কিন্তু এতে ক্যালরির পরিমাণ কম। রসুনে পাবেন ক্যালরি, প্রোটিন(Protein) আর শর্করার মতো উপাদান।
চলুন জেনে নিই, রসুনের কিছু উপকারিতা-
উচ্চ রক্ত চাপ(High blood pressure) কমাতে রসুন কাজ করে। যারা উচ্চরক্তচাপে ভুগছেন তারা রসুন(Garlic)খেলে উপকার পাবেন। কাঁচা রসুন রক্তের কোলাস্টরেল কমাতে সাহায্য করে। রক্তে কোলেস্টেরল(Cholesterol) স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হলে কাঁচা রসুন চিবিয়ে খান। সর্দি কাশিতেও রসুন উপকারী।
রসুনকে বলা হয়, ন্যাচারাল পেইন কিলার(Pain killer)। এর ভেষজ উপাদান শরীরের ব্যথা(Pain) কমায়। শিশু কিংবা বড়দের দাঁতে ব্যথা হলে একে কোষ রসুন চিবালে দাঁতে ব্যথা(Toothache) উপশম হবে।
রসুন ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। হৃদরোগের(Heart disease) ঝুঁকি কমায়। এমনকি নিয়মিত রসুন খেলে ব্যাকটেরিয়া(Bacteria) ও ভাইরাসজনিত রোগের ঝুঁকি কমে যায়। এছাড়া সর্দি কাশি থেকে উপশম পেতে খেতে পারেন।
রসুন(Garlic) কাঁচা খেতে পারলে বেশ ভাল কাজে দেয়। তবে এভাবে খেতে না পারলেও সমস্যা নেই। একটু টেলে নিয়ে বা হালকা তেলে রোস্ট করে নিয়ে খেতে পারেন। সালাদের ড্রেসিং-এর সঙ্গেও রসুন(Garlic) মিলিয়ে খেতে পারেন। যেকোনো রান্নায় কয়েক কোয়া রসুন দিয়ে দিন। রসুনের আচার বানিয়ে খাবারের সাথেও খেতে পারেন।