যৌনাঙ্গে চুলকানি হওয়ার কারণ ও প্রতিকার। যৌনাঙ্গের চুলকানির সমস্যার ঘরোয়া প্রতিকার সম্ভব। যদি আপনার কোনও সংক্রমণ (Infection) হয়ে থাকে তবে মাঝে মাঝে গোপনাঙ্গ দই ব্যবহার করে পরিস্কার করা উচিদ। দইয়ে উপস্থিত উপাদানগুলো ওই জায়গা থেকে ব্যাকটেরিয়া (Bacteria) অপসারণে সক্ষম। একইভাবে আরো কিছু ঘরোয়া প্রতিকার রয়েছে যা নারী-পুরষ উভয়ের ক্ষেত্রেই কার্যকরী। আসুন একবার দেখে নেওয়া যাক, কেন আপনার হাত বারবার চুলকাবার জন্য উদ্যত হয়।
যৌনাঙ্গে চুলকানি হওয়ার কারণ ও প্রতিকার জেনে নিন
১। মানসিক চাপ
মানসিক চাপ (Stress) যৌনাঙ্গে চুলকানির সম্ভাবনা বাড়িয়ে তোলে। নারীদের ক্ষেত্রে এটি আরো খারাপ অবস্থার সৃষ্টি করে বা বারবার যোনিতে চুলকানির সৃষ্টি করে।
২। মেনোপজ
মেনোপজ ইস্ট্রোজেনের মাত্রা কমিয়ে দেওয়ার একটা কারণ। এর ফলে যোনি প্রাচীর পাতলা করে দেয় ও লুব্রিকেশন কমিয়ে দেয়, যার পরিণতি হয় যৌনাঙ্গের চুলকানি।
৩। শুষ্ক ত্বক
শুষ্ক ত্বক (Skin) একটি সাধারণ সমস্যা। নমনীয় থাকার জন্য ত্বকের আর্দ্রতার প্রয়োজন এবং আপনার বয়স যত বাড়বে, ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখা ততটাই কঠিন হয়ে দাঁড়াবে।
৪। ইস্ট জনিত সংক্রমণ
ইস্ট জনিত সংক্রমণ বা থ্রাস একটি সাধারণ সমস্যা। এই সংক্রমণ ক্যানডিডা আলবিকানস নামক ফাংগাল জীবের দ্বারা হয়ে থাকে। ইস্ট জনিত সংক্রমণের আনুসাঙ্গিকভাবে সাদা দইয়ের মতো স্রাবও দেখা যায়। এটি অ্যান্টিবায়োটিক (Antibiotic), জন্মনিয়ন্ত্রক বড়ি, গর্ভাবস্থা, মাসিক, কনডমের ব্যবহার, সহবাস, ডায়াবেটিস (Diabetes) এবং দুর্বল ইমিউনিটি সিস্টেমের ফলে হয়ে থাকতে পারে।
৫। রাসায়নিক উত্তেজক
রাসায়নিক উত্তেজক যেমন কাপড় কাচার সাবান, কাপড় মোলায়ম করার রাসায়নিক, মেয়েলি স্প্রে, সুবাসিত স্যানিটারি টাওয়েল, মলম, ক্রিম (Cream), ডুস নেওয়া বা গর্ভনিরোধক ফোম বা জেলও যৌনাঙ্গে চুলকানির কারণ হয়।
৬। দইয়ের লেপ
দইয়ের মধ্যে একটা পট্টিকে ঘণ্টা খানেক ভিজিয়ে রাখতে হবে। এরপর এই দইয়ের লেপ লাগানো পট্টিটি যোনিতে ভালভাবে লাগিয়ে রাখতে হবে ও ১৫ মিনিট পরে ধুয়ে ফেলতে হবে। এটি আরেকটি ঘরোয়া প্রতিকার।
৭। আপেল সাইডার ভিনেগার
গরম পানির সঙ্গে ২ টেবিল চামচ আপেল সাইডার ভিনেগার (Apple cider vinegar) মিশিয়ে যৌনাঙ্গ ভালভাবে ধুয়ে ফেলতে হবে। পুরুষদের যৌনাঙ্গের চুলকানি থেকে নিস্তার পেতে সপ্তাহে দুইবার এই মিশ্রণের ব্যবহার করতে হবে।
৮। বরফ
চুলকানি থেকে তাৎক্ষলিক রেহাইয়ের জন্য বরফ বা বরফ-ঠাণ্ডা পানির সেঁক দিতে হবে। রাতের বেলা যখন এই চুলকানির তীব্রতা খুব বৃদ্ধি পায় তখন এই প্রতিকারটি খুবই কার্যকরী।
৯। লবণ জলে গোসল
গোসলের পানিতে বা বাথটাবে ৪ টেবিল চামচ লবণ (Salt) মিশিয়ে নিতে হবে। ওই পানিতে কমপক্ষে আধ ঘণ্টা নিজেকে ভিজিয়ে রেখে বসে থাকতে হবে। এক সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে এই লবণ জল সংক্রমণকারী ব্যাকটেরিয়াগুলোকে বিনাশ করতে সক্ষম। এটিও যৌনাঙ্গের চুলকানি প্রতিরোধের একটি ঘরোয়া প্রতিকার।
আমাদের লেখা আপনার কাছে কেমন লেগেছে এবং আপনার যদি কোনো প্রশ্ন অথবা মতামত থেকে থাকে তবে নিচে কমেন্ট করে আমাদের জানাতে পারেন। আর আপনার বন্ধুদের কাছে পোস্টটি পৌঁছে দিতে শেয়ার করুন। সুস্থ থাকুন, নিজেকে এবং পরিবারকে ভালোবাসুন।