প্রায় প্রতিদিনই বেশিরভাগ মানুষের ঘরেই গরুর মাংসের বাহারি পদ তৈরি করা হয়। গরুর মাংসের সবচেয়ে জনপ্রিয় পদগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো আলু দিয়ে গরুর মাংসের ঝাল ঝোল। আর গরম ভাত, পোলাও, রুটি বা পরাটার সঙ্গে আলু দিয়ে গরুর মাংসের ঝাল ঝোলের পদটি বেশ মজা লাগে।
আলু দিয়ে গরুর মাংসের ঝাল ঝোল রান্নার রেসিপি
তো আর দেরি না করে জেনে নিন আলু দিয়ে গরুর মাংসের ঝাল ঝোলের রেসিপিটি-
উপকরণ
১. গরুর মাংস দেড় কেজি
২. তেল আধা কাপ
৩. পেঁয়াজ (Onion) কুচি আধা কাপ
৪. আদা বাটা ১ চা চামচ
৫. রসুন বাটা ১ চা চামচ
৬. হলুদ (Turmeric) গুঁড়া আধা চা চামচ
৭. মরিচ গুঁড়া ১ টেবিল চামচ
৮. পেঁয়াজ বাটা ২ টেবিল চামচ
৯. ধনিয়া (Coriander) গুঁড়া আধা চা চামচ
১০. ভাজা জিরার গুঁড়া আধা চা চামচ
১১. লবণ পরিমাণমতো
১২. এলাচ ৪-৫টি
১৩. দারুচিনি (Cinnamon) ২-৩ টুকরো
১৪. তেজপাতা ২টি
১৫. লবঙ্গ ৫-৬টি
১৬. গোলমরিচ ৫-৬টি
১৭. আলু ৪টি বড় টুকরো করে কাটা
১৮. গরম মসলার গুঁড়া ১ চা চামচ
প্রণালী
# চুলায় প্যান বসিয়ে তেল (Oil) গরম করে নিয়ে পেঁয়াজ কুচি, এলাচ, দারুচিনি, তেজপাতা, লবঙ্গ ও গোলমরিচ ভেজে নিন। পেঁয়াজ বাদামিরঙা হয়ে আসলে দিয়ে দিন বাকি সব মসলা।
# এক বা দু’বার নেড়ে দিয়ে দিন অল্প পানি। এরপর মসলা কষিয়ে দিয়ে দিন মাংস। মসলার সঙ্গে মাংস মিশিয়ে ঢেকে দিন। ১০-১৫ মিনিট জ্বাল করলেই মাংস থেকে পানি বের হবে।
# ঢাকনা সরিয়ে নেড়ে আবারও ঢেকে দিতে হবে। চুলার আঁচ রাখুন মাঝারিতে। মাংস থেকে বের হওয়া পানিতে মাংস অনেকটাই সেদ্ধ হয়ে যাবে। এবার এক পিস মংস হাতে নিয়ে দেখুন সেদ্ধ হয়েছে কি না।
# সেটা দেখে বুঝেই পরিমাণমতো পানি দিয়ে নেড়ে ঢেকে দিতে হবে। মাঝে মধ্যেই ঢাকনা সরিয়ে নেড়ে দিতে হবে। মাংস সেদ্ধ হয়ে পানি শুকিয়ে এলে দিয়ে দিন কেটে রাখা আলু। এর সঙ্গে গরম মসলার গুঁড়াও মিশিয়ে দিন।
# আবারও ভালোভাবে নেড়ে আলু কষিয়ে দিয়ে দিন পরিমাণমতো পানি। মাংস তো আগেই সেদ্ধ হয়ে গেছে এখন আলু সেদ্ধ হতে যতটুকু পানি লাগবে ততটুকু পরিমাণ পানি দিয়ে (মাখা মাখার চেয়ে একটু বেশি পানি) নেড়ে আবারও ঢেকে দিন।
# মাংস ও আলু পুরোপুরি সেদ্ধ হয়ে ঝোল ঘন হলে উপরে ভাজা জিরার গুঁড়া (Cumin Powder) ছিটিয়ে দিয়ে চুলা থেকে নামিয়ে নিন। ব্যাস তৈরি হয়ে যাবে আলু দিয়ে গরুর মাংসের ঝাল ঝোলের সুস্বাদু পদটি।
উল্লেখ্য, এই রান্না করতে কোনো কিছুই মেপে নেওয়ার প্রয়োজন হয় না। নিজের আন্দাজমতো নিলেই হবে। সব মসলাই নিজের স্বাদমতো বাড়িয়ে বা কমিয়ে দেওয়া যাবে।
আমাদের লেখা আপনার কাছে কেমন লেগেছে এবং আপনার যদি কোনো প্রশ্ন অথবা মতামত থেকে থাকে তবে নিচে কমেন্ট করে আমাদের জানাতে পারেন। আর আপনার বন্ধুদের কাছে পোস্টটি পৌঁছে দিতে শেয়ার করুন। সুস্থ থাকুন, নিজেকে এবং পরিবারকে ভালোবাসুন।