তীব্র গরমে ঘাম থেকে বাঁচতে বুঝেশুনে পোশাক (Dress) নির্বাচন করতে হবে। অত্যধিক ঘামের মাধ্যমে শরীর অতিরিক্ত পানি ও লবণ হারায়, তখন তাপ নিঃসরণ ঘটে। চিকিৎসা না করা হলে এটি হিট স্ট্রোকের কারণ হতে পারে। এ কারণে ঘামকে বাষ্পীভূত হতে দিন।
গরমে স্বস্তির পোশাক কেমন হবে
এ সময় সুতির নরম কাপড়ের পোশাক আরামদায়ক। এ ধরনের কাপড় দ্রুত ঘাম (Sweat) শুষে নেয়। বেছে নিন হালকা রঙের পোশাক। সাদা রঙের তাপশোষণ ক্ষমতা কম। সাদার পাশাপাশি যেকোনো হালকা রঙের পোশাকও গরমে স্বস্তি দেবে। গাঢ় রঙের তাপশোষণ ক্ষমতা বেশি। ফলে গাঢ় রঙের পোশাকে গরম বেশি লাগে। জমকালো কারুকাজ করা পোশাক এ গরমে এড়িয়ে গেলেই ভালো।
গ্রীষ্মের দাবদাহ ও হিট অ্যালার্টে প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের না হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা; কিন্তু যাদের প্রয়োজনে বাইরে যেতেই হয়, তাদের সচেতন থাকতে হবে।
হিউস্টনের চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ও আমেরিকান একাডেমি অব ডার্মাটোলজির মুখপাত্র ডা. রজনী কট্টা জানান, তীব্র গরমে ভুল পোশাক নির্বাচন করলে ত্বকের নানা জটিলতার ঝুঁকি বাড়ে। ত্বক (Skin) জ্বালা করা বা ফুসকুড়ি দেখা দেওয়ার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। অতিরিক্ত তাপ আপনাকে ক্লান্তও করে দেবে দ্রুত।
মানুষের ত্বক থেকে সরাসরি তাপ বিকিরণ করে এবং ঘামের মাধ্যমে শরীর তাপমাত্রা (Temperature) নিজেই নিয়ন্ত্রণ করে। যখন শরীর অতিরিক্ত গরম হয়ে যায়, তখন মস্তিষ্ক ত্বকের ঘাম গ্রন্থিগুলোকে খুলতে এবং ব্যস্ত হতে বলে; কিন্তু ঘাম আমাদের শীতল করে না, এটি আমাদের ত্বক থেকে সেই আর্দ্রতার বাষ্পীভবন করে; যা শরীরকে ঠাণ্ডা করে। এ প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করতে না চাইলে এমন পোশাক পরতে হবে, যা ঢিলেঢালা এবং শরীর থেকে ঘামের বাষ্পীভবন ও ত্বক (Skin) থেকে তাপ নিঃসরণ করতে পারে।
ঘুমানোর সময় ঢিলেঢালা সুতির পোশাক পরুন।
সুস্থ থাকুন, নিজেকে এবং পরিবারকে ভালোবাসুন। আমাদের লেখা আপনার কাছে কেমন লেগেছে এবং আপনার যদি কোনো প্রশ্ন অথবা মতামত থেকে থাকে তবে নিচে কমেন্ট করে আমাদের জানাতে পারেন। আর আপনার বন্ধুদের কাছে পোস্টটি পৌঁছে দিতে শেয়ার করুন। সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।