Home / লাইফস্টাইল / সকালের নাস্তা হিসেবে খাওয়ার জন্য যে খাবারগুলো সবথেকে বেশি উপযোগী

সকালের নাস্তা হিসেবে খাওয়ার জন্য যে খাবারগুলো সবথেকে বেশি উপযোগী

আশা করি সবাই ভাল আছেন। আজ আপনাদের মাঝে অরেকটি আর্টিকেল নিয়ে হাজির হলাম। আজ আপনাদের জানাবো সকালের নাস্তা(Breakfast) হিসেবে খাওয়ার জন্য যে খাবারগুলো সবথেকে বেশি উপযোগী সে সম্পর্কে। সকালের নাস্তা খাওয়া সকলের জন্য খুবই প্রয়োজনীয়। কিন্তু সকালের নাস্তায় অস্বাস্থ্যকর খাবার(Food)খাওয়ার চেয়ে না খাওয়াই ভালো। তবে সকালের নাস্তায় পুষ্টিকর ও সুষম খাদ্য(Balanced diet) খেলে সারা দিন শরীরে যথেষ্ট শক্তি পাওয়া যায় এবং অতিরিক্ত খাদ্য গ্রহণ থেকে বিরত থাকা যায়। এখানে আমরা সকালের নাস্তায় যে সকল খাবার গ্রহণ করা সব চেয়ে বেশি উপযোগী সে সম্পর্কে আলোচনা করবো।সকালের নাস্তা

সকালের নাস্তা হিসেবে খাওয়ার জন্য যে খাবারগুলো সবথেকে বেশি উপযোগী

১. ডিম
ডিম(Egg) খুবই স্বাস্থ্যকর ও সুস্বাদু একটি খাবার। গবেষণায় দেখা গেছে যে, সকালের নাস্তায়(Breakfast) ডিম খেলে সারা দিন পরিপূর্ণ শক্তি পাওয়া যায় এবং রক্তে সুগার ও ইনসুলিনের মাত্রা বজায় রাখতে সহায়তা করে। তাছাড়া ডিমের কুসুমে লুটিন ও জেক্সানথিন নামক অ্যান্টি অক্সিডেন্ট(Antioxidant) থাকে। যা চোখের বিভিন্ন ব্যাধি প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে থাকে। পাশাপাশি ডিমে কোলিন নামক উপাদান থাকে। যা মস্তিষ্ক ও লিভারের স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

২. দধি
দধি একটি অত্যন্ত সুস্বাদু ও পুষ্টিকর খাবার। এটি দুধ(Milk) থেকে তৈরি করা হয়ে থাকে। দধিতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে। যা ক্ষুধা কমায় এবং ওজন(Weight) হ্রাস করতে অত্যন্ত সহায়ক।

৩. কফি
কফি(Coffee) একটি চমৎকার পানীয়। যা পান করে আপনি নিশ্চিন্তে আপনার দিন শুরু করতে পারেন। কফিতে প্রচুর পরিমাণে ক্যাফেইন থাকে। যা মেজাজ উন্নত করে এবং মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে। তাছাড়া এটি ডায়াবেটিসের ঝুকিঁ হ্রাস করে এবং লিভারের নানাবিধ সমস্যা রোধ করে। তাই দুর্দান্ত ভাবে দিন শুরু করার জন্য সকালের নাস্তায় কফি(Coffee) রাখা যেতে পারে।

৪. বাদাম
বাদাম(Nut) খেতে খুব মজাদার ও পুষ্টিকর। সকালের নাস্তায় এটি একটি দুর্দান্ত সংযোজন হতে পারে। এটি ওজন(Weight)হ্রাস করে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। তাছাড়া এটি রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে।

৫. গ্রিন টি
গ্রিন টি(Green tea) একটি চমৎকার স্বাস্থ্যকর পানীয়। প্রতি কাপ গ্রিন টি’তে প্রায় ৩৫ থেকে ৭০ মিলিগ্রাম ক্যাফেইন থাকে। যা দেহের বিপাকীয় প্রক্রিয়া উন্নত করে এবং মেজাজ ভালো রাখতে সহায়তা করে। গ্রিন টি’তে EGCG নামক এক ধরনের অ্যান্টি অক্সিডেন্ট থাকে। যা মস্তিষ্ক ও স্নায়ুতন্ত্রের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে। তাছাড়া ঘুম(Sleep)থেকে উঠার পর সকালের নাস্তায় গ্রিন টি পান করলে শরীর সজীব হয়ে উঠে।

৬. বিভিন্ন রকমের ফল
সকালের নাস্তার সাথে ফল(Fruit) যোগ করলে পুষ্টি গুণ বহুলাংশে বদ্ধি পেতে পারে। প্রায় সকল ধরনের ফলে ভিটামিন(Vitamins), পটাসিয়াম ও ফাইবার থাকে। তাছাড়া প্রায় সব ধরনের ফলে ক্যালরির পরিমাণ কম থাকে। এর ফলে বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি বহু গুণে হ্রাস পায়।

আমাদের লেখা আপনার কেমন লাগছে ও আপনার যদি কোনো প্রশ্ন থাকে তবে নিচে কমেন্ট করে জানান। আপনার বন্ধুদের কাছে পোস্টটি পৌঁছে দিতে দয়া করে শেয়ার করুন। পুরো পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

Check Also

ঘর ঠান্ডা

এই গরমে এসি ছাড়াই ঘর ঠান্ডা রাখার কৌশল জেনে নিন

এই গরমে এসি ছাড়াই ঘর ঠান্ডা রাখার কৌশল। দেশের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে চলছে। ...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *