Home / স্বাস্থ্য টিপস / বিষফোড়া কেন হয়, জেনে নিন প্রতিকার

বিষফোড়া কেন হয়, জেনে নিন প্রতিকার

আশা করি সবাই ভাল আছেন। আজ আপনাদের মাঝে অরেকটি আর্টিকেল নিয়ে হাজির হলাম। আজ আপনাদের জানাবো বিষফোড়া(Furuncle) কেন হয় ও প্রতিকার সম্পর্কে। তীব্র বেদনাসহ ফোলা বা ত্বকে একাধিক ফোঁড়া(Boil), যারা সাধারণত স্টাফালোলোকোক্কাস ব্যাকটেরিয়া(Bacteria) দ্বারা সংক্রামিত একটি সাংঘাতিক ধরনের ফোড়া(Boil)। ফোড়ার অনেকগুলি ছোট ছোট মুখ থাকে। একেই মূলত কার্বাঙ্কল বলে। কার্বাঙ্কল সাধারনত কোমর(Waist), ঘাড়ে, পিঠে ও কনুইতে বেশী দেখা দেয়।বিষফোড়া

বিষফোড়া কেন হয়, জেনে নিন প্রতিকার

কয়েক দিনের যন্ত্রণার পর যেমন সেরে যেতে পারে কার্বাঙ্কল(Carbuncle), তেমনই তা আবার গুরুতর আকারও নিতে পারে। তাই কার্বাঙ্কল হলে প্রয়োজন বাড়তি সতর্কতা। পরিস্থিতির দিকে নজর রাখা দরকার এবং প্রয়োজন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ।

কার্বাঙ্কল কেন হয়?
মূলত, যাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা(Immunity) দুর্বল, কার্বাঙ্কল তাদেরই হয়ে থাকে। আবার কোনও সুস্থ, স্বাভাবিক মানুষের দীর্ঘ বা জটিল রোগভোগের পর শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেলেও কার্বাঙ্কল(Carbuncle) হওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়। লক্ষ করলে দেখা যায়, কার্বাঙ্কল ত্বকের এক কিংবা একাধিক রোমকূপকে কেন্দ্র করেই হয়ে থাকে। অনেক সময়ে, মানুষের ত্বকে এক ধরনের ব্যাকটিরিয়া (স্ট্যাফিলোকক্কাস অরিউস) জন্ম নেয়। সেই ব্যাকটিরিয়াগুলি ত্বকের রোমকূপের ছিদ্র দিয়ে শরীরে প্রবেশ করে ইনফেকশন(Infection)তৈরি করে। এর পর ব্যাকটিরিয়া, শরীরের মৃত কোষ ও ত্বক-কোষ মিশে পুঁজ তৈরি হয়ে ‘সোয়েলিং’ শুরু হয়। যা ত্বকের বাইরে বেরিয়ে আসতে চায়।

পরিচ্ছন্নতার অভাব কিংবা কার্বাঙ্কল হয়েছে এমন ব্যক্তির সংস্পর্শে এলে ব্যাকটিরিয়া(Bacteria)ত্বকে বাসা বাঁধতে পারে। লক্ষ করলে দেখা যায়, কার্বাঙ্কল শরীরের সেই সকল অংশেই বেশি হয়ে থাকে, যে সকল অংশে ঘাম বেশি হয়। যেমন- ঘাড়, পিঠ, কোমর, হাঁটুর পিছন দিকের অংশ, আর্মপিট ইত্যাদি।

উপসর্গ
ব্যাকটিরিয়া ত্বকের কোনও অংশে ইনফেকশন(Infection)তৈরি করেছে বা করছে, তা আপনি ত্বকের উপর থেকে প্রথমে বুঝতে পারবেন না। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, শরীরে কোনও নির্দিষ্ট অংশের ত্বকের(Skin)উপরিভাগ কিছুটা শক্ত হয়ে যায় এবং জায়গাটি টিপলে ব্যথা(Pain)লাগে। পরে দেখা যায়, সেই জায়গাতেই হয়েছে কার্বাঙ্কল। প্রসঙ্গত, কার্বাঙ্কল(Carbuncle)বেশ কষ্টকর এবং সেটি টানা কয়েক দিন আপনাকে ভোগাবে। এমনকি, কার্বাঙ্কলের আকার বড় হলে জ্বরও আসতে পারে। তবে এতে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। সাধারণ ফোঁড়া(Boil) এবং কার্বাঙ্কলের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে।

করণীয়
যদি সম্ভব হয় যে অংশে কার্বাঙ্কল(Carbuncle) হয়েছে, সেই জায়গাটি খোলা রাখার চেষ্টা করুন। এতে রোগী স্বস্তি বোধ করবেন। তবে আপনাকে যদি পড়াশোনা কিংবা কাজের প্রয়োজনে বাইরে বেরোতেই হয়— চেষ্টা করুন পাতলা এবং ঢিলেঢালা পোশাক(Dress) পরার। এতে কার্বাঙ্কলের অংশটিতে মোটা এবং ভারী কাপড়ের ঘষা লাগবে না। মনে রাখা দরকার, কার্বাঙ্কল কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই ছোঁয়াচে। ফলে ত্বকের এক অংশ থেকে অন্য অংশে ছড়িয়ে যেতে পারে। তাই একবার ব্যবহার করা পোশাক সাবান দিয়ে না কেচে ফের ব্যবহারের কথা ভাববেন না। আবার কার্বাঙ্কল(Carbuncle) উপশমের যে যে উপায় রয়েছে, সেগুলি নিজেই প্রয়োগ করার চেষ্টা করুন।

পরিবারের কারও বা প্রিয়জনের সাহায্য না নেওয়াই ভালো। এতে তার শরীরেও কার্বাঙ্কল(Carbuncle) ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থেকে যাবে।

যে ব্যাকটিরিয়া(Bacteria) থেকে সাধারণত কার্বাঙ্কল হয়ে থাকে, বিশেষ পরিস্থিতিতে সেটি রক্তের সঙ্গে মিশে গেলে তা হৃদ্যন্ত্র, ফুসফুস এবং শরীরের ‘সেন্ট্রাল নার্ভাস সিস্টেম’-এ প্রভাব ফেলতে পারে। তাই কয়েক দিনের মধ্যে যদি কার্বাঙ্কল না কমে, তা হলে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। অনেকের ফোঁড়া(Boil) বা ফুসকুড়ি খোঁটাখুঁটির অভ্যেস রয়েছে। কার্বাঙ্কলের ক্ষেত্রে তা একেবারেই করবেন না। জোর করে পুঁজ বার করার চেষ্টা করলে ত্বকে গভীর ক্ষত তৈরি হতে পারে।

সুস্থ থাকুন, নিজেকে এবং পরিবারকে ভালোবাসুন। আমাদের লেখা আপনার কেমন লাগছে ও আপনার যদি কোনো প্রশ্ন থাকে তবে নিচে কমেন্ট করে জানান। আপনার বন্ধুদের কাছে পোস্টটি পৌঁছে দিতে দয়া করে শেয়ার করুন। পুরো পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

Check Also

শরীরের তাপ

শরীরের তাপ কমায় যে ৮টি খাবার

শরীরের তাপ কমায় যে ৮টি খাবার। হিট অ্যালার্ট চলছে দেশজুড়ে। তীব্র গরমে পুড়ছে প্রকৃতি। দাবদাহের ...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *