Home / লাইফস্টাইল / সুস্থ নীরোগ সন্তান লাভ করবেন কিভাবে?

সুস্থ নীরোগ সন্তান লাভ করবেন কিভাবে?

আশা করি সবাই ভাল আছেন। আজ আপনাদের মাঝে অরেকটি আর্টিকেল নিয়ে হাজির হলাম। আজ আপনাদের জানাবো সুস্থ(Healthy) নীরোগ সন্তান লাভ করার কয়েকটি উপায় সম্পর্কে। আমরা সব মানুষ আশা করি যে আমাদের সন্তান যেন পৃথিবীতে ভালভাবে জন্ম নিয়ে সুস্থ, নীরোগ ও দীর্ঘ জীবী হয়। তাঁর জন্য আমাদের বিশেষ করনীয় কাজ আছে। তাঁর মাধ্যমে আমারা সুস্থ, নীরোগ সন্তান(Healthy child) পেতে পারি। সেই করনীয় কথা গুলি জানতে আমাদের লেখাটি শেষ পর্যন্ত মন দিয়ে পড়ুন।সন্তান লাভ

সুস্থ নীরোগ সন্তান লাভ করবেন কিভাবে?

১) প্রথমে আমাদের সব থেকে দরকারি কথা হল যে – সন্তান ধারণকারী মা ও বাবার শরীর যেন সুস্থ(Healthy) থাকে। কারণ তাঁদের শরীরে যদি কোন রোগ হয়ে থাকে। কারণ মা বাবার শরীরে যদি কোনও রোগ থাকে তাহলে তা হতে যাওয়া সন্তানের হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। অবশ্যই দুজনের ডাক্তারি পরীক্ষা করে নেবেন। এইডস, থ্যালাসেমিয়া, প্রভৃতি রোগ আপনার থেকে আপনার সন্তানের হতে পারে। আপনাদের কোন সময় শরীর(Body) একদম সম্পূর্ণ সুস্থ থাকে সেই সময় সন্তান নেওয়ার চেষ্টা করবেন। অসুস্থ অবস্থায় সন্তান নেওয়া ঠিক নয় ।

২) গর্ভধারণের জন্য প্রহর খুব গুরুত্বপূর্ণ । রাত্রির প্রথম প্রহরে গর্ভধারণ হলে সন্তান অল্পায়ু, রুগ্ন, দুর্বল হয়। দ্বিতীয় ও তৃতীয় প্রহর উপযুক্ত নয়। যদি চতুর্থ প্রহরে গর্ভধারণ(Pregnancy) করেন সন্তান নীরোগ ও দীর্ঘায়ু হয় । ঋতুর প্রথম দিন থেকে ১৬ দিন পর্যন্ত গর্ভধারণের সময়। সুসন্তান পাওয়ার জন্য ঋতুর প্রথম প্রথম চার দিন, এগারো দিন, তেরতম দিন বাদ দিয়ে সহবাস করুন । সংক্রান্তি, চতুর্দশী, অষ্টমী, অমাবস্যা ও পূর্ণিমার দিন বাদ দিয়ে সহবাস করুন । চতুর্থ, ষষ্ঠ, অষ্টম, দশম, দ্বাদশ রাত্রে সহবাস(Intercourse) করলে পুত্র সন্তান আর পঞ্চম, সপ্তম, নবম, একাদশ রাত্রে সহবাস করলে কন্যা সন্তান(Daughter) হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সোমবার, বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার সহবাস করার জন্য আদর্শ বার । সকালে ও দ্বিপহরে সহবাস করবেন না। পায়খানা, পিপাসা, খিদে, প্রস্রাব ইত্যাদির সময় সহবাস করবেন না ।

৩) গর্ভাস্থায় দুঃখ, শোক, রাতজাগা, উপবাস, সহবাস এগুলি করবেন না । গর্ভাস্থায় সৎ ও ধর্ম চিন্তা করলে আপনার সন্তান সুখী ও ধার্মিক হবে। গর্ভাস্থায় নারী যদি মিথ্যা কথা বলা, অন্যায় কাজ করা, হিংসা করা ইত্যাদি করে তবে, সন্তানের সেই গুন প্রাপ্ত হয়। মনে কোনও খারাপ চিন্তা থাকবেনা । দুজনের শরীর সম্পূর্ণ সুস্থ থাকবে, পেত সম্পূর্ণ খালি বা পূর্ণ নয়, এমন অবস্থায় সহবাস করুন। গর্ভ ধারণের তৃতীয় মাসে একটি কাঁচা পলাশ পাতা বেটে দুধের সাথে খাওয়ালে বীর্যবান পুত্র সন্তান(Son) লাভ হয়। চতুর্থ মাসে যা খেতে ইচ্ছা হবে তাই খেতে দিতে হবে। চতুর্থ মাসে মা যেসব বিদ্যাচর্চা করবেন সন্তান সেই গুন লাভ করে। সামান্য কাজকর্ম করা ভাল, অত্যধিক পরিশ্রমের কাজ করবেন না।

৪) যদি বন্ধ্যাত্ব দেখা যায় তবে তাঁর প্রতিকার করুন । স্ত্রী জননের গঠনগত সমস্যা বা ক্ষুদ্রতা, ডিম্বাশয়, জরায়ু, শ্বেত প্রদর, ডিম্ববাহী নালী ইত্যাদি সমস্যার জন্য বন্ধ্যাত্ব(Infertility) দেখা যায় । আমার স্বামীর যদি কোনও সমস্যা থাকে তাহলে বন্ধ্যাত্ব দেখা দিতে পারে। পুরুষদের ধ্বজভঙ্গের কারণ – অতিরিক্ত স্ত্রীসঙ্গম, আঘাত লাগা, অতি শুক্রক্ষরন, হস্ত মৈথুন ইত্যাদি।

৫) গর্ভ হলে জানবেন কিভাবে – মুখ শুখনো দেখা যাবে । মুখ থেকে থুতু বের হবে। আলস্য ভাব দেখা যাবে। শরীর ভারী ভারী মনে হবে । স্তনের মুখ কালো হবে। গর্ভবতী স্ত্রীর দুধ(Milk) নিয়ে যদি পরীক্ষা করে দেখেন, তাহলে দেখবেন যে – দুধ কে যদি আয়নায় রাখা হয় রৌদ্রে মতির মত বিন্দু দেখা দিয়েছে, তবে পুত্র সন্তান আর যদি চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে যায় তবে কন্যা সন্তান(Daughter) হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। প্রতিদিন নিয়মিত স্নান করবেন, শরীর মন পরিষ্কার রাখবেন।

সুস্থ থাকুন, নিজেকে এবং পরিবারকে ভালোবাসুন। আমাদের লেখা আপনার কেমন লাগছে ও আপনার যদি কোনো প্রশ্ন থাকে তবে নিচে কমেন্ট করে জানান। আপনার বন্ধুদের কাছে পোস্টটি পৌঁছে দিতে দয়া করে শেয়ার করুন। পুরো পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

Check Also

ঘর ঠান্ডা

এই গরমে এসি ছাড়াই ঘর ঠান্ডা রাখার কৌশল জেনে নিন

এই গরমে এসি ছাড়াই ঘর ঠান্ডা রাখার কৌশল। দেশের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে চলছে। ...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *