পেটের চর্বি দূর হবে এক ব্যায়ামে মাত্র ১০ মিনিটেই। ওজন(Weight) কমানো মোটেও সহজ কাজ নয়। তবে ওজন যাতে নিয়ন্ত্রণে থাকে এজন্য স্বাভাবিক জীবন-যাপন জরুরি। ভালো অভ্যাসগুলো গ্রহণ করে খারাপ অভ্যাস ত্যাগ করতে হয়। শরীরের বিভিন্ন স্থানের তুলনায় পেটে খুব দ্রুত মেদ(Fat) জমতে শুরু করে।
পেটের চর্বি দূর হবে এক ব্যায়ামে মাত্র ১০ মিনিটেই
কারণ প্রয়োজনের তুলনায় বেশি ক্যালোরি(Calories) শরীরে জমা হলে সেগুলো অতিরিক্ত চর্বি হিসেবে শরীরে সঞ্চিত হতে থাকে। এর ফলে দীর্ঘদিন ধরে চর্বি(Fat) জমতে জমতে পেট হয়ে যায় বড়। শারীরিক পরিশ্রম না করায় মেদ শুধু পেট নয় শরীরের বিভিন্ন অংশে জমতে শুরু করে। পুরো শরীর হয়ে যায় স্থূলকায়।
আর পেটের মেদ(Fat) কমানোও খুব কষ্টের বিষয়। ডায়েটের পাশাপাশি শারীরিক কসরত বিশেষ করে পেটের ব্যায়াম বা অ্যাবস ওয়ার্কআউট না করলে চর্বি গলে না। এজন্য প্রতিদিনের একটি অভ্যাসেই কিন্তু আপনি পেটের মেদ(Fat) দূর করতে পারবেন। মাত্র ১০ মিনিটের এক অভ্যাসেই দূর হবে পেটের চর্বি-
ফ্লটার কিক এ ব্যায়ামটিই পেট কমানোর জন্য কার্যকরী ভূমিকা রাখে। এটি একটি আন্ডাররেটেড অ্যাবস বা কোর অনুশীলন। এ ব্যায়ামটি প্রতিদিন ১০ মিনিট করলে একমাসেই পেটের চর্বি(Fat) থেকে মুক্তি মিলবে। যেভাবে করবেন অনুশীলনটি-
প্রথমে সোজা হয়ে শুয়ে পড়ুন। এবার আপনার দুই হাত হিপের নিচে রাখুন। এরপর দুই পা একসঙ্গে মাটি থেকে কয়েক ইঞ্চি উপরে নিয়ে আপ-ডাউন করুন। বেশি উপরে পা উঠাবেন না, এভাবে ২ মিনিট করুন।
এরপর ৩০ সেকেন্ড পা দু’টি একসঙ্গে সোজা করে উপরে ধরে রাখুন। তারপর আবারও আগের মতো এক পা উঠিয়ে এবং আরকে পা নামিয়ে ক্রমাগত অনুশীলন চালিয়ে যান। মনে রাখবেন, ব্যায়ামটি করার সময় আপনার মাথা এবং ঘাড়টি মেঝে থেকে সামান্য তুলে রাখবেন।
এ ব্যায়ামটি দ্রুত ক্যালোরি(Calorie) বার্ন করে এবং পেশি শক্ত হয়। একইসঙ্গে পা এবং পেটের মেদ কমতে সাহায্য করে ফ্লটার কিক। নিয়মিত এ অনুশীলন করলে মেদ(Fat) কমার পাশাপাশি পিঠে ব্যথা থেকেও মুক্তি মেলে। তবে এ অনুশীলন করার সময় বেশ কিছু বিষয় মাথায় রাখা জরুরি। যেমন-
>> অনুশীলন করার সময় মেরুদণ্ড(Spine) সোজা রাখুন।
>> ব্যায়ামটি করার সময় ঘাড় ধরে রাখবেন না। এটি স্ট্রেসের কারণ হতে পারে।
>> প্রথমে ধীরে শুরু করুন, তারপরে গতি বাড়ান।
>> এ অনুশীলনটি করার সময় স্বাভাবিকভাবে নিঃশ্বাস নিতে হবে। দম ধরে রাখবেন না।
>> ধীরে ধীরে সময় বাড়াতে পারেন। ১০ থেকে ১২ মিনিট তারপর ১৫ মিনিট এভাবে!
>> যতটা সম্ভব আপনার পা উঁচু রাখুন।
সুস্থ থাকুন, নিজেকে এবং পরিবারকে ভালোবাসুন। আমাদের লেখা আপনার কেমন লাগছে ও আপনার যদি কোনো প্রশ্ন থাকে তবে নিচে কমেন্ট করে জানান। আপনার বন্ধুদের কাছে পোস্টটি পৌঁছে দিতে দয়া করে শেয়ার করুন। পুরো পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।