Home / স্বাস্থ্য টিপস / হাঁপানিতে আক্রান্ত কি না বুঝবেন যেসব লক্ষণ দেখে

হাঁপানিতে আক্রান্ত কি না বুঝবেন যেসব লক্ষণ দেখে

সাধারণত কোন রোগের প্রাথমিকভাবে লক্ষণ(Symptom) দেখে শনাক্ত করা গেলে বড় বিপদ হওয়া থেকে সহজেই বাঁচা যায়। তবে বেশির ভাগ সময়ই আমরা অনেক রোগ প্রথম থেকে বুঝতে পারি না। ফলে সময়মতো চিকিৎসা না নেওয়ায় সেই রোগ আমাদের শরীরে ভালোভাবেই বাসা বাধে। তেমনই একটি রোগ হচ্ছে- অ্যাজমা বা হাঁপানি। বেশির ভাগ মানুষই এই রোগকে সাধারণ শ্বাসকষ্ট ভেবে এড়িয়ে যান। তাই এক নজরে জেনে নেওয়া যাক হাঁপানি(Asthma) রোগের লক্ষণ গুলো কী কী-হাঁপানিতে আক্রান্ত

হাঁপানিতে আক্রান্ত কি না বুঝবেন যেসব লক্ষণ দেখে

১. শ্বাসকষ্ট
শ্বাসকষ্ট হলো হাঁপানির প্রাথমিক লক্ষণগুলোর মধ্যে একটি। শ্বাসকষ্ট হঠাৎ করেই শুরু হতে পারে। যখন শ্বাসনালী(Trachea) স্ফীত এবং সংকীর্ণ হয়ে যায়, তখন শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। যার ফলে, ফুসফুসে পর্যাপ্ত পরিমাণে অক্সিজেন(Oxygen) চলাচল হয় না এবং ফলস্বরূপ শ্বাসকষ্ট শুরু হয়।

২. হুইজিং
হাঁপানির টান উঠলে, প্রদাহের কারণে শ্বাসনালী(Trachea সংকুচিত হয়ে যায়। যার ফলে শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়ার সময় শরীর প্রয়োজনীয় পরিমাণে অক্সিজেন গ্রহণ করতে ব্যর্থ হয়। তাই শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়ার সময় সাঁসাঁ করে আওয়াজ বের হয়।

৩. কাশি
হাঁপানির অন্যতম লক্ষণ হলো- কাশি হওয়া। ধুলো-বালি, কুয়াশা, ধোঁয়ার মতো বিরক্তিকর উপাদানগুলো হাঁপানির ঝুঁকি বাড়ায়। যখন এই মাইক্রো-পার্টিকেল শ্বাসনালীতে প্রবেশ করে, তখনই জ্বালা এবং প্রদাহ হয়। তা ছাড়া এগুলো স্নায়ুকে উদ্দীপিত করে, যা মস্তিষ্ককে সংকেত দেয় কাশির মাধ্যমে ফুসফুস(Lung) থেকে বাতাস বের করে দিতে।

৪. কাশি যা সহজে দূর হতে চায় না
যারা তীব্র শ্বাসকষ্টে ভুগছেন তাদের মধ্যে অ্যাজমা সম্পর্কিত কাশি এত সহজে দূর হয় না। শীতকালে এই হাঁপানি(Asthma) রোগীদের কাশির সমস্যা আরও বাড়তে পারে। হাঁপানির কারণে হওয়া গুরুতর কাশির সমস্যাকে কফ-ভ্যারিয়েন্ট অ্যাজমা বলা হয়।

৫. বুকে চাপা ভাব অনুভূত হওয়া
হাঁপানির টান উঠলে শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে বেশ কষ্ট হয়, ফলে শারীরিক অস্বস্তি বোধ হয়। এতে বুকের মধ্যে টান বাড়ে, বুকে চাপা ভাব অনুভব হয়। বুক ফুলে উঠতে পারে অথবা সমস্ত বাতাস বের হয়ে যেতে পারে।

৬. দ্রুত শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়া
আক্রান্ত ব্যক্তিকে দ্রুত শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে বাধ্য করতে পারে। শ্বাসকষ্টের সময় ফুসফুস(Lung) থেকে সম্পূর্ণরূপে বাতাস বেরিয়ে যায়, ফলে আক্রান্ত ব্যক্তি নিজেই দ্রুত শ্বাস নিতে বাধ্য হন। এ ক্ষেত্রে দ্রুত শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়ার সময় সাঁসাঁ শব্দও শোনা যায়।

এই লক্ষণগুলো ছাড়াও অ্যাজমা বা হাঁপানির রোগের ক্ষেত্রে কথা বলতে কষ্ট হওয়া, উদ্বিগ্ন কিংবা অস্থির হয়ে ওঠা, অত্যাধিক ঘাম হওয়া, ঠোঁট নীল হয়ে যাওয়ার মতো বিভিন্ন উপসর্গও লক্ষ্য করা যায়।

সুস্থ থাকুন, নিজেকে এবং পরিবারকে ভালোবাসুন। আমাদের লেখা আপনার কেমন লাগছে ও আপনার যদি কোনো প্রশ্ন থাকে তবে নিচে কমেন্ট করে জানান। আপনার বন্ধুদের কাছে পোস্টটি পৌঁছে দিতে দয়া করে শেয়ার করুন। পুরো পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

Check Also

শরীরের তাপ

শরীরের তাপ কমায় যে ৮টি খাবার

শরীরের তাপ কমায় যে ৮টি খাবার। হিট অ্যালার্ট চলছে দেশজুড়ে। তীব্র গরমে পুড়ছে প্রকৃতি। দাবদাহের ...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *