হার্ট অ্যাটাক থেকে বাঁচতে কী কী খাবেন। হার্ট (Heart) ভালো রাখার বিকল্প নেই। কারণ শরীরের এই অঙ্গটি একবার কাজ করা বন্ধ করে দিলেই সব শেষ। তাই হার্টের সুস্থতা নিশ্চিত করা জরুরি। সেজন্য আপনাকে সবার আগে নজর দিতে হবে জীবনযাপনের ধরন আর খাবারের দিকে। যেসব খাবার হার্টের জন্য ক্ষতিকর সেগুলো বাদ দিতে হবে। খাবারের তালিকায় রাখতে হবে এমন সব খাবার যেগুলো হার্ট (Heart) ভালো রাখতে কাজ করে। চলুন জেনে নেওয়া যাক এমন কিছু খাবার সম্পর্কে-
হার্ট অ্যাটাক থেকে বাঁচতে কী কী খাবেন
ডার্ক চকোলেট
সবার কাছেই পছন্দের একটি খাবার ডার্ক চকোলেট (Dark chocolate)। এটি কেবল খেতেই সুস্বাদু নয়, সেইসঙ্গে স্বাস্থ্যকরও। আমাদের স্বাস্থ্যের নানা উপকার করে ডার্ক চকোলেট। এতে থাকে প্রচুর পরিমাণে ফ্ল্যাভনয়েডস যা হার্টের জন্য অত্যন্ত উপকারী। তাই আপনার হার্ট ভালো রাখতে নিয়মিত ডার্ক চকোলেট খাওয়ার অভ্যাস করুন। এতে আরও অনেক উপকার পাবেন।
সবুজ শাক-সবজি
আমাদের দেশে প্রচুর সবুজ শাক-সবজি (Vegetable) পাওয়া যায়। এগুলো হার্টের জন্য উপকারী। সবুজ শাক-সবজিতে থাকে প্রচুর ভিটামিন, মিনারেলস ও অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। এগুলো হার্টের অসুখকে দূরে রাখে। যে কারণে হার্ট ভালো থাকে। তাই নিয়মিত খাবারের তালিকায় রাখুন প্রচুর সবুজ-শাক সবজি।
আখরোট
বিভিন্ন বাদামের মধ্যে অন্যতম উপকারী বাদাম হলো আখরোট। এটি খুবই পুষ্টিকর একটি ফল। আখরোটে থাকে ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড (Mega 3 fatty acids)। এই উপাদান কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজের ক্ষেত্রে অত্যন্ত উপকারী বলে পরিচিত। তাই হার্ট ভালো রাখতে চাইলে প্রতিদিন আখরোট খাওয়ার অভ্যাস করুন। তবে একসঙ্গে অনেকগুলো নয়, প্রতিদিন একমুঠো আখরোট খেলেই যথেষ্ট।
বেরি জাতীয় ফল
বেরি জাতীয় ফল আপনার খাবারের তালিকায় রাখা জরুরি। কারণ নিয়মিত এ জাতীয় ফল খাওয়ার অভ্যাস হার্টের জন্য ভালো। সুস্থ হার্ট পাওয়ার জন্য নিয়মিত বেরি জাতীয় ফল খেতে হবে। স্ট্রবেরি, ব্লু বেরি জাতীয় ফলে থাকে প্রচুর অ্যান্টি অক্সিডেন্ট (Anti-oxidant) ও অ্যান্থোসায়নিন। যা অক্সিডেটিভ স্ট্রেস রিলিজ করতে সাহায্য করে। ইনফ্ল্যামেশনের বিরুদ্ধেও কাজ করে এই উপাদানগুলো। বুঝতেই পারছেন কেন এই ফল খাওয়া জরুরি!
অ্যাভোকাডো
বিদেশি ফল অ্যাভোকাডো। তবে এটি আমাদের দেশেও পাওয়া যায়। এতে থাকে প্রচুর পরিমাণে মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট (Monounsaturated fat) এবং পটাশিয়াম। এই দুই উপাদান হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য বেশ ভালো। এই উপাদানগুলো ব্লাড প্রেসার ও কোলেস্টেরল কমাতেও দারুণভাবে সাহায্য করে। তাই এই ফল রাখতে পারেন আপনার খাবারের তালিকায়।
আমাদের লেখা আপনার কাছে কেমন লেগেছে এবং আপনার যদি কোনো প্রশ্ন অথবা মতামত থেকে থাকে তবে নিচে কমেন্ট করে আমাদের জানাতে পারেন। আর আপনার বন্ধুদের কাছে পোস্টটি পৌঁছে দিতে শেয়ার করুন। সুস্থ থাকুন, নিজেকে এবং পরিবারকে ভালোবাসুন।