রূপচর্চায় কাঁচা হলুদের ব্যবহার হয়ে আসছে প্রাচীনকাল থেকেই। এক টুকরা কাঁচা হলুদ ত্বকের জেল্লা ফেরাতে যেমন কাজ করে, তেমনি ত্বকের নানা রোগের দাওয়াই হিসেবে ব্যবহার হয়। ত্বকের সৌন্দর্য (Skin beauty) ফেরাতে এখনো আগের মতোই ব্যবহার হয় হলুদ। জেনে নিন হলুদের ব্যবহার ত্বককে কিভাবে নানা সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়-
একটুখানি হলুদ দূর করতে পারে ত্বকের নানা সমস্যা
১। ক্ষত সারায়
যেকোতো ক্ষত সারাতে প্রাচীনকাল থেকেই ব্যবহার হয়ে আসছে হলুদ বাটা। কেটে গেলে, পুড়ে গেলে কিংবা কোনো ক্ষত সারাতে এ উপাদানের জুড়ি মেলা ভার। কেননা এতে রয়েছে প্রয়োজনীয় অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট (Anti-oxidant), যা ক্ষত সারাতে বেশ কার্যকর ভূমিকা রাখে।
২। বলিরেখাকে বিদায় জানায়
বয়স বাড়াতে সক্ষম ফ্রি র্যাডিক্যালকে প্রতিরোধ করতে সক্ষম হলুদ (Turmeric)। এমনকি ত্বকের কোলাজেন এবং আর্দ্রতার মাত্রা বজায় রাখতেও সহায়তা করে এ উপাদান। যেহেতু ত্বকের বয়স যাতে না বাড়ে এমন সব সুবিধাই দিতে সক্ষম এ উপাদান, তাই বলাই যায় বার্ধক্যকে কাছে ভিড়তে দেয় না হলুদ। এমনকি এটি ত্বক(Skin) কুঁচকে যাওয়ার পাশাপাশি ফাইন লাইনসগুলো হ্রাস করার জন্যও নিখুঁতভাবে কাজ করে।
৩। সূর্যরশ্মির প্রভাবে হওয়া ক্ষতি সারাতে
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা যায় হলুদে রয়েছে নানা রকম প্রয়োজনীয় অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, যা সূর্যের ক্ষতিকারক রশ্মি দ্বারা ত্বকের ক্ষতি সারাতে ভূমিকা রাখে। এ জন্যই ত্বকে যখন ভীষণ জ্বালাপোড়া ভাব হয়, তখন ত্বকে হলুদ বাটা মাখা হলে আরাম পাওয়া যায়।
৪। ত্বককে উজ্জ্বল ও সজীব করতে
ত্বকে প্রতিনিয়ত জমা হচ্ছে নানা রকম টক্সিন (Toxin) উপাদান। এসব ক্ষতিকর উপাদান ত্বকের নানা সমস্যার কারণ। ত্বকের উজ্জ্বলতা কমিয়ে ম্নান করে ফেলে অচিরেই। এ সমস্যার সমাধান টানতে সক্ষম হলুদ। কেননা নিয়মিত হলুদের ব্যবহার ত্বক (Skin) থেকে বিষাক্ত উপাদানগুলোকে বের করে ত্বককে করে তোলে সজীব, উজ্জ্বল, দীপ্তিময়।
৫। ব্রণ ও দাগ দূর করতে
ত্বকের জ্বালাপোড়া, ব্রণ ইত্যাদির সঙ্গে লড়াই করতে সক্ষম এক টুকরা হলুদ। ত্বকে ব্রণ (Acne) হয়েছে তো খানিকটা হলুদ মেখে নিন। ব্যস চুলকানি, ব্রণ কিংবা র্যাশ উধাও। বিশেষ করে সেনসিটিভ ত্বকের নানা সমস্যা সমাধানে বেশ কার্যকর ভূমিকা রাখে এ উপাদান। বলা হয়ে থাকে, হলুদে রয়েছে এক বিশেষ এনজাইম, যা মূলত ত্বক থেকে কালো দাগ, হাইপারপিগমেন্টেশন, এমনকি সূর্যরশ্মির প্রভাবে ক্ষতি হওয়া ত্বক (Skin) সারাতেও ভূমিকা রাখে একটুখানি হলুদ।
আমাদের লেখা আপনার কাছে কেমন লেগেছে এবং আপনার যদি কোনো প্রশ্ন অথবা মতামত থেকে থাকে তবে নিচে কমেন্ট করে আমাদের জানাতে পারেন। আর আপনার বন্ধুদের কাছে পোস্টটি পৌঁছে দিতে শেয়ার করুন। সুস্থ থাকুন, নিজেকে এবং পরিবারকে ভালোবাসুন।