Home / স্বাস্থ্য টিপস / ইফতারে খেজুর কেন খাবেন

ইফতারে খেজুর কেন খাবেন

শুরু হচ্ছে রোজার মাস। সারাদিন রোজা রাখার পর খেজুর (Date) দিয়ে রোজা ভাঙা রমজানের ঐতিহ্য। পবিত্র হাদিসেও খেজুর দিয়ে ইফতার করার কথা বলা আছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, সারা দিন উপবাসের পরে এমন কিছু খাওয়া উচিত যা শরীরে তাৎক্ষণিক শক্তি জোগায়। তার জন্য খেজুর খুব উপযোগী একটি খাদ্য। মিষ্টি স্বাদের এই ফলটি খুবই পুষ্টিকর (Nutritious)। খেজুরকে প্রাকৃতিক শক্তির উৎসও বলা হয়। খেজুরের রয়েছে আরও অনেক পুষ্টি গুণ।খেজুর

ইফতারে খেজুর কেন খাবেন

স্থানভেদে একেক এলাকার খেজুর একেক রঙের হয়, কিন্তু সব রঙের খেজুরেরই কোনো না কোনো পুষ্টিগুণ রয়েছে। বখেজুরে আয়রন, ক্যালসিয়াম, সালফার, কপার, ম্যাগনেশিয়াম (Magnesium), ফসফরাস, ফলিক এসিড, প্রোটিন ও ভিটামিনে ভরপুর থাকে। এছাড়া প্রাকৃতিক ফাইবারসমৃদ্ধ এই ফলটি মন ও শরীর ভালো রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও খেজু‘র খেলে আরও যেসব উপকারিতা পাওয়া যায়-

১. সারাদিন না খাওয়ার পর সন্ধ্যায় ইফতারে ভালমন্দ খাওয়ার চল রয়েছে সারা বিশ্বে। অনেকেই খাদ্যতালিকায় রাখেন নানা ধরনের ফল (Fruit) এবং ভাজাভুজি । খেজু‘র সে সব খাবার হজম করতে সাহায্য করে। এটি খালি পেটে খেলেও কোনও ক্ষতি নেই।

২. সারাদিন উপবাসের পর শরীরে ফাইবারের প্রয়োজন পড়ে। খেজুর (Date) শরীরের এই পুষ্টি উপাদানের ঘাটতি পূরণ করে।

৩. রোজায় সারাদিন না খেয়ে থাকতে হয়। কিন্তু সারাদিনের কাজকর্ম থেমে থাকে না। এজন্য শরীর সচল রাখা প্রয়োজন। খেজুরে থাকা ম্যাগনেশিয়াম, আয়রন, ভিটামিন (Vitamin) শরীর সচল রাখতে বেশ কার্যকর।

৪. শরীরের কার্যক্ষমতা বজায় রাখার জন্য হৃৎপিণ্ড গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। সব ধরনের কিংবা রঙের খেজুরে অল্প পরিমাণে সোডিয়াম (Sodium) এবং বেশি পরিমানে পটাশিয়াম থাকে। এটা হৃৎপিণ্ড ভাল রাখতে সাহায্য করে এবং স্ট্রোকের ঝুঁকিও কমায়।

৫.খেজুরে থাকা উচ্চমাত্রার ভিটামিন ‘বি’ নার্ভকে শান্ত করে রক্তচাপ কমাতে সহায়তা করে। তাই যাদের উচ্চ রক্তচাপ (High blood pressure) আছে তারা খেজুর খেতে পারেন। এই ফল রক্তে শর্করার মাত্রাও নিয়ন্ত্রণ করে।

৬. ত্বকের সুরক্ষায়ও খেজুর দারুণ কাজ করে। নিয়মিত খেজুর খেলে হজমশক্তি (Digestive power) বাড়ে। সেই সঙ্গে ত্বকও থাকে ঝলমলে। খেজুর চুলের জন্যও বেশ উপকারী। এত পুষ্টিগুণ থাকায় শরীর ভালো রাখতে বিশেষজ্ঞরা তাই দিনে অন্তত দুইটি করে খেজু‘র খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।

সুস্থ থাকুন, নিজেকে এবং পরিবারকে ভালোবাসুন। আমাদের লেখা আপনার কাছে কেমন লেগেছে এবং আপনার যদি কোনো প্রশ্ন অথবা মতামত থেকে থাকে তবে নিচে কমেন্ট করে আমাদের জানাতে পারেন। আর আপনার বন্ধুদের কাছে পোস্টটি পৌঁছে দিতে শেয়ার করুন। সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

Check Also

ঠান্ডা পানি

এই গরমে ফ্রিজের ঠান্ডা পানি ভালো নাকি ক্ষতিকর

দেশজুড়ে তীব্র তাপদাহে অতিষ্ঠ নগরবাসী। একে তাপমাত্রা সহন ক্ষমতার বাইরে, তার সঙ্গে রয়েছে বাতাসের অত্যধিক ...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *