Home / চুলের যত্ন / চুলের আগা ফাটা দূর করার ঘরোয়া উপায় জেনে নিন

চুলের আগা ফাটা দূর করার ঘরোয়া উপায় জেনে নিন

চুলের আগা ফাটার সমস্যা দূর করার জন্য বেশিরভাগই চুল (Hair) কেটে ফেলেন। সাধারণত নারীর চুল যেহেতু লম্বা রাখা হয়, তাই তাদের চুলের ক্ষেত্রেই আগা ফাটার সমস্যা দেখা দেয়। একবার আগা ফাটতে শুরু করলে চুল আর লম্বা হয় না, ভেঙে ভেঙে পড়ে। এর বড় কারণ হতে পারে আপনার অযত্ন, জীবনযাপনে অনিয়ম, দূষণ, রোদ ও ধুলোর মতো বিষয়গুলো। এসব কারণে চুল ধীরে ধীরে আর্দ্রতা হারিয়ে ফেলে। পুষ্টির অভাবে চুল প্রাণহীন হয়ে যায়। সেখান থেকে শুরু হয় আগা ফাটার সমস্যা। চলুন জেনে নেওয়া যাক চুলের আগা ফাটা দূর করার ঘরোয়া উপায়-চুলের আগা ফাটা

চুলের আগা ফাটা দূর করার ঘরোয়া উপায় জেনে নিন

১। ডিমের হেয়ার মাস্ক
চুলের যত্নে সপ্তাহে অন্তত একদিন হেয়ার মাস্ক (Hair mask) ব্যবহার করুন। এই মাস্ক তৈরি করতে পারবেন ঘরেই। এক্ষেত্রে কার্যকরী হলো ডিমের হেয়ার মাস্ক। ডিম রুক্ষ চুলকে ঠিক করতে কাজ করে। সেইসঙ্গে চুলে যোগ করে বাড়তি উজ্জ্বলতা। এটি চুলে প্রয়োজনীয় প্রোটিন এবং ভিটামিন পৌঁছে দেয়। সেইসঙ্গে ঠিক রাখে চুলের আর্দ্রতাও। চুলের আগা ফাটার সমস্যাও থাকে নিয়ন্ত্রণে। চুলে ময়েশ্চারাইজার (Moisturizer) এবং কন্ডিশনার (Conditioner) হিসেবে কাজ করে ডিম। একটি পাত্রে ডিম ফাটিয়ে নিন। এর মধ্যে ২ চামচ অলিভ অয়েল এবং ২ চামচ আমন্ড অয়েল মিশিয়ে নিন। এবার এই মিশ্রণ আপনার চুলে ভালো করে লাগিয়ে নিন। ৩০-৪০ মিনিট রেখে শ্যাম্পু করে ফেলুন।

২। তেল ব্যবহার করুন
অনেকে মনে করেন চুলের যত্ন (Hair Care) নেওয়ার জন্য তেল অতটা প্রয়োজন নেই। আসলে এটি ঠিক নয়। নিয়মিত নারিকেল তেল ব্যবহার করতে হবে। চুল কোমল রাখতে এবং স্ক্যাল্পের স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে নারিকেল তেলের ব্যবহার বেশ পুরোনো। যুগ যুগ ধরে চুলের যত্নে এই তেল ব্যবহার হয়ে আসছে। চুলের আগা ফাটা সমস্যা দূর করতে নিয়মিত নারকেল তেল (Coconut oil) মালিশ করুন। এতে চুলের উজ্জ্বলতাও ফিরে আসে। চুল পড়া (Hair fall) নিয়ন্ত্রণে আসে। একটি পাত্রে পরিমাণমতো নারিকেল তেল নিয়ে সামান্য গরম করে নিন। এরপর আঙুলের সাহায্যে সেই তেল স্ক্যাল্প ও চুলে মালিশ করে নি। ঘণ্টাখানেক রেখে শ্যাম্পু করে ফেলুন।

৩। অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার
অ্যালোভেরা জেল ব্যবহারে চুলের রুক্ষ ও শুষ্কভাব দূর হয়। এটি চুলের আগা ফাটা সমস্যাও দূর করতে পারে। এতে থাকা কয়েকটি এনজাইম স্ক্যাল্পের মৃত কোষ দূর করতে সাহায্য করে। যে কারণে চুল (Hair) দ্রুত বৃদ্ধি পায়। এতে থাকা অ্যান্টি মাইক্রোবায়াল এবং অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান স্ক্যাল্পের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। চুলে ব্যবহারের জন্য অ্যালোভেরার পাতা থেকে পরিমাণমতো জেল বের করে নিতে হবে। এরপর তা স্ক্যাল্প ও চুলে ভালো করে লাগিয়ে নিন। ৩০-৪০ মিনিট রাখার পরে শ্যাম্পু করে নিন।

৪। মধু ব্যবহার
চুল ভালো রাখার জন্যে মধু (Honey) ব্যবহার করতে পারেন। চুলের আগা ফাটা দূর করতে এটি যথেষ্ট কার্যকরী। মধু ব্যবহার করলে তা চুলের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে। ফলে চুলের আগা ফাটা বন্ধ হয়। এটি হেয়ার ফলিকল মজবুত করতে সাহায্য করে। সেইসঙ্গে ভালো রাখে স্ক্যাল্পও। মধু, টক দই ও অলিভ অয়েল (Olive oil) একসঙ্গে মিশিয়ে একটি হেয়ার মাস্ক তৈরি করে নিন। এরপর ভালো করে স্ক্যাল্প ও চুলে লাগিয়ে নিন। ঘণ্টাখানেক রেখে শ্যাম্পু করে ফেলুন।

সুস্থ থাকুন, নিজেকে এবং পরিবারকে ভালোবাসুন। আমাদের লেখা আপনার কাছে কেমন লেগেছে এবং আপনার যদি কোনো প্রশ্ন অথবা মতামত থেকে থাকে তবে নিচে কমেন্ট করে আমাদের জানাতে পারেন। আর আপনার বন্ধুদের কাছে পোস্টটি পৌঁছে দিতে শেয়ার করুন। সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

Check Also

চুল

শুষ্ক চুল মসৃণ হবে যে ৫টি স্প্রে ব্যবহারে

রুক্ষ ও শুষ্ক চুল যেমন নিষ্প্রাণ দেখায়, তেমনি আঁচড়াতে গেলে ছিঁড়েও যায় খুব সহজে। এ ...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *