Home / স্বাস্থ্য টিপস / হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায় কলা

হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায় কলা

আশা করি সবাই ভাল আছেন। আজ আপনাদের মাঝে অরেকটি আর্টিকেল নিয়ে হাজির হলাম। আজ আপনাদের জানাবো হার্ট অ্যাটাক(Heart attack) ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে কলার কার্যকারিতা সম্পর্কে। কলা বহুগুণে সমৃদ্ধ। বিদেশি দামি ফলের দিকে না ঝুঁকে কম দামে দেশি ফল খাওয়াই ভালো। তাই শরীর সুস্থ রাখতে প্রতিদিন ছোট-বড় সকলেরই একটি করে কলা(Banana) খাওয়া উচিৎ। উচ্চমাত্রার পটাশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম বিদ্যমান থাকায় এটি একটি পুষ্টিকর(Nutritious) খাবার। এর নানা স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। পাকাকলা পটাশিয়ামের আধার। প্রতিদিন একটি বা দুটি কলা খেলে আপনার হৃদযন্ত্র অনেক বেশি সচল থাকবে এবং হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের(Stroke) ঝুঁকি কমবে।কলা

হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায় কলা

কলার পটাশিয়াম(Potassium) এমনকি কিডনিও ভালো রাখে। ইউরিনে ক্যালসিয়াম জমা হতে বাধা দেয় বলে কিডনিতে পাথর হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়। এরফলে হাঁড়(Bone) মজবুত হওয়ার জন্যও আরো বেশি ক্যালসিয়াম(Calcium) বরাদ্দ থাকে। কলাতে আছে প্রচুর পরিমাণে প্রাকৃতিক শর্করা(Sugar) ও সল্যুবল ফাইবার, যা ধীরে হলেও দৃঢ় শক্তির যোগান দেয় শরীরে। কলায় কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়।

কলা প্রোটেক্টিভ মিউকাস লেয়ার বৃদ্ধির মাধ্যমে পাকস্থলিতে পিএইচ লেভেল ঠিক রাখে, যা আপনাকে বুক-জ্বালা ও পাকস্থলীর আলসার(Ulcer) থেকে রক্ষা করবে। গবেষণায় দেখা গেছে, অতিরিক্ত পাকাকলা শরীরের জন্য গুরুত্বপূর্ণ নামক এক ধরনের যৌগ সরবরাহ করে, যা শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা(Immunity) বৃদ্ধির পাশাপাশি শ্বেত রক্তকণিকার পরিমাণ বাড়ায়। এতে করে ব্লাড ক্যান্সারের(Blood cancer) ঝুঁকি অনেক কমে যায়।

কলায় আছে ট্রিপটোফ্যান নামক অ্যামিনো এসিড(Amino acids) যা সেরোটোনিনে পরিবর্তিত হয়। সেরোটোনিনের সঠিক মাত্রা আপনার মুড ঠিক রাখবে এবং মানসিক চাপ কমাবে। এতে করে আপনার ভালো ঘুম(Sleep) হবে। কলার চামড়ায় কিছু পরিমাণে ফ্যাটি উপাদান আছে, যা ত্বকে ঘষলে ময়েশ্চারাইজারের মতো উপকার পেতে পারেন। আবার ব্রণ(Acne) দূর করার জন্যও কলার চামড়া ব্যবহার করা হয়। তবে সবধরনের ত্বকের জন্য তা কাজ নাও করতে পারে।

তবু একবার চেষ্টা করে দেখতে তো দোষ নেই! কলা ডোপামিন, ক্যাটেচিন্স এর মতো কিছু গুরুত্বপূর্ণ অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট(Antioxidant) এর দারুণ উৎস। এগুলো শরীরকে সার্বিক ক্ষতির হাত থেকে রক্ষার কাজ করে। কলায় রয়েছে বিপুল পরিমাণে আয়রন যা শরীরে লহিত রক্তকণিকার(Blood cells) মাত্রা বৃদ্ধি করার মধ্যে দিয়ে অ্যানিমিয়ার প্রকোপ কমাতে বিশেষ ভ‚মিকা পালন করে থাকে। তাই যারা এমন রোগে ভুগছেন, তারা আয়রন ট্যাবলেটের পাশাপাশি যদি নিয়ম করে কলা(Banana) খেতে পারেন, তাহলে কিন্তু দারুণ উপকার মিলতে পারে।

আমাদের লেখা আপনার কেমন লাগছে ও আপনার যদি কোনো প্রশ্ন থাকে তবে নিচে কমেন্ট করে জানান । আপনার বন্ধুদের কাছে পোস্টটি পৌঁছে দিতে দয়া করে শেয়ার করুন । পুরো পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

Check Also

ঘি খাওয়ার উপকারিতা

খালি পেটে ঘি খাওয়ার উপকারিতা

খালি পেটে ঘি খাওয়ার উপকারিতা । ঘি খাওয়ার উপকারিতার কথা কম-বেশি প্রায় সবাই জানেন। কিন্তু ...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *