Home / লাইফস্টাইল / জেনে নিন বয়সে বড় মেয়েদের বিয়ে করলে কি হয়

জেনে নিন বয়সে বড় মেয়েদের বিয়ে করলে কি হয়

আশা করি সবাই ভাল আছেন। আজ আপনাদের মাঝে অরেকটি আর্টিকেল নিয়ে হাজির হলাম। আজ আপনাদের জানাবো বয়সে বড় মেয়েদের বিয়ে(Marriage) করলে কি হয় সে সম্পর্কে। আমাদের সমাজে ছেলেরা তাঁর চেয়ে বয়সে ছোট মেয়েকে বিয়ে করবে, এটাই স্বাভাবিক রীতি। তাই বলে কি ব্যতিক্রম হতে পারে না? একজন ছেলে তার চেয়ে বয়সে বড়(Older in age) মেয়ের প্রেমে পড়তেই পারে, বিয়েও করতে পারে। অসম বয়সের সম্পর্ক আমাদের সমাজে স্বীকৃত। সেক্ষেত্রে পুরুষকে হতে হবে বড়, আর মেয়ে হবে ছোট। উল্টোটা হলে সমাজ ও পরিবার সহজে মেনে নিতে চায় না। এছাড়া নানা সমস্যা রয়েছে। সেটা শারীরিক(Physical) এবং মানসিক।বিয়ে

জেনে নিন বয়সে বড় মেয়েদের বিয়ে করলে কি হয়

এক নজরে দেখে নেওয়া যাক, এমন বিয়ের ফলে কী কী সমস্যায় পড়তে হয়—

লোকনিন্দা : স্ত্রী(Wife) যখন বয়সে বড় হন, তখন প্রথমেই যে বিষয়টির মুখোমুখি হতে হয় সেটি হল লোকজনের নিন্দা। স্বামী-স্ত্রীর দিকে বাঁকা চোখে তাকান অনেকেই। আওয়াজ খেতে হয় বন্ধুদের থেকেও। স্বামী-স্ত্রীর বয়সের পার্থক্য নিয়ে অনেকে আড়ালে, এমনকি সামনাসামনিও ঠাট্টা করে থাকে।

পারিবারিক অসহযোগিতা : সঙ্গিনীর বেশি বয়স নিয়ে সবচেয়ে বেশি আপত্তি আসে পরিবার(Family) থেকে। খুব কম পরিবারই রয়েছে যেখানে এমন বিয়ে সহজেই গ্রহণ করা হয়।

বয়সের ছাপ : স্ত্রী যখন স্বামীর চেয়ে বয়সে বড় হবেন, তখন স্বাভাবিকভাবেই স্ত্রীর চেহারায় বয়সের ছাপ(Ages impression) আগে পড়বে। অনেক পুরুষই তখন স্ত্রীকে অন্যের সঙ্গে পরিচয় করাতে সঙ্কোচবোধ করেন। আবার অনেক স্ত্রী স্বামীর সঙ্গে বের হতে চান না। পরস্পরের মধ্য একটা দূরত্ব তৈরি হয়।

মানসিক চাপ : স্বামীর চেয়ে স্ত্রীর(Wife) বয়স বেশি হলে যেসব পারিবারিক ও সামাজিক সমস্যা তৈরি হয়, তা মনের উপরে চাপ সৃষ্টি করে। নারী-মনে তা বেশি প্রভাব ফেলে। এর জেরে সম্পর্ক ভেঙে যাওয়াও অস্বাভাবিক নয়।

যৌনজীবনে সমস্যা : স্বামীর চেয়ে স্ত্রীর বয়স খুব বেশি হলে একটা সময়ে যৌনজীবনে(sex life) সমস্যা তৈরি হয়। কারণ, নারী ও পুরুষের শারীরিক(Physical) ক্ষমতা ও চাহিদা এক রকম হয় না। নারীর বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শারীরিক চাহিদা দিন দিন কমে আর পুরুষের শারীরিক চাহিদা অনেক বয়স পর্যন্ত বজায় থাকে।

গর্ভধারণে সমস্যা : সাধারণত ৩৫ বছরের পরেই গর্ভধারণ(Pregnancy) ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যায়। স্বামীর বয়স খুব কম হলে সে সন্তানের জন্য অপেক্ষা করতেই পারে। কিন্তু বয়স্কা স্ত্রীর পক্ষে সন্তানের জন্য বেশি দিন অপেক্ষা করা নিরাপদ নয়।

বোঝাপড়ার সমস্যা : মনস্তাত্বিকরা বলেন, সমবয়সি দু’জন ছেলে এবং মেয়ের মধ্যে মেয়ের মানসিক বয়স ছেলের তুলনায় দু’বছরের বেশি হয়। স্বামীর তুলনায় স্ত্রীর বয়স বেশি হলে মানসিক(Emotional) বয়সের পার্থক্য আরও বেশি হবে। এই মানসিক বয়সের পার্থক্যের কারণে বোঝাপড়ার অভাব হওয়াটা স্বাভাবিক। অনেক সময়ে স্ত্রী বেশি অভিজ্ঞ হওয়ায় স্বামীর মনে হতে পারে সেই কর্তৃত্ব করছে।

এমন অনেক সমস্যাই রয়েছে। আবার এই সমাজে এমন অনেক উদাহরণও আছে যেখানে বয়সের এই ফারাক কোনও সমস্যাই তৈরি করেনি। পরস্পরের বোঝাপড়ার মধ্য দিয়ে ছোট বর আর বড় বউ দিব্যি সুখে ঘর-সংসার করছেন।

সুস্থ থাকুন, নিজেকে এবং পরিবারকে ভালোবাসুন। আমাদের লেখা আপনার কেমন লাগছে ও আপনার যদি কোনো প্রশ্ন থাকে তবে নিচে কমেন্ট করে জানান। আপনার বন্ধুদের কাছে পোস্টটি পৌঁছে দিতে দয়া করে শেয়ার করুন। পুরো পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

Check Also

গরম

মানুষের শরীর কতটা গরম সহ্য করতে পারে

মানুষের শরীর কতটা গরম সহ্য করতে পারে। মানুষের শরীরের সাধারণ তাপমাত্রা ৯৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি ...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *