আশা করি সবাই ভাল আছেন। আজ আপনাদের মাঝে অরেকটি আর্টিকেল নিয়ে হাজির হলাম। আজ আপনাদের জানাবো ঝাল-মশলাদার খাবার(Spicy food) এর উপকারিতা সম্পর্কে। মশলার পাশাপাশি ঝালের কদরও রয়েছে সকলের মাঝে। অনেকেই খাবারে ঝাল পছন্দ করে না। আবার স্বাস্থ্যের কথা ভেবে অনেকে মশলা(Spice) কম দিয়ে রান্না করতে পছন্দ করেন। তবে এই মশলা আর ঝালের কিছু আলাদা গুণ রয়েছে। এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা। জেনে নেয়া যাক কী বললেন তারা।
ঝাল-মশলাদার খাবার খেলে শরীরের কোন উপকারিতা আছে কী?
১) গবেষকদের দাবি ঝাল খাবারে যৌনক্ষমতা(Sexuality) বাড়ে। ৩০ বছর বয়স হওয়ার পর পুরুষের শরীরে টেস্টোস্টেরন হরমোনের পরিমাণ কমতে শুরু করে। ঝাল ও মশলাযুক্ত খাবার টেস্টোস্টেরনের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে। শারীরিক(Physical) মিলনের সময় বেশিক্ষণ রতিসুখ অনুভব করা যায়।
২) খাবারে জিরা, দারচিনি, হলুদের মতো মশলা ব্যবহার করলে ওজন কমে। একই উপকার পাওয়া যায় গোলমরিচ(Pepper) ও কাঁচা লঙ্কার ব্যবহারে। বিশেষজ্ঞদের দাবি, এতে পাকস্থলীর খাবারের চাহিদা কমে। ফলে কম খিদে পায়। আর তাতে ওজন(Weight) কমার পথ সুগম হয়।
৩) অনেকে দাবি করেন মশলাযুক্ত ও ঝাল খাবারে ক্যানসারের সম্ভাবনাকেও এড়ানো সম্ভব। তাদের যুক্তি, ঝাল খাবারে থাকা ক্যাপসাইসিনে অ্যান্টি-ক্যানসার(Anti-cancer) উপাদান থাকে। অতিরিক্ত ক্যাপসাইসিন নার্ভের ব্যথা দূর করতেও সক্ষম। তবে কেউ কেউ আবার বলেন, এর প্রভাবে ধীরে ধীরে স্মৃতিশক্তি লোপ পেতে পারে।
৪) প্রাচীনকালে পেটের সমস্যা মেটাতে কিছু মশলা ব্যবহার করা হত। এখনও আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে তার উল্লেখ রয়েছে। হলুদ, জিরা, এলাচ, গোলমরিচের মশলার গুণ অনেকেরই জানা। এখন কারো সর্দি কিংবা কাশি(Cough) হলে ঝাল খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। তাতে মুখের স্বাদও ফেরে।
৫) ঝাল ও মশলাদার খাবার মুডও ভালো করে। এতে সেরোটোনিন নামের ফিল-গুড হরমোন আছে। যাতে দুশ্চিন্তা-অবসাদ দূর করে মনকে ভাল রাখে।
সুস্থ থাকুন, নিজেকে এবং পরিবারকে ভালোবাসুন। আমাদের লেখা আপনার কেমন লাগছে ও আপনার যদি কোনো প্রশ্ন থাকে তবে নিচে কমেন্ট করে জানান। আপনার বন্ধুদের কাছে পোস্টটি পৌঁছে দিতে দয়া করে শেয়ার করুন। পুরো পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।