Home / স্বাস্থ্য টিপস / স্মৃতিশক্তি বাড়াবে যে ৫টি পানীয়

স্মৃতিশক্তি বাড়াবে যে ৫টি পানীয়

আশা করি সবাই ভাল আছেন। আজ আপনাদের মাঝে অরেকটি আর্টিকেল নিয়ে হাজির হলাম। আজ আপনাদের জানাবো যে ৫টি পানীয় স্মৃতিশক্তি(Memory) বাড়ায় সে সম্পর্কে। শারীরিকভাবে সুস্থ থাকার পাশাপাশি মানসিকভাবে সুস্থ থাকাও অনেক জরুরী। মানসিক চাপ(Stress), উদ্বেগ, স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়া ইত্যাদি কারণে মস্তিষ্কের ক্রিয়াকলাপে ক্ষতি হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, প্রতিদিনের খাদ্য(Food) তালিকায় কিছুটা সংযোজন বিয়োজন করলে আপনার বুদ্ধি খুলবে এবং স্মৃতিশক্তিও আগের চেয়ে বাড়বে।স্মৃতিশক্তি

স্মৃতিশক্তি বাড়াবে যে ৫টি পানীয়

জামের মিল্ক শেক:
দুধের উপকারিতার কথা আমাদের বলার অপেক্ষা রাখে না। দুধের সাথে জাম মিশিয়ে মিল্ক শেক(Milk shake) বানিয়ে খেলে মস্তিষ্কে রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পায়। জাম ব্লাড প্রেসারের(Blood pressure) পরিমাণ ঠিক রাখে শরীরে। সেই সাথে কোলেস্টোরেলের পরিমাণ কমায়। এতে করে মস্তিষ্ক ভালো থাকে এবং স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়।

ডালিমের রস:
ডালিমে প্রচুর পরমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা কোষকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে। এছাড়া ডালিম(Pomegranate)
খেলে ব্লাড সার্কুলেশন স্বাভাবিক থাকে যা মস্তিষ্কে অক্সিজেন সরবরাহ করে। দুপুরে খাবারের আগে বা পরে ডালিমের শরবত খেলে মস্কিষ্ক সুস্থও স্বাভাবিক থাকে এবং স্মৃতিশক্তি(Memory) বাড়ে।

কোকোয়া:
কোকোয়ার উপকারিতার কথা একবারে বলে শেষ করা যাবে না। হার্টের অবস্থার উন্নতি,স্মৃতিশক্তি বাড়াতে, রক্তচাপ(Blood pressure) কমাতে ম্যাজিকের মত কাজ করে কোকোয়া। এছাড়া স্নায়ুতন্ত্রকে শিথিল রাখতে সাহায্য করে। খাবার তালিকায় কোকোয়ার শরবত রাখলে মস্তিষ্কের কার্যকারিতা উন্নত হয়। তবে চিনি ,ক্রিম বা অতিরিক্তি দুধ(Milk) কোনটাই যোগ করবেন না কোকোয়ার সাথে এতে করে ভালো গুণটি চলে যেতে পারে।

বিটরুট:
বিটরুটকে বলা হয় পুষ্টির অন্যতম উৎস। খনিজ পদার্থ, ভিটামিন(Vitamin), অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস এবং ফাইবার সবকিছুই রয়েছে বিটরুটে। বিটুরট স্বাভাবিকভাবেই মস্তিষ্কের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা(Immunity) বৃদ্ধি করে। বিটরুট নাইট্রিক এসিডের অন্যতম একটি উৎস যা মস্তিষ্কের রক্ত সঞ্চালন(Blood circulation) ঠিক রাখতে সাহায্য করে। এতে করে স্মৃতিশক্তি বাড়ে।

গ্রিন টি:
গ্রিন টি(Green tea) শুধুমাত্র ওজন কমাতে সাহায্যই করে না স্মৃতিশক্তি বাড়াতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। মস্তিষ্কে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট দুশ্চিন্তা কমাতে সাহায্য করে। এছাড়া এই উপাদানটির উপস্থিতি নিউরোট্রান্সমিটারের ক্রিয়াকলাপ বাড়াতে সাহায্য করে এতে করে উদ্বেগ, অতিরিক্ত মেজাজ কমে। সেই সাথে স্মৃতিশক্তিও বাড়ে।

সুস্থ থাকুন, নিজেকে এবং পরিবারকে ভালোবাসুন। আমাদের লেখা আপনার কেমন লাগছে ও আপনার যদি কোনো প্রশ্ন থাকে তবে নিচে কমেন্ট করে জানান। আপনার বন্ধুদের কাছে পোস্টটি পৌঁছে দিতে দয়া করে শেয়ার করুন। পুরো পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

Check Also

বীজ

যে ৬টি বীজ নিয়মিত খেলে সুস্থ থাকতে পারবেন দীর্ঘদিন

অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর একটি খাবার হচ্ছে বীজ (Seed)। বিভিন্ন ধরনের বীজ ফাইবারের দারুণ উৎস। এছাড়াও ওমেগা ...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *