Home / স্বাস্থ্য টিপস / মাত্র ১ মাসে মোটা হওয়ার উপায় জেনে নিন

মাত্র ১ মাসে মোটা হওয়ার উপায় জেনে নিন

রোগা হওয়া যেমন কঠিন; আবার মোটা হওয়াও খুব সহজ নয়। দুটোই কিন্তু কষ্টের কাজ। একজন পরিণত মানুষের ওজন(Weight) স্বাভাবিকের চেয়ে কম হলে আন্ডার ওয়েট সমস্যায় ভুগতে হয়। এ ক্ষেত্রে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও(Immunity) কমে যায়। তাই কখনো কখনো মোটা হওয়াও জরুরি। আসুন জেনে নেই মাত্র ১ মাসে মোটা হওয়ার উপায়-মোটা হওয়ার উপায়

মাত্র ১ মাসে মোটা হওয়ার উপায় জেনে নিন

স্ট্রেস থেকে মুক্তি: শরীরের ওজন(Weight) দ্রুত কমে যাওয়ার একটি অন্যতম কারণ স্ট্রেস। তাই ওজন বাড়াতে প্রথমেই স্ট্রেস বা অতিরিক্ত কাজের চাপ(Work pressure) থেকে মুক্ত হতে হবে। তাই প্রতিদিন ১৫ মিনিট করে মেডিটেশন(Meditation) করতে হবে। এতে মস্তিস্ক রিল্যাক্সড হবে। এ ছাড়া দুপুরে আরাম করে ২ ঘণ্টা ঘুমিয়ে নিন। এতে সহজেই ফল পাবেন।

পি-নাট বাটার: পি-নাট বাটার হাই ক্যালোরিযুক্ত একটি খাবার। প্রতিদিন একবার করে রুটি বা বিস্কুটের সাথে পি-নাট বাটার খান। তবে পেট বাঁচিয়ে। এতে খুব তাড়াতাড়ি ওজন(Weight) বাড়ে। তাই তাড়াতাড়ি ওজন বাড়াতে চাইলে কিনে ফেলুন পি-নাট বাটার।

ড্রাই ফ্রুটস: ড্রাই ফ্রুটস আদর্শ খাবার মোটা হওয়া বা ওজন(Weight) বাড়ানোর জন্য। এতে ক্যালোরির মাত্রা অনেক বেশি। তাই কাজু, কিশমিশ, খেজুর ও আমন্ড খেলে মোটা হওয়ার ইচ্ছা খুব তাড়াতাড়ি পূরণ হবে। ব্রেকফাস্টের সাথে ১০-১২টি আমন্ড বা কাজু, কিশমিশ(Raisin) বা খেজুর খেতে পারেন। খাওয়ার আগে রাতে ১-২ কাপ পানিতে ভিজিয়ে রেখে সকালে খাওয়া ভালো। দিনে অন্তত ৩ বার খেলে তাড়াতাড়ি ফল পাবেন।

ক্ল্যারিফায়েড বাটার: এতে শুধু ওজনই বাড়ে না। তার সাথে শরীরকে বেশি পরিমাণে ভিটামিন(Vitamin) নিতে সক্ষম করে। তাই ক্ল্যারিফায়েড বাটার খুব কার্যকরী দেহের ওজন বাড়ানোর জন্য। তবে ১ চামচ ক্ল্যারিফায়েড বাটারের সাথে ১ চামচ চিনি নিতে পারেন। বাটার ও চিনি মিশিয়ে দিনে-রাতে খাবারের ৩০ মিনিট আগে খেতে হবে। ১ মাস এ রুটিন মানলেই দেহের ওজন(Weight) বাড়বে।

আলু: কার্বোহাইড্রেট ও কমপ্লেক্স সুগারে পরিপূর্ণ উপাদান। এ উপাদান আপনাকে খুব ভালোভাবে সাহায্য করবে। এর জন্য প্রতিদিন দু’বার করে সেদ্ধ আলু(Potato) খান। এ ছাড়া আলুর চিপস অলিভ অয়েলে ভেজে প্রিজার্ভ করে রেখেও খেতে পারেন। নিয়মিত খেলেই পার্থক্য চোখে পড়বে।

ডিম: এটি ওজন বাড়ানোর জন্য ভরসাযোগ্য একটি উপাদান। এতে বর্তমান ফ্যাট(Fat), প্রোটিন ও গুড ক্যালোরি দেহের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই ৩-৪টি ডিমের সাদা অংশ খান প্রতিদিন। তবে কাঁচা ডিম(Egg) খাবেন না। সেদ্ধ করা ডিমের সাদা অংশই খাওয়া উচিত।

সুস্থ থাকুন, নিজেকে এবং পরিবারকে ভালোবাসুন। আমাদের লেখা আপনার কেমন লাগছে ও আপনার যদি কোনো প্রশ্ন থাকে তবে নিচে কমেন্ট করে জানান। আপনার বন্ধুদের কাছে পোস্টটি পৌঁছে দিতে দয়া করে শেয়ার করুন। পুরো পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

Check Also

হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি

গরমে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কেন বাড়ে?

শুধু শীত নয়, গরমেও বাড়তে পারে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি (Heart attack risk)। বিশেষ করে আপনার ...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *