Home / স্বাস্থ্য টিপস / গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা কমাতে সহায়ক যেসব খাবার

গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা কমাতে সহায়ক যেসব খাবার

আশা করি সবাই ভাল আছেন। আজ আপনাদের মাঝে অরেকটি আর্টিকেল নিয়ে হাজির হলাম। আজ আপনাদের জানাবো গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা(Gastric pain) কমায় এমন কিছু খাবার সম্পর্কে। সাধারণত অতিরিক্ত অ্যাসিড(Acid) থেকে পেটে গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা হয়। সঙ্গে থাকে পেট ফোলাভাব বা ফাঁপা ও হজম(Digestion) জনিত সমস্যা। এই সমস্যা দূর করতে সঠিক খাদ্যাভ্যাস অনুসরণ করা জরুরি। পুষ্টি-বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা(Pain) দূর করতে সহায়তা করে এমন কয়েকটি খাবারের নাম সম্পর্কে জানানো হল।গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা

গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা কমাতে সহায়ক যেসব খাবার

দই: দই উপকারী ব্যাক্টেরিয়ার ভালো উৎস এবং এটা হজমে সহায়তা করে। পানির সঙ্গে দই(Yogurt) মিশিয়ে পানীয় তৈরি করতে পারেন। এতে ভাজা জিরা ও বিট লবণ(Bit salt) মিশিয়ে স্বাদ বাড়াতে পারেন। চাইলে এত আপেলও যোগ করে নিতে পারেন।

ভেষজ চা: ভেষজ চা নানান ঔষধি গুণ সম্পন্ন গাছ পাতা দিয়ে তৈরি। এগুলো শক্তিশালো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট)Antioxidant) ও প্রদাহরোধী উপাদান সমৃদ্ধ। ভেষজ চা হজমে সাহায্য করে ও গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা(Gastric pain) কমায়। ভেষজ উপাদানের মধ্য আদা, পুদিনা, ক্যামোমাইল ও লেবু উল্লেখ্যযোগ্য।

মৌরি বীজ: গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা কমাতে উপকারী। ভারতে সাধারণত খাবারের পরে হজমক্রিয়া(Digestion) বাড়াতে মৌরি খাওয়া হয়। এতে আছে গুরুত্বপূর্ণ উদ্ভিদ যৌগ যা গ্যাস্ট্রিকের রস নিঃসরণে সহায়তা করে, খাবার হজমে সহায়তা করে, বদহজম ও কোষ্ঠকাঠিন্যের লক্ষণ দূর করতে সহায়তা করে।

অ্যাপল সাইডার ভিনিগার: অন্ত্রে অ্যাসিডিক(Acidic) মাইক্রোন পরিবেশ তৈরি করে এবং হজমে সহায়ক এনজাইমকেও সক্রিয় করে। এটা এইভাবে হজমে সহায়তা করে, ব্যথা কমায়, গ্যাস্ট্রিকের নানান সমস্যা যেমন- পেট ব্যথা ও পেট ফোলাভাব কমায়। এক গ্লাস পানিতে দুই চা-চামচ ভিনিগার(Vinegar) মিশিয়ে পান করুন এবং গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা কমাতে এটা নিয়মিত গ্রহণ করা যেতে পারে।

লবঙ্গ: পেট ফোলাভাব, গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা, পেট ফাঁপা, কোষ্ঠকাঠিন্য(Constipation) ইত্যাদির জন্য লবঙ্গ ব্যবহার করা হয় প্রাচীনকাল থেকেই। লবঙ্গ চিবিয়ে খাওয়া বা খাবারের পরে এলাচের সঙ্গে লবঙ্গের গুঁড়া মিশিয়ে এক কাপ চা পান অ্যাসিডিটি কমায় ও অতিরিক্ত গ্যাস দূর করতে সহায়তা করে।

উচ্চ আঁশ সমৃদ্ধ খাবার: উচ্চ আঁশ সমৃদ্ধ খাবার যেমন- বাদাম, বীজ, সবজি, বেরি ও সবুজ শাক সবজি(Vegetable) হজম ক্রিয়া উন্নত করে ও গ্যাসট্রিকের ব্যথা কমাতে সহায়তা করে। গ্যাস্ট্রিকের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে ব্রকলি বেশ ভালো। এটা আঁশ সমৃদ্ধ হওয়ার পাশাপাশি সালফোরাফেন যৌগের উৎস যা, পেটের সমস্যা সৃষ্টিকারী ‘হেলিকোব্যাক্টর পাইলোরি ব্যাক্টেরিয়া’ ধ্বংস করে।

সবজির পানীয়: উচ্চ শর্করা(Sugar) ও অ্যাসিড সমৃদ্ধ এবং আঁশ না থাকায় গ্যাস্ট্রিকের(Gastric) ব্যথা কমাতে ফলের রস খাওয়া নিষেধ করা হলেও সবজির রস এক্ষেত্রে খুব উপকারী। যেমন- আলুর রস, আন্টিঅক্সিডেন্ট(Antioxidant) সমৃদ্ধ হওয়ায় তা পেটের ব্যথা কমায়। কুমড়ার রস গ্যাস্ট্রিক অ্যাসিডিটি কমায়, পেটের সমস্যা দ্রুত সমাধান করে।

সুস্থ থাকুন, নিজেকে এবং পরিবারকে ভালোবাসুন। আমাদের লেখা আপনার কেমন লাগছে ও আপনার যদি কোনো প্রশ্ন থাকে তবে নিচে কমেন্ট করে জানান। আপনার বন্ধুদের কাছে পোস্টটি পৌঁছে দিতে দয়া করে শেয়ার করুন। পুরো পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

Check Also

টক দই

টক দই এর নানান উপকারিতা জেনে নিন

টক দই খেতে যেমন মজা তেমনি উপকারী। পেটের সমস্যা নিরসনে ও ওজন নিয়ন্ত্রণে টক দই ...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *