শরীরের টেস্টোস্টেরনের(Testosteranera) ঘাটতি থাকলে শারীরিক অক্ষমতা, দুর্বলতা, ডিপ্রেশন, ওজন বৃদ্ধি, চুল পড়া(Hair fall) নিম্নকর্ম ক্ষমতা ইত্যাদি সমস্যা দেখা দেয়। এই সমস্যা গুলি আপনার মধ্যে দেখা দিলে টেস্টোস্টেরন পরীক্ষা করে নিশ্চিত হয়ে নিন। চলুন জেনে নেওয়া যাক পুরুষ হরমোন(Hormone) বৃদ্ধি অর্থাত্ টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধি করার কয়েকটি টিপস-
টেস্টোস্টেরন হরমোন (পুরুষের হরমোন) প্রাকৃতিকভাবে বৃদ্ধি করার ৯টি উপায়
১) নিয়মিত ব্যায়াম: চিকিত্সা বিজ্ঞানে প্রমানিত যে, নিয়মিত ব্যায়াম(Exercise) শরীরের টেস্টোস্টেরন বৃদ্ধির অন্যতম ভূমিকা পালন করে। ২০১২ সালে প্রমাণিত হয়েছে ব্যায়ামের মাধ্যমে শরীরের সর্বাধিক টেস্টোস্টেরন বৃদ্ধি পায়।
২) দুশ্চিন্তা মুক্ত থাকা: দুশ্চিন্তার কারণে টেস্টোস্টেরন হরমোন লেভেল কমে যায় তাই দুশ্চিন্তা(Anxiety) মুক্ত থেকে সঠিক খাবার এবং ভালোভাবে বিশ্রাম নিতে হবে।
৩) খাদ্যাভ্যাস: খাবারে প্রোটিন(Protein), ফ্যাট, কার্বাইড এর পরিমাণ ঠিক রাখতে হবে। খাবারে প্রোটিন পেশী, স্কিন, ব্লাড সুরক্ষা দেয় অন্যদিকে হরমোন উত্পাদক হিসেবেও কাজ করে। ফ্যাট টেস্টোস্টেরন উত্পাদক হিসাবে কাজ করে অন্যদিকে কার্বোহাইড্রেট টেস্টোস্টেরন লেভেলকে অপটিমাইজ করে।
৪) সান বাথ: পর্যাপ্ত পরিমাণে সূর্যের আলোতে থাকতে হবে অথবা ভিটামিন ডি(Vitamin D) গ্রহণ করা, কারণ সূর্যের আলোতে শরীরে ভিটামিন ডি উত্পাদিত হয়। ভিটামিন ডি হলো প্রাকৃতিক টেস্টোস্টেরন‘‘হরমোন বৃদ্ধির জন্য সেরা মাধ্যম। তাই নিয়মিত সকালের দিকে ১৫ থেকে ২০ মিনিট রোদে থাকা উচিত।
৫) পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম: নিয়মিতভাবে ঘুম টেস্টোস্টেরনের উত্পাদন বৃদ্ধি হয়। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, সুস্থ মানুষের উপর সাপ্তাহিক পরীক্ষায় দেখা গেছে যারা পাঁচ ঘণ্টার কম ঘুমিয়েছে তাদের টেস্টোস্টেরন Hormone ১৫% কমে গেছে অন্যদিকে যারা পাঁচ ঘণ্টার বেশি ঘুমিয়েছে তাদের টেস্টোস্টেরন(Testosterone) লেভেল ১৫% বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই নিয়মিত ৭-৮ ঘন্টা ঘুমানো উচিত।
৬) জিংক, ম্যাগনেসিয়াম: এই জাতীয় খাবার গ্রহণ করলে টেস্টোস্টেরন Hormone লেভেল অনেকবৃদ্ধি পায়। লেটুসপাতা প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম(Magnesium) রয়েছে এবং বাদামে প্রচুর পরিমাণে জিংক রয়েছে আপনার টেস্টোস্টেরন হরমোনকে বৃদ্ধি করবে।
৭) আদা ও অশ্বগন্ধা: অশ্বগন্ধা গ্রহণ করলে ১৭% শতাংশ টেস্টোস্টেরন হরমোন এবং আদা(Ginger) খেলে প্রাকৃতিকভাবে টেস্টোস্টেরন বৃদ্ধি পায়।
৮) নেশা বা মাদকদ্রব্য: এজাতীয় অভ্যাস থাকলে তা টেস্টোস্টেরন হরমোনের বৃদ্ধির বাধা হয়ে দাঁড়ায়। অন্যদিকে প্রাকৃতিক জল গ্রহণ করা কারণ প্লাস্টিক বোতলে কেমিক্যাল(Chemical) থাকে যা টেস্টোস্টেরোন হরমোনের বাধা সৃষ্টি করে।
৯) ওজন কমান: শরীরে উচ্চতার তুলনায় অধিক ওজন(Weight) থাকলে টেস্টেস্টেরন হরমোন লেভেল কমে যায় তাই ওজন কমিয়ে ফেললে টেস্টোস্টেরন লেভেল বৃদ্ধি পেতে থাকে।
সুস্থ থাকুন, নিজেকে এবং পরিবারকে ভালোবাসুন। আমাদের লেখা আপনার কেমন লাগছে ও আপনার যদি কোনো প্রশ্ন থাকে তবে নিচে কমেন্ট করে জানান। আপনার বন্ধুদের কাছে পোস্টটি পৌঁছে দিতে দয়া করে শেয়ার করুন। পুরো পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।