Home / রান্না ঘর / ঝটপট রান্না করে ফেলুন মজাদার খিচুড়ি

ঝটপট রান্না করে ফেলুন মজাদার খিচুড়ি

বাঙালি ভোজন রসিক, তাতে কোন সন্দেহ নেই। ঋতুভেদে আমাদের মুখের স্বাদ বদলায়, রসনায় যুক্ত হয় নানান পদের মৌসুমী খাবার(Seasonal food)। যেমন শীত বা বৃষ্টিতে ভুনা খিচুড়ি, বেগুন ভাজা আর চাটনি হলে আমাদের মন চাঙ্গা হয়ে ওঠে। এখন এই শরতের ভেজা ভেজা আকাশে খিচুড়ি(Khichuri) হলে মন্দ হয় না।খিচুড়ি

ঝটপট রান্না করে ফেলুন মজাদার খিচুড়ি

কিন্তু যুগ যুগ ধরে আমাদের অঞ্চলের রসনার অন্যতম এই প্রধান খাবার খিচুড়ি(Khichuri), তা রান্না শিখতে নাকি এক হাজার সরকারি কর্মকর্তা যাচ্ছেন বিদেশে। তাও আবার ৫ কোটি টাকা খরচ করে! জাতিকে এতবড় ভুল সিদ্ধান্ত নেওয়া থেকে বাঁচাতে আজ হঠাৎ মনে হল অতি সহজ এই খিচুড়ি(Khichuri) রান্নার প্রণালিটি আপনাদের জানিয়েই দেই। খিচুড়ি রান্না শিখতে বিদেশে যেতে হবে না।

পরিমান ও উপকরনঃ ৬/৭ জনের জন্য

– মুগ ডাল, ২৫০ গ্রাম
– বাসমতি চাল, ৭৫০ গ্রাম
– মসুর ডাল, ২৫০ গ্রাম
– পেঁয়াজ(Onion) কুঁচি, কয়েকটা
– আদা বাটা, ১ টেবিল চামচ
– রসুন(Garlic) বাটা, ১ চা চামচ
– গুড়া লাল মরিচ, হাফ চা চামচ
– গুড়া হলুদ(Turmeric), এক চা চামচের কিছু কম (যারা খিচুড়ি একটু বেশী হলদে করতে চান তারা একটা বেশী দিতে পারেন)
– এলাচি, কয়েকটা
– দারুচিনি, কয়েক পিস
– কয়েকটা কাঁচা মরিচ(Pepper) কুঁচি, ঝাল বুঝে
– লবন (লবন প্রথম চোটে কম দিবেন, পরে লাগলে দিবেন)
– তেল, আধা কাপ
– পানি, পরিমাণ মত

প্রনালীঃ

মুগ ডাল সামান্য ভেজে নিয়ে পানিতে ধুয়ে ফেলুন এবং চাল ও মুশরী ডালের সাথে মিশিয়ে নিন।
চাল ও ডাল গুলো মিশিয়ে ভাল করে ধুয়ে নিয়ে পানি ঝরিয়ে নিন এবং এর পর মূল রান্নায় নেমে পড়ুন।
তেল(Oil) গরম করে তাতে এলাচি ও দারুচিনি দিন।
এবার পেঁয়াজ কুঁচি ও কাঁচা মরিচ দিন। (কাঁচা মরিচ তেলে ফুটে উঠে তাই সাবধানে বা চিরে দিতে পারেন)
এবার আদা(Ginger), রসুন, মরিচ গুড়া ও হলুদ গুড়া দিয়ে দিন। এই সময়ে এক চা চামচ লবণ দিন। (রঙ বেশি কড়া চাইলে সামান্য হলুদ বেশি দিতে পারেন)
ভাল করে ভেজে নিন।
ঘ্রান বের হবে। এবার চাল-ডাল দিয়ে ভাল করে ভেজে নিন।
এবার পানি দিন। পানি চালের দেয় ইঞ্চি উপরে হতে হবে এবং এই সময়ে শেষবার লবণ দেখুন। পানি কটা হতে হবে, লাগলে আরো লবণ(Salt) দিন। (নুতন চালের ক্ষেত্রে পানি কম লাগে)
এবার ঢাকনা দিয়ে দিন,আগুন মাধ্যম আঁচে থাকবে।
মাঝে মাঝে দেখে নিতে পারেন, না দেখেও মিনিট ১৫ পরে দেখলেও চলে।
ব্যস পরিবেশনের জন্য প্রস্তুত।

এই তো হয়ে গেল সহজ খিচুড়ি(Khichuri)। প্রশাসনের কর্মকর্তারা এত টাকা খরচ না করে এভাবেই খিচুড়ি রান্না করে ফেলতে পারেন। আর সেই টাকাটা দেশের শিশুদের শিক্ষার মান উন্নয়নে খরচ করলে বরং বেশি কাজে দেবে।

সুস্থ থাকুন, নিজেকে এবং পরিবারকে ভালোবাসুন। আমাদের লেখা আপনার কেমন লাগছে ও আপনার যদি কোনো প্রশ্ন থাকে তবে নিচে কমেন্ট করে জানান। আপনার বন্ধুদের কাছে পোস্টটি পৌঁছে দিতে দয়া করে শেয়ার করুন। পুরো পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

Check Also

মুড়িঘন্ট

মাছের মাথা দিয়ে মুড়িঘন্ট রান্নার সহজ রেসিপি

ছুটির দিন সবার ঘরেই বাহারি রকমের পদ রান্না করা হয়। পোলাও-মাংসের বদলে এবার না হয় ...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *