Home / স্বাস্থ্য টিপস / প্রাকৃতিক উপায়ে দাঁত করে তুলুন ঝকঝকে সাদা

প্রাকৃতিক উপায়ে দাঁত করে তুলুন ঝকঝকে সাদা

সুন্দর ধবধবে-ঝকঝকে সাদা দাঁতের হাসির কোনও তুলনাই হয় না। তা এই হাসিকে রক্ষা করার দায়িত্ব আপনারই। তাই দাঁতের সাদাটে ভাব যেন চলে না যায় সেদিকে খেয়াল রাখুন। আর দাঁত (Teeth) হলদেটে যদি হয়ে গেলে সেটি পরিষ্কার করুন ঘরোয়া প্রাকৃতিক উপায়ে। বলতো আমার দাঁতের রং কী? কেউ বলল অফ হোয়াইট, কেউ আবার বলল হলুদ। নার্সারির শিক্ষিকা কচিকাচাদের রং চেনানোর ক্লাস নিচ্ছিলেন। সেখানেই তিনি সাদা রং কোনটা বোঝানোর চেষ্টা করে নিজের দাঁতের রং জিজ্ঞেস করেন। সরল শিশুরা সত্যি কথাটাই বলে দেয়। টুথপেস্টের বিজ্ঞাপনে সেটাই দেখানো হয়েছিল। টুথপেস্টের বিজ্ঞাপন দাবি করে যে তাদের সংস্থার পণ্য দাঁতে ঘষলেই নাকি দাঁত (Teeth) সাদা হয়ে যায়। অনেকেই সেকথা বিশ্বাস করে টুথপেস্ট কেনেন। মাসের পর মাস, বছরের পর বছর তা দিয়ে ঘষলেও হলুদ দাঁ‘ত সাদা হয় না।দাঁত

প্রাকৃতিক উপায়ে দাঁত করে তুলুন ঝকঝকে সাদা

​ঘরোয়া পদ্ধতিতেও দাঁত সাদা রাখার উপায়
সমীক্ষায় দেখা গেছে ১৮-৪৯ বয়সীদের মধ্যে দাঁ‘ত সাদা করার প্রবণতা বেশি। বিশেষ করে যাঁরা নিজের চেহারা নিয়ে সচেতন, সাজগোজ করতে ভালোবাসেন কিংবা নিজেকে সুস্থ ও সুন্দর রাখতে পছন্দ করেন তাঁদের মধ্যে দাঁত (Teeth) সাদা করার প্রবণতা থাকে। এর জন্য তাঁরা ছোটেন দাঁতের ডাক্তারের কাছে। আজকাল আবার টিথ স্টাইলিং ক্লিনিকও রয়েছে। কিন্তু সমস্যা হল এতে খরচ হয়ে যায় প্রচুর। চাইলে ঘরোয়া পদ্ধতিতেও দাঁ‘ত সাদা করতে পারেন। এর জন্য খরচ প্রায় হয় না বলেলই চলে। আর যেটা সবচেয়ে প্রয়োজন তা হল সচেতনতা। তাছাড়া ক্লিনিকগুলিতে বেশিরভাগই দাঁত ব্লিচ করার রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়। আর এই পদ্ধতি অনেকের ক্ষেত্রেই উদ্বেগজনক।

দাঁত সাধারণত নিজেদের গাফিলতির কারণেই হলদেটে রঙের হয়ে যায়। তাই হলদে হওয়ার আগেই দাঁতের যত্ন নিতে শুরু করুন।

খেয়াল রাখুন
১। সুন্দর ধবধবে-ঝকঝকে সাদা দাঁতের হাসির কোনও তুলনাই হয় না। একটা হাসি ভুবন ভুলিয়ে দিতে পারে। তা এই হাসিকে রক্ষা করার দায়িত্ব আপনারই। তাই দাঁতের সাদাটে ভাব যেন চলে না যায় সেদিকে খেয়াল রাখুন।

২। নিয়মিত ধূমপান (Smoking) করলে হাত হলদেটে হবেই। সিগারেটের নিকোটিনের কারণে দাঁতের রং হলদে হয়ে যায়। তাই ধূমপান করা ছেড়ে দিন।

৩। পান, জর্দা, তামাক, মুখশুদ্ধি খাওয়ার অভ্যাস থাকলে তা ত্যাগ করুন। এতে দাঁতের সাদা রং একেবারে নষ্ট হয়ে যায়।

৪। রেড ওয়াইন দাঁতের সাদা ভাব নষ্ট করে দেয়।

৫। কফি (Coffee), সোডা জাতীয় পানীয় অতিরিক্ত খেলে দাঁতে দাগ ধরে। তাই পরিমিত পান করুন

৬। চিনি কিংবা অতিরিক্ত মিষ্টি খেলেও দাঁতের রং বদলে যায়।

৭। রঙিন খাবার খাওয়ার এক ঘণ্টার মধ্যে দাঁথ মেজে নিন। দাঁতে রং ধরবে না।

​ঘরোয়া উপায়ে সাদা দাঁত
১। দাঁত ঝকঝকে সাদা করতে পাতিলেবুর কোনও বিকল্প নেই। এক চিমটি লবণ এবং কয়েক ফোঁটা লেবুর রস (Lemon juice) দিয়ে মাজলে দাঁত সাদা হয়। তাছাড়া লেবুর খোসা দিয়ে আপনার দাঁ‘ত স্ক্রাব করলেও হলদে ভাব চলে যায়। দাঁত (Teeth) হয়ে ওঠে সাদা ঝকঝকে।

২। দাঁত সাদা করতে কমলার খোসা অব্যর্থ উপায়। সকালে ঘুম থেকে উঠে কমলালেবুর খোসা দিয়ে দাঁত ঘষুন। এতে দাঁত আরও সাদা এবং শক্ত হয়।

৩। দাঁত সাদা করতে মাশরুম খেতে পারেন। এতে প্রচুর পরিমাণে পলিস্যাকারাইড থাকে, যা ব্যাকটেরিয়া (Bacteria) ধ্বংস করে এবং ডেন্টাল প্লাক হতে দেয় না।

৪। গ্রিন টি-তে থাকে প্রচুর ফ্লুরাইড। এছাড়া এটি অ্যান্টি অ্যাসিডিক (Anti acidic) হওয়ার কারণে দাঁতে হলুদ রং পড়তে বাধা দেয়।

৫। দাঁত সাদা করতে বেকিং পাউডার দারুণ কাজ দেয়। একটি ব্রাশ ভিজিয়ে নিয়ে পেস্টের সঙ্গে কিছুটা বেকিং পাউডার নিয়ে দাঁত মাজলে দাঁত ঝকঝকে সাদা হয়। সকালে ঘুম থেকে উঠে কিংবা রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে দাঁ‘ত ব্রাশের সময় এটা করা যেতে পারে।

৬। সট্রবেরি পেস্ট দিয়ে দাঁ‘ত মাজলে সা ঝকঝকে সাদা হয়ে ওঠে। দাঁত (Teeth) সাদা করার একটি চমৎকার প্রাকৃতিক উপায় এটি। স্ট্রবেরির অ্যাসিডিক উপাদান হালকা ব্লিচিং অ্যাজেন্ট হিসেবে কাজ করে। একটি বা দুইটি পাকা স্ট্রবেরি পেস্ট করে নিন, এতে আপনার টুথব্রাশ মিশিয়ে স্বাভাবিকভাবে দাঁত (Teeth) ব্রাশ করুন। এরপর সোডার এক চিমটি বাইকার্বনেট দিয়ে মুখ ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন। দাঁথ ঝকঝকে হয়ে উঠবে।

​ঘরোয়া টোটকা
১। প্রাচীন ভারতীয় পদ্ধতি হল দাঁতে তেলের মাসাজ। এর পোশাকী নাম অয়েল পুলিং। মুখে তেল রেখে কয়েক মিনিট ধরে কুলকুচা করুন। ঠিক যেমনভাবে মাউথওয়াশ ব্যবহার করা হয়। তেল হিসেবে সেরা নারকেল তেল। এটি প্রাকৃতিকভাবে দাঁ‘ত সাদা করে। নিয়মিত নারকেল তেল ব্যবহার করে অয়েল পুলিং করলে দাঁতে প্লেকের গঠন এবং মাড়ির রোগ হ্রাস হয়।

২। লেবুর সঙ্গে বেকিং সোডা মিশিয়ে দাঁ‘ত মাজলেও দাঁত (Teeth) সাদা হয়।

৩। যে কোনও কালো দাগ মেটাতে অ্যাক্টিভেটেড চারকোল একেবারে চ্যাম্পিয়ন। অনলাইন কিংবা আয়ুর্বেদিক ওষুধের দোকানে এটি কিনতে পাওয়া যায়। অক্সিজেন (Oxygen) এবং ক্যালসিয়াম ক্লোরাইডের সঙ্গে কাঠকয়লা প্রক্রিয়াজাত করে তৈরি করা হয় অ্যাক্টিভেটেড চারকোল।

৪। দাঁতের ক্ষেত্রে অ্যাক্টিভেটেড চারকোল ট্যানিন শোষণে চমৎকার ভূমিকা পালন করে। ট্যানিন হচ্ছে কফি, চা ও ওয়াইনে থাকা পদার্থ যা দাঁতে দাগ ফেলে। আপনার টুথব্রাশে অ্যাক্টিভেটেড কাঠকয়লার পাউডার লাগান এবং দাঁতের দাগ দূর করার জন্য স্বাভাবিকভাবে দাঁত (Teeth) ব্রাশ করুন।

আমাদের লেখা আপনার কাছে কেমন লেগেছে এবং আপনার যদি কোনো প্রশ্ন অথবা মতামত থেকে থাকে তবে নিচে কমেন্ট করে আমাদের জানাতে পারেন। আর আপনার বন্ধুদের কাছে পোস্টটি পৌঁছে দিতে শেয়ার করুন। সুস্থ থাকুন, নিজেকে এবং পরিবারকে ভালোবাসুন।

Check Also

কফি

দিনে কত কাপ কফি পান করা স্বাস্থ্যসম্মত

ফি অনেকেরই পছন্দের। কফি (Coffee) মস্তিষ্কের তীক্ষ্ণতা এবং সতর্কতা বাড়াতে সাহায্য করে। এ ছাড়া ঘুম ...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *