রেজালা ছোট থেকে বড়; প্রায় সবার কাছেই প্রিয় একটি খাবারের নাম। এটি তৈরি করা যায় খাসি, গরু ও মুরগির মাংস দিয়ে। তবে অতিথি আপ্যায়নে বা পরিবারের জন্য আজ আপনি চাইলে তৈরি করতে পারেন খাসির মাংসের রেজালা। ঘরে এই পদ তৈরির চেষ্টা করলেও বেশিরভাগ সময়ই অনেকে মনের মতো রং ও স্বাদ আনতে পারেন না রান্নায়। আর তাই এই রেসিপিটির মাধ্যমে জেনে নিন, কীভাবে ঘরেই সহজে তৈরি করবেন বাবুর্চিদের মতো সুস্বাদু খাসির রেজালা।
বাবুর্চিদের মতো খাসির রেজালা তৈরি করুন নিজেই
উপকরণ
১। খাসির মাংস ১ কেজি
২। টক দই (Sour yogurt) ১ কাপ
৩। পেঁয়াজ বেরেস্তা ১ কাপ
৪। ঘি ১/৪ কাপ
৫। তেল ১/৪ কাপ
৬। পেঁয়াজ (Onion) কুঁচি ১ কাপ
৭। লবণ স্বাদমতো
৮। আদা ও রসুন বাটা ১ টেবিল চামচ
৯। হলুদ ১ চা চামচ
১০। মরিচগুড়া ২ চা চামচ
১১। কাশ্মিরী মরিচের গুড়া (Chilli powder) ১ চা চামচ
১২। বাদাম বাটা ১/৪ কাপ
১৩। পোস্তদানা বাটা ২ টেবিল চামচ
১৪। জিরা বাটা ১ চা চামচ
১৫। এলাচ-দারচিনি বাটা আধা চা চামচ
১৬। জয়ফল-জয়ত্রী বাটা আধা চা চামচ
১৭। আধ কাপ দুধ (Milk)
১৮। আধ কাপ পানি
১৯। আধ চা চামচ কেওড়া জল
২০। কাঁচামরিচ ৪-৫ টি
২১ আলুবোখারা ২টি
২২। চিনি স্বাদমতো
প্রণালী
১। টক দই এবং অর্ধেকটা বেরেস্তা ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিন। মিশ্রণটি খাসির মাংসে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন।
২। কড়াইয়ে ঘি ও তেল ঢালুন। এতে পেঁয়াজ (Onion) ঢেলে দিন। হালকা লালচে রং ধারণ করা পর্যন্ত ভাজতে থাকুন।
৩। লবণ ও আদা-রসুন বাটা দিয়ে নাড়ুন। হলুদ ও মরিচের গুড়া দিয়ে দিন। এবার জিরা, বাদাম, পোস্ত বাটা দিয়ে নাড়ুন। সবশেষে জয়ফল-জয়ত্রী বাটা ও এলাচ-দারচিনি বাটা দিয়ে মশলা কষাতে থাকুন।
৪। মশলা ভালোভাবে কষানো হয়ে গেলে মাখিয়ে রাখা মাংস ঢেলে দিন। ভালোভাবে নাড়তে থাকুন।
৫। মশলা দিয়ে মাংস কষানো হলে দুধ ও পানি একত্রে মিশিয়ে ঢেলে দিন। চুলার আঁচ একেবারে কমিয়ে ঢেকে রাখুন ২০ মিনিট।
৬। ঢাকনা খুলে মাংসটি আরেকবার নাড়ুন। কেওড়া জল দিয়ে দিন। সেইসঙ্গে কাঁচামরিচ (Chilli) ও আলুবোখারা দিয়ে দিন। বাকি বেরেস্তার অর্ধেকটি হাত দিয়ে ভেঙে দিয়ে দিন। আবারো নাড়ুন। এবার ঢেকে দিন।
৭। পাঁচ মিনিট পর ঢাকনা খুলুন। তেল উপরে উঠে এলে চিনি ছড়িয়ে দিন। একবার নেড়ে নামিয়ে নিন।
সার্ভিং ডিশে খাসির রেজালা ঢেলে উপরে বাকি বেরেস্তা ছড়িয়ে দিন। পরিবেশন করুন পোলাও কিংবা নান রুটি অথবা পরাটার সঙ্গে।
সুস্থ থাকুন, নিজেকে এবং পরিবারকে ভালোবাসুন। আমাদের লেখা আপনার কাছে কেমন লেগেছে এবং আপনার যদি কোনো প্রশ্ন অথবা মতামত থেকে থাকে তবে নিচে কমেন্ট করে আমাদের জানাতে পারেন। আর আপনার বন্ধুদের কাছে পোস্টটি পৌঁছে দিতে শেয়ার করুন। সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
