Home / স্বাস্থ্য টিপস / মরিচ পানিতেই দুই মিনিটে দূর হবে গলা ব্যথা বা খুসখুস

মরিচ পানিতেই দুই মিনিটে দূর হবে গলা ব্যথা বা খুসখুস

ঠাণ্ডা, অ্যালার্জি, দূষণ, ধুলা এবং জোরে কথা বলায় গলার পেশীতে চাপ বাড়ে। এতে গলায় ব্যথা, খুসখুসে ভাব হয়। শীতে এ সমস্যা (problem) বেশি দেখা দেয়। এ সময় পাল্লা দিয়ে নাক বন্ধ, গলা খুসখুস, মাথা ব্যথা হয়। কাশি, ঠাণ্ডা এবং গলার সাধারণ কিছু বিরক্তিকর সমস্যা শীতকে উপভোগ করতেই বাধা দেয়। তবে যুগ যুগ ধরেই এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে আমরা আস্থা রেখেছি ঘরোয়া টোটকাতেই। মাত্র ৩ টি ঘরে পাওয়া সহজলভ্য উপাদানে তৈরি পানীয়তেই এই সমস্যা (problem) থেকে মুক্তি মিলবে। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক এটি তৈরি ও সেবন পদ্ধতি-গলা ব্যথা

মরিচ পানিতেই দুই মিনিটে দূর হবে গলা ব্যথা বা খুসখুস

যা যা লাগবে
১ চা চামচ আদা কুচি, আধা চা চামচ কালো মরিচ বা গোল মরিচ, ১ চা চামচ মধু (honey)।

পদ্ধতি
একটি পাত্রে এক কাপ পানি নিন। পানি ভালো করে ফোটান। এবার পানিতে আদা এবং কালো মরিচ যোগ করুন এবং তাপ কমিয়ে দিন। এখন এই মিশ্রণে মধু (honey)যোগ করুন এবং দুই মিনিট ঢেকে রাখুন। এরপর কাপে ঢেলে হালকা উষ্ণ অবস্থায় পান করুন।

> ঠাণ্ডা, কাশি এবং গলার চিকিৎসায় আদা বেশ পুরনো টোটকা। আদার সক্রিয় উপাদান জিঞ্জেরোল শক্তি বাড়ায়, তাৎক্ষণিক আরাম জোগায়।

> কালো মরিচ বা গোল মরিচ ভিটামিন সি, ফ্ল্যাভোনয়েডস, অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদানে সমৃদ্ধ বলে কাশি এবং ঠাণ্ডার সমস্যায় (problem) কাজ দেয়।

মধু (honey) একটি প্রাকৃতিক অ্যান্টিবায়োটিক। এতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস এবং ভিটামিন বি কমপ্লেক্স, সি, ডি, ই, কে রয়েছে। এর বিটা ক্যারোটিন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

এই সময়ে মধুর সঙ্গে দারুচিনি মিশিয়ে খাবেন যে কারণে

পরিচিত মশলা দারুচিনি। স্বাদ আর সুগন্ধ বাড়াতে এর জুড়ি নেই। তবে এটুকুই নয়, সুগন্ধি এই মশলাটির রয়েছে অসংখ্য উপকারিতা। বিশেষ করে ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের এই সময়ে আপনাকে সাহায্য করতে পারে এটি। মুক্তি দিতে পারে অসংখ্য রোগ থেকে। তবে এর সঙ্গে যোগ করতে হবে মধু (honey)। মধুর উপকারিতার কথা নিশ্চয়ই নতুন করে বলতে হবে না?

এক চামচ মধুর (honey) সঙ্গে দারুচিনি গুঁড়া মিশিয়ে সকাল-সন্ধ্যা খেলে সর্দি-কাশি থেকে আরাম পাওয়া যায়। মাথাব্যথায়ও এই দারুচিনির উপকারিতা অতুলনীয়। গুঁড়া দারুচিনি অল্প পানি সঙ্গে মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে মাথায় লাগালে মাথাব্যথা থেকে আরাম পেতে পারেন।

যারা কোমর, হাঁটু ব্যথায় কষ্ট পাচ্ছেন তাদের জন্যে এককাপ হালকা গরম পানিতে দারচিনি গুড় সাথে মধু (honey)মিশিয়ে সেই পেস্ট আপনার যন্ত্রণার জায়গাটিতে হালকা করে লাগিয়ে মালিশ করে দেখতে পারেন আরাম পাবেন। আপনি এই পেস্টটি খেতেও পারেন, সমান উপকার পাবেন।

যারা কোলেস্টেরল কন্ট্রোল করতে চেষ্টা করছেন তারা দুই চামচ মধুর (honey) সঙ্গে তিন চামচ দারুচিনি আধ লিটার হালকা গরম পানিতে মিশিয়ে খেলে ২ ঘণ্টার মধ্যে প্রায় ১০% কোলেস্টেরল লেভেল নিচে নামতে সাহায্য করে। সারাদিনে ৩ বার যদি কেউ খেতে পারেন যাদের কোলেস্টেরল লেভেল অনেক বেশি সেই লেভেল কমে যেতে সাহায্য করে।

ক্যান্সারের মতো অসুখেও এই দারুচিনি অনেকটা উপকার করে, ক্যান্সার রোগীদের বড় চামচের এক চামচ মধু (honey) এবং দারুচিনি দারুচিনি এক গ্লাস গরম পানিতে মিশিয়ে এক মাস খাওয়ালে আরাম পেতে পারেন।

এক চামচ দারুচিনি গুঁড়া মধুর (honey) সঙ্গে মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে দাঁতে ২-৩ বার লাগালে দাঁতের ব্যথা থেকে আরাম পেতে পারেন। এই মিশ্রণ নিয়মিত সেবনে আমাদের স্মৃতিশক্তি বাড়তে সাহায্য করে। এছাড়া হাঁপানির রোগে এই মিশ্রণ অনেক উপকারী।

দারুচিনি যেমন সর্দি-কাশির থেকে আরাম দেয় তেমনই পেটের সমস্যা (problem) থেকেও মুক্তি দিতে পারে তার সঠিক ব্যবহারে। দারুচিনি আর মধু (honey)একসঙ্গে মিশিয়ে খেলে গ্যাস, অম্বল পেটব্যথা থেকে আরাম পাওয়া যায় আর খাবার খুব সহজে হজম হয়ে যায়।

মেদ কমাতে দারুচিনির অবদান অনেক। চায়ের সঙ্গে দারুচিনি গুঁড়া মিশিয়ে একগ্লাস পানিতে ফুটিয়ে নিন এরপর তার মধ্যে বড় চামচে মধু (honey) মিশিয়ে সকলের খাবারের আধাঘণ্টা আগে খেয়ে নিন, রাত্রে সবার আগে খেয়ে শুতে যান। নিয়মিত খেলে শরীরের অতিরিক্ত মেদ ঝরে যেতে সাহায্য করে, মেদ জমতে দেয় না। অতিরিক্ত ক্যালোরিযুক্ত খাবার খেলে মেদ জমে না, ওজনও কমতে সাহায্য করে।

দারুচিনি আর মধুর (honey) পেস্ট নিয়মত খেলে হার্টের রোগ হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটা কমে যায়। যারা হার্ট অ্যাট্যাকে আক্রান্ত হয়েছেন তারা নিয়মিত এটি খেলে ভবিষ্যতে আবার অ্যাটাকের সম্ভাবনা অনেকটা কমে যেতে পারে।

মধু (honey)এবং দারুচিনি পর্যাপ্ত পরিমাণ মিশিয়ে এক চামচ সকালে ও রাত্রে খেলে আমাদের শ্রবণ শক্তি বাড়ে। যারা কানে কম শুনতে পান তাদের কানে দারুচিনি তেল দিলে আরাম পাবেন।

দারুচিনির ব্যবহারে ত্বকের নানা সমস্যা (problem) থেকে মুক্তি পেতে পারেন। অনেকের মুখে রিঙ্কল পড়ে৷ সেই জায়গাতে দারুচিনি আর মধুর (honey)পেস্ট বানিয়ে লাগালে এই সমস্যা (problem) দূর হতে পারে। দারুচিনি গুঁড়র সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে মুখে নিয়মিত লাগালে ব্রণ থেকে মুক্তি পাবেন।

Check Also

বীজ

যে ৬টি বীজ নিয়মিত খেলে সুস্থ থাকতে পারবেন দীর্ঘদিন

অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর একটি খাবার হচ্ছে বীজ (Seed)। বিভিন্ন ধরনের বীজ ফাইবারের দারুণ উৎস। এছাড়াও ওমেগা ...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *