আশা করি সবাই ভাল আছেন। আজ আপনাদের মাঝে অরেকটি আর্টিকেল নিয়ে হাজির হলাম। আজ আপনাদের জানাবো ঢোক গিলতে কষ্ট হলে যা করবেন সে সম্পর্কে। খাবার(Food) খেতে যেয়ে অনেক সময় ঢোক গিলতে সমস্যা হয়ে থাকে। যা বেশ কষ্টকর। এই সমস্যা পানি(Water) খেতে গেলেও হয়ে থাকে। অনেকেই জানেন না কেন এই সমস্যা হয়ে থাকে।
ঢোক গিলতে কষ্ট হলে যা করবেন
ইমপালস হাসপাতালের নাক, কান ও গলা রোগ বিশেষজ্ঞ এবং সার্জন অধ্যাপক ডা. জাহির আল-আমিন বলেন, খাবার খাওয়ার সময় তা পাকস্থলীতে যায় এবং হজম(Digestion) শুরু হয়ে যায়। আর খাবার যখন হজম না হয়ে ওপরের দিকে গলাতে উঠে আসে ও ঢোক গিলতে সমস্যা হয়; তখন তাকে রিফ্লাক্স বলে।
স্বরযন্ত্র ও গলার রিফ্লাক্স
এর মানে হচ্ছে পাকস্থলীর(Stomach) খাবার ও তার এসিড স্বরযন্ত্র বা গলার মধ্যে উঠে আসে। এটা দিনে বা রাতে যেকোনো সময় হতে পারে। যাদের রিফ্লাক্স থাকে তাদের সবার বুকজ্বালা বা হজমের(Digestion) অসুবিধা নাও থাকতে পারে। যাদের স্বরযন্ত্র ও গলার রিফ্লাক্স থাকে তাদের অনেকেরই বুকজ্বালা থাকে না।
রিফ্লাক্সের উপসর্গ
> গলার স্বর বসে যাওয়া, গলা বারবার পরিষ্কার করা, গলার শ্লেষ্মা বৃদ্ধি পাওয়া, খাদ্য, পানি বা বড়ি গিলতে অসুবিধা হওয়া, খাবার পর বা শোয়ার পর কাশি(Cough) হওয়া, শ্বাস নিতে অসুবিধা বা শ্বাস বন্ধ হয়ে যাওয়া ও কষ্টকর বা বিরক্তিকর কাশি।
> এছাড়া গলার ভেতর কিছু আটকে থাকা বা গলার ভেতর টিউমারের মতো কিছু বোধ করা।
> বুকজ্বলা, বুকব্যথা(Chest pain), হজমের অসুবিধা বা ঢেকুরের সঙ্গে টক পানি উঠে আসে। আর অনেক সময় গলায় টিউমারের মতো বাধা ও ঢোক গিলতে অসুবিধা হওয়া।
এই রোগে বেশি সমস্যা হলে চিকিৎসা নেয়া উচিত। যাদের ওষুধে কাজ হয় না তাদের ক্ষেত্রে এনিটি রিফ্লাক্স সার্জারি করতে হয় এবং যাদের সার্জারি(Surgery) হয় তারা এলপিআর থেকে অনেক বছর সুস্থ থাকেন।
করণীয়
> খাদ্যাভ্যাস বদলানো উচিত, যাতে রিফ্লাক্স কম হয় এবং ওষুধ ব্যবহার করা যাতে পাকস্থলীর এসিড(Stomach acid) কম বের হয়। আর প্রয়োজনে সার্জারি করান, যাতে রিফ্লাক্স না হয়।
> চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন, ধূমপান(Smoking) বর্জন, খুব টাইট জামাকাপড় না পরা, বিশেষ করে কোমরের দিকে ও খাবার পরপরই না শোয়া।
> এছাড়া স্বল্প চর্বিযুক্ত(Fatty) খাবার খাওয়া উচিত, মাখন, গরু ও খাসির মাংস না খাওয়া, ভাজা-পোড়া কম খাওয়া, পনির, চকলেট ও পেস্ট্রি বর্জন করা এবং লেবু(Lemon) জাতীয় পানীয় না পান করা।
> আর অতিরিক্ত ওজন(Weight) কমিয়ে ফেলা ও উত্তেজক পানীয় (মদ) না খাওয়া।
সুস্থ থাকুন, নিজেকে এবং পরিবারকে ভালোবাসুন। আমাদের লেখা আপনার কেমন লাগছে ও আপনার যদি কোনো প্রশ্ন থাকে তবে নিচে কমেন্ট করে জানান। আপনার বন্ধুদের কাছে পোস্টটি পৌঁছে দিতে দয়া করে শেয়ার করুন। পুরো পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।