বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও করোনাভাইরাসের(Coronavirus) চিকিৎসায় প্লাজমা থেরাপির প্রয়োগ শুরু হয়েছে। প্লাজমা থেরাপি(Plasma therapy) নিয়ে এখন অনেক রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বেসরকারি অনেক হাসপাতালে এ পদ্ধতি ব্যবহার করছে। করোনা(Corona) রোগীর শরীরে এ পদ্ধতি প্রয়োগ করা হচ্ছে। আর তাতে সুফলও মিলছে। এটি চিকিৎসা বিজ্ঞানে বেশ পুরনো পদ্ধতি।
প্লাজমা থেরাপি নিলে যেভাবে সুস্থ হয় করোনা রোগী জেনে নিন
করোনার চিকিৎসায় প্লাজমা থেরাপির(Plasma therapy) কথা আমরা শুনে থাকলেও অনেকেই জানি না যে এই পদ্ধতি কীভাবে মানুষের শরীরে কাজ করে। আর করোনা(Corona) আক্রান্ত রোগী বা কীভাবে সুস্থ হয়ে উঠছেন। বাংলাদেশে প্লাজমা থেরাপি প্রয়োগ সংক্রান্ত বিশেষজ্ঞ কমিটির প্রধান ও ঢাকা মেডিকেল কলেজের হেমাটোলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. মহিউদ্দিন আহমেদ খান (এমএ খান) বলেন, বাংলাদেশে এই চিকিৎসার ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল(Clinical trials) বা পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করা হচ্ছে। আর সফলতাও পাওয়া গেছে।
প্লাজমা থেরাপি কী?
মানুষের রক্তের জলীয় অংশকে বলা হয় প্লাজমা(Plasma) বা রক্তরস। রক্তের মধ্যে প্রায় ৫৫ ভাগই থাকে হলুদাভ রঙের এই প্লাজমা। করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর যারা পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠেছেন। তাদের শরীরে এক ধরনের অ্যান্টিবডি বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার(Immunity) তৈরি হয়। সুস্থ হওয়া রোগীর শরীর থেকে সংগ্রহ করা এই অ্যান্টিবডি যদি করোনায়(Corona) আক্রান্ত কোনো ব্যক্তির শরীরে প্রয়োগ করা হয় তখন তার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা(Immunity) তৈরি হয়। তখন তিনিও সুস্থ হয়ে ওঠেন।
কীভাবে কাজ করবে প্লাজমা থেরাপি?
এই পদ্ধতিতে সাধারণত কোনো ভাইরাল সংক্রমণ(Infection) থেকে সেরে ওঠা মানুষের রক্ত সংগ্রহ করা হয়। এর পর সেই রক্ত(Blood) সঞ্চালিত করা হয় একই ধরনের ভাইরাল সংক্রমণের শিকার রোগীর দেহে।
কীভাবে দেয়া হবে প্লাজমা থেরাপি
একজন সুস্থ রোগীর শরীর থেকে প্লাজমা(Plasma) সংগ্রহ করে দুই থেকে তিনজন অসুস্থ রোগীকে দেয়া যেতে পারে। ডা. এমএ খান বলছেন, ‘প্রথমে প্লাজমা সংগ্রহ করা হয়। এসব প্লাজমায় কতটা অ্যান্টিবডি রয়েছে, সেটি পরীক্ষা করে দেখতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘এর পর কোন ধরনের রোগীকে সেই প্লাজমা(Plasma) দেয়া হবে, সেটি বাছাই করতে হবে। বিশেষ করে যাদের শ্বাসকষ্ট রয়েছে, ও রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা কম, তাদের প্লাজমা থেরাপি(Plasma therapy) দেয়া হয়ে থাকে।’